দুই সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগ
- আপলোড টাইম : ০৯:১২:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৮১ বার পড়া হয়েছে
আলমমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লিজা খাতুন (২০) নামের দুই সন্তানের এক জননীকে চিকিৎসার জন্য নেয় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তবে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পান। হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। পরিবারের দাবি, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। নিহত লিজা খাতুন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোমরদাহ গ্রামের ভ্যানচালক আরিফুল ইসলামের মেয়ে ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী।
এদিকে, নিহত লিজার মুখে ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে মর্গে নেয়া হয়। মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে লিজার পিতা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। জামাতা আবু তাহের ও তার বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে সবসময় নির্যাতন করতো। কিছুদিন আগেও মারধর করে বাড়িতে পাঠায়। আমরা মেয়েকে বুঝিয়ে আবার শ্বশুর বাড়িতে পাঠাই। কিন্তু তারা আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে রাখেনি।’
আরিফুল বলেন, ‘আমার মেয়ের ছোট দুটি সন্তান রয়েছে। তাদের জন্যই বেঁচে ছিল সে। ওদের ফেলে রেখে সে কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না। সকালে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে আসে ওরা। আমরা হাসপাতালে এসে দেখি মেয়ে মারা গেছে। আর মুখ, ঠোট ও গলায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। আমার মেয়ের খুনের বিচার চাই।’ এদিকে, গতকাল দুপুরের পর সদর হাসপাতাল মর্গে লিজার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনাটির তদন্ত করছেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নিহত লিজার পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছেন। শ্বাসরোধে হত্যার পর ফাঁস দেয়ার নাটক সাজিয়ে তাকে হাসপাতালে এনেছে বলছেন তারা। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এটিকে হত্যাকা- বলেও ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের ঠোট ও গলায় ক্ষতচিহ্নও পাওয়া গেছে। পরিবারের অভিযোগ ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে আমরা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’