ছাত্রদের নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ শেখাতে হবে
দামুড়হুদায় শিক্ষক সমাবেশে জামায়াতের জেলা আমির রুহুল আমিন- আপলোড টাইম : ০৭:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষক ফেডারেশনের আয়োজনে শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাড. রুহুল আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা নৈতিক শিক্ষা তথা ধর্মীয় শিক্ষার সাথে সাধারণ শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে মানবিক মানুষ তৈরির প্রত্যাশা করি।’ তিনি বলেন, ‘শান্তি ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য সৎ মানুষকে নেতা নির্বাচিত করতে হবে। আর এ জন্য শিক্ষক সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষকদের উচিত তাদের ছাত্রদের নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ শেখানো। কারণ একজন ধার্মিক ব্যক্তি নিঃসন্দেহে একজন অধার্মিকের তুলনায় অধিক নৈতিকতাসম্পন্ন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সমাজে নৈতিকতার অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। ৮০’র দশকে তালাকের হার ছিল পুরুষদের মধ্যে বেশি। কিন্তু এখন ৯০ শতাংশ তালাকের আবেদন করছে মেয়েরা। আমাদের বাবা-মায়ের সন্তান ছিল ৮-১০ জন। কিন্তু ৯০ সালের পরে আমাদের সন্তান ১-২টা। আমাদের মধ্যে স্লোগান সৃষ্টি হয়েছে। দুটি সন্তানের অধিক নয়, একটি হলে ভালো হয়। আপনারা এও জানেন, আমাদের পাশের জেলা ঝিনাইদহে আত্মহত্যার হার বাড়ছে, যার প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে ডিভাইসের অপব্যবহার ও পরকীয়া। নৈতিকতার অবক্ষয় হলে দেশকে সুন্দর পথে পরিচালনা করা সম্ভব হয়। শিক্ষকরা আদর্শ জাতি গড়ার কারিগর। দেশকে নৈতিকতার অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে সবার আগে তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।’
জামায়াতের আমির রুহুল আমিন তাঁর বক্তব্যে আমেরিকার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘আমেরিকায় অর্থের অভাব নেই, কিন্তু নৈতিকতার অভাব রয়েছে। এই দেশে বিবাহের পূর্বে সন্তান জন্মদানের হার ৫১% এবং ব্রেস্ট ক্যানসারে ৪৫% নারীর মৃত্যু হয়। এছাড়া গণগুলিতে নিহতের সংখ্যা ৬৫৪ এবং ৭০ শতাংশ মানুষই এইডস বহন করছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। একটি পিয়নের চাকরির জন্য ১০ লাখ টাকা ঘুস এবং শিক্ষকের চাকরির জন্য ২০ লাখ টাকা দিতে হচ্ছে। যা শিক্ষাব্যবস্থার মানকে ধ্বংস করছে। আমরা এসব অব্যবস্থার অবসান চাই।’
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও জেলা শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি সাবেক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, জেলা আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সহসভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, জামায়াতের দামুড়হুদা থানা আমির নায়েব আলী ও জামায়াতের দর্শনা থানা সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান টুকু।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন প্রাথমিক শাখার জেলা সভাপতি মাসুদ রানা, কলেজ শাখার জেলা সভাপতি শফিউল আলম বকুল, প্রধান শিক্ষক শাখার সভাপতি শাহজাহান আলী, মাদ্রাসা সুপার মোজাফফার রহমান, প্রাথমিক স্কুল বিভাগের সাইদুর রহমান, কিন্ডার গার্টেন বিভাগের উপজেলা সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, ক্বওমী মাদ্রাসা বিভাগের মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ। এছাড়াও সমাবেশে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কিন্ডার গার্টেন, আলিয়া মাদ্রাসা, ক্বওমী মাদ্রাসা ও কলেজের ৫০০ এর অধিক শিক্ষক অংশ নেন।