ইপেপার । আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে মসজিদের জমিতে ১৪৪ ধারা জারি

প্রতিবাদে রাস্তায় জুম্মার নামাজ আদায়

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১২:৪০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে শহরের আদর্শপাড়ায় মসজিদের জমিতে ১৪৪ ধারা জারির প্রতিবাদে রাস্তায় জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। তদন্ত না করেই মসজিদের জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশও করেন স্থানীয়রা।
মসজিদ কমিটির সাবেক সেক্রেটারি বাকী বিল্লাহ বলেন, এলাকার হাজী আফসার উদ্দিন নামের এক নিঃসন্তান ব্যক্তি একটি ভিক্ষুক পরিবারকে তার বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই ভিক্ষুক পরিবারের সন্তান কাঙ্গালী হায়দার বড় হয়ে হাজী আফসার উদ্দিনের কাছ থেকে জোরপূর্বক তার জমি লিখে নেয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি অঁাচ করতে পেরে হাজী আফসার উদ্দিন ২৩ শতক জমি মসজিদ ও মাদ্রাসার নামে দান করে দেন। তার মৃত্যুর পরে সৌদি আরবের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। পরে স্থানীয় মুসল্লিরা এখানে একটি মাদ্রাসা নির্মাণ করেন।
তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি বাকী বিল্লার কাছে থেকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে ওই ভিক্ষুকের সন্তান হায়দার জোরপূর্বক মসজিদের জমির কিছু অংশ লিখে নেন। পরে সেখানে সে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন এবং মসজিদের ফাঁকা জায়গায় ইজিবাইকের গ্যারেজ নির্মাণ করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় মুসল্লিরা মসজিদের অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য হায়দারকে সময় বেঁধে দেন। পরবর্তীতে তিনি আদালতে একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে সমর্থ্য হন।
এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা হায়দারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে মসজিদের জমিতে ১৪৪ ধারা জারি

প্রতিবাদে রাস্তায় জুম্মার নামাজ আদায়

আপলোড টাইম : ১২:৪০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহে শহরের আদর্শপাড়ায় মসজিদের জমিতে ১৪৪ ধারা জারির প্রতিবাদে রাস্তায় জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। তদন্ত না করেই মসজিদের জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশও করেন স্থানীয়রা।
মসজিদ কমিটির সাবেক সেক্রেটারি বাকী বিল্লাহ বলেন, এলাকার হাজী আফসার উদ্দিন নামের এক নিঃসন্তান ব্যক্তি একটি ভিক্ষুক পরিবারকে তার বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই ভিক্ষুক পরিবারের সন্তান কাঙ্গালী হায়দার বড় হয়ে হাজী আফসার উদ্দিনের কাছ থেকে জোরপূর্বক তার জমি লিখে নেয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি অঁাচ করতে পেরে হাজী আফসার উদ্দিন ২৩ শতক জমি মসজিদ ও মাদ্রাসার নামে দান করে দেন। তার মৃত্যুর পরে সৌদি আরবের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। পরে স্থানীয় মুসল্লিরা এখানে একটি মাদ্রাসা নির্মাণ করেন।
তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি বাকী বিল্লার কাছে থেকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে ওই ভিক্ষুকের সন্তান হায়দার জোরপূর্বক মসজিদের জমির কিছু অংশ লিখে নেন। পরে সেখানে সে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন এবং মসজিদের ফাঁকা জায়গায় ইজিবাইকের গ্যারেজ নির্মাণ করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় মুসল্লিরা মসজিদের অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য হায়দারকে সময় বেঁধে দেন। পরবর্তীতে তিনি আদালতে একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে সমর্থ্য হন।
এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা হায়দারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।