কলেজছাত্রী তিথিকে পাশবিক নির্যাতনে পর হত্যা!
- আপলোড টাইম : ০১:২৩:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৪৩ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই কলেজের ছাত্রী আইরিন আক্তার তিথিকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে তিথির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে ধর্ষণসহ নির্যাতনের নানা তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে রোববার বিকেলে শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে তিথির গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে তিথির লাশ উদ্ধারের পর প্রতিবেশী কালু ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ির মালামালসহ পালিয়ে গেছে। এতে পুলিশের ধারণা কালু এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তিথির পরিবারের দাবি, গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ০১৯০৮—৪৬২৬৬১ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে তিথি প্রতিবেশী কালুর বাড়িতে যায়। এরপর থেকে তিথির আর কোনো খেঁাজ পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে গত রোববার সকালে শৈলকুপা থানায় তিথির পিতা মিঠু একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর বিকেলে তার লাশ উদ্ধার হয়।
তিথির মা রেখা বেগম অভিযোগ করেন, শৈলকুপার ফুলহরি ইউনিয়নের ভগবাননগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রাকিব প্রায়ই তাদের মোবাইলে ফোন করে হুমকি দিত। তার সঙ্গে তিথিকে বিয়ে না দিয়ে ক্ষতি হবে বলে শাসাতো। তিনি মনে করেন, প্রতিবেশী কালুকে দিয়ে ডেকে নিয়ে তিথিকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হতে পারে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার এসআই মনিরুজ্জামান হাজরা জানান, তিথি হয়ত আরও দুই দিন আগেই নিখেঁাজ হয়েছিলেন। কারণ দুই দিনে লাশ পচে যাওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে এটা ঠিক, তবে ধর্ষণের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর সবকিছু জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, পুলিশের সন্দেহের তালিকায় বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রতিবেশী কালু। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে তিথি হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার সম্ভব হতে পারে।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পুলিশ পুরো ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ২—১ দিনের মধ্যেই তিথি হত্যার সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তার হবে বলে আশা করেন তিনি।