ইপেপার । আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একই মামলার পুলিশের দু’রকমের প্রতিবেদন!

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে একটি মামলা তদন্তে দুই রকম প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। একই ঘটনায় পুলিশের দুই এসআই দুই রকম প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করায় বাদী পক্ষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে মামলার মেরিট নিয়ে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিজেদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে কাজী ফারুক ও তার ছোট বোন কাজী শাহানাজের উপর হামলা এবং তাদের বাড়িঘরে লুটপাট চালানো হয়। হামলার ঘটনায় কাজী ফারুক ও তার বোন কাজী শাহানাজ ৯ জনকে আসামি করে ঝিনাইদহের আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন। আদালত মামলা দুইটি তদন্তের জন্য পৃথক দুজন তদন্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। কাজী ফারুকের মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান ডাকবাংলা ক্যাম্পের এসআই সোহাগ হোসেন। অন্যদিকে, বোন কাজী শাহানাজের মামলার দ্বায়িত্ব পান ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই শামিম হোসেন। মামলার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সোহাগ আসামিদের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এদিকে, হামলা ও লুটপাটের ঘটনা সত্য বলে আসামিদের বিপক্ষে প্রতিবেদন দেন এসআই শামিম হোসেন। একই ঘটনায় দুই রকম পুলিশী প্রতিবেদন নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এক মামলার বাদী কাজী ফারুক অভিযোগ করেন, এসআই সোহাগ আসামিদের কাছ থেকে লাভবান হয়ে এমন অসঙ্গতিপূর্ণ প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে তাদের ধারণা। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, আমার বোনের মামলায় এস আই শামিম হোসেন তাহলে কিভাবে ঘটনার সত্যতা পেলেন? এ ব্যাপারে এসআই সোহাগ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন উদ্দিন বলেন, যেহেতু দুটি মামলার তদন্ত দুই কর্মকর্তা করেছেন। যে যা তদন্ত করে পেয়েছেন তাই রিপোর্ট দিয়েছেন। যদি বাদীর আপত্তি থাকে তাহলে আদালতে নারাজি দিলে নতুন করে তদন্ত হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

একই মামলার পুলিশের দু’রকমের প্রতিবেদন!

আপলোড টাইম : ১২:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহে একটি মামলা তদন্তে দুই রকম প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। একই ঘটনায় পুলিশের দুই এসআই দুই রকম প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করায় বাদী পক্ষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে মামলার মেরিট নিয়ে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিজেদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে কাজী ফারুক ও তার ছোট বোন কাজী শাহানাজের উপর হামলা এবং তাদের বাড়িঘরে লুটপাট চালানো হয়। হামলার ঘটনায় কাজী ফারুক ও তার বোন কাজী শাহানাজ ৯ জনকে আসামি করে ঝিনাইদহের আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন। আদালত মামলা দুইটি তদন্তের জন্য পৃথক দুজন তদন্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। কাজী ফারুকের মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান ডাকবাংলা ক্যাম্পের এসআই সোহাগ হোসেন। অন্যদিকে, বোন কাজী শাহানাজের মামলার দ্বায়িত্ব পান ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই শামিম হোসেন। মামলার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সোহাগ আসামিদের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এদিকে, হামলা ও লুটপাটের ঘটনা সত্য বলে আসামিদের বিপক্ষে প্রতিবেদন দেন এসআই শামিম হোসেন। একই ঘটনায় দুই রকম পুলিশী প্রতিবেদন নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এক মামলার বাদী কাজী ফারুক অভিযোগ করেন, এসআই সোহাগ আসামিদের কাছ থেকে লাভবান হয়ে এমন অসঙ্গতিপূর্ণ প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে তাদের ধারণা। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, আমার বোনের মামলায় এস আই শামিম হোসেন তাহলে কিভাবে ঘটনার সত্যতা পেলেন? এ ব্যাপারে এসআই সোহাগ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন উদ্দিন বলেন, যেহেতু দুটি মামলার তদন্ত দুই কর্মকর্তা করেছেন। যে যা তদন্ত করে পেয়েছেন তাই রিপোর্ট দিয়েছেন। যদি বাদীর আপত্তি থাকে তাহলে আদালতে নারাজি দিলে নতুন করে তদন্ত হবে।