চুয়াডাঙ্গায় অসহায় কিশোরী মায়ের আকুতি
‘আমার সন্তান তার অধিকার পাবে’
- আপলোড টাইম : ০৯:৫৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১৮ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ১৭ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রী কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। যিনি গর্ভধারণের পর সন্তানের পিতার অনিহায় এবং সমাজের ভয়ে পরিবারকে কিছু জানাননি। সন্তানের বাবা সম্পর্ক অস্বীকার করলেও সন্তান ভূমিষ্টের সময় সন্নীকটে এলে পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করে। গতকাল বুধবার বেলা দুইটায় হাসপাতালের গাইনি কনসালটেন্ট ডা. আকলিমা খাতুন প্রসূতির সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মা ও নবজাতক সদর হাসপাতালে সুস্থ আছেন। প্রসূতি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার এক দরিদ্র দিনমজুরের মেয়ে।
প্রসূতি জানান, একই এলাকার রোহান (১৭) নামের এক কিশোরের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রায় ৯ মাস আগে অন্তঃসত্ত্বা হলে মোবাইলে রোহানকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু রোহান সম্পর্ক রাখতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেয়।
অসহায় কিশোরী ভয়ে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়নি। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা ঘটনা জানতে পারেন। এরপর পরিবার থেকে রোহানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং স্থানীয় মুরুব্বিদের মধ্যস্থতায় গত ৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। তবে রোহানের পরিবার থেকে এখনো নবজাতকের স্বীকৃতি নিশ্চিত করা হয়নি বলে প্রসূতি জানান।
প্রসূতি বলেন, ‘আমার সন্তান তার ন্যায্য অধিকার পাবে, এটাই আমার একমাত্র চাওয়া। রোহানের বাবা-মা মেনে নিলেও তার চাচা আপত্তি জানিয়ে ডিএনএ টেস্টের কথা বলেছেন, এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। রোহানই আমার সন্তানের বাবা, সে তার সন্তানের স্বীকৃতি দিলে আর কিছু চাই না।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ জানান, প্রসূতি শেষ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং জরুরি অবস্থায় তার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হয়। মা ও নবজাতক দুজনেই বর্তমানে সুস্থ আছেন।
এদিকে, প্রসূতির পরিবার নবজাতকের পিতৃপরিচয় নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। তারা জানিয়েছেন, ছেলের পরিবার থেকে সবকিছু মেনে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে রোহান ও তার পরিবারের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।