ইপেপার । আজ শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

গাংনীতে শ্রমিকদের কাজে না লাগিয়ে আগাছে পরিষ্কারে বিষ প্রয়োগ

কর্মকর্তার অবহেলায় নষ্ট খামারের ৫ একর পাট

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ০৮:১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চিৎলা ভিত্তি পাটবীজ খামারের কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও অবহেলায় নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫ একর জমির পাট। এতে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। এর আগে ধান খেতে অতিমাত্রায় আগাছানাশক প্রয়োগের কয়েক দিনের মধ্যেই ধানের গাছগুলো নষ্ট হয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। একইভাবে আবারো পাটখেতে অতিমাত্রায় আগাছানাশক প্রয়োগের ফলে ৫ একর জমির পাট পুড়ে নষ্ট হয়েছে।

জানা যায়, পাটের জমিতে নিড়ানি দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের একটা বরাদ্দ থাকলেও সেই টাকার কোনো হদিস নেই। শ্রমিকদের যাতে টাকা দেওয়া না লাগে, সে জন্য শ্রমিকদের কাজে না লাগিয়ে আগাছা পরিষ্কারের জন্য কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন খামারের কর্মকর্তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে চিৎলা ভিত্তি পাটবীজ খামারে জানা যায়, উত্তর ব্লকের ১০ একর জমিতে বোপণ করা পাটখেতের অর্ধেক জমির পাট খামারের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) রামিজ রানার নির্দেশে দুই দিন আগে আগাছানাশক প্রয়োগ করেন শ্রমিকরা। আগাছানাশক প্রয়োগের পর থেকে পুড়তে শুরু করে পাট। বিষয়টি গোপন করতে তড়িঘড়ি করে একই জমিতে একসাথে তিনটা ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দেওয়া শুরু করেন।

তবে আগাছানাশক স্প্রে করা শ্রমিকরা জানান, যুগ্ম পরিচালক স্যারের ব্যক্তিগত লোক বিষ সরবরাহ করেন আর আমরা শুধু ফসলে স্প্রে করি। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডিএডি রামিজ রানা খামার থেকে বেরিয়ে যান।

উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে চিৎলা ভিত্তি পাটবীজ খামারে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা বা কত একর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে, তার কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি। খামারের যুগ্ম পরিচালক মোরশেদুল ইসলামসহ কোনো কর্মকর্তাকেও খামারে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনেও যোগাযোগও করা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

error: Content is protected !!

গাংনীতে শ্রমিকদের কাজে না লাগিয়ে আগাছে পরিষ্কারে বিষ প্রয়োগ

কর্মকর্তার অবহেলায় নষ্ট খামারের ৫ একর পাট

আপলোড টাইম : ০৮:১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চিৎলা ভিত্তি পাটবীজ খামারের কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও অবহেলায় নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫ একর জমির পাট। এতে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। এর আগে ধান খেতে অতিমাত্রায় আগাছানাশক প্রয়োগের কয়েক দিনের মধ্যেই ধানের গাছগুলো নষ্ট হয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। একইভাবে আবারো পাটখেতে অতিমাত্রায় আগাছানাশক প্রয়োগের ফলে ৫ একর জমির পাট পুড়ে নষ্ট হয়েছে।

জানা যায়, পাটের জমিতে নিড়ানি দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের একটা বরাদ্দ থাকলেও সেই টাকার কোনো হদিস নেই। শ্রমিকদের যাতে টাকা দেওয়া না লাগে, সে জন্য শ্রমিকদের কাজে না লাগিয়ে আগাছা পরিষ্কারের জন্য কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন খামারের কর্মকর্তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে চিৎলা ভিত্তি পাটবীজ খামারে জানা যায়, উত্তর ব্লকের ১০ একর জমিতে বোপণ করা পাটখেতের অর্ধেক জমির পাট খামারের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) রামিজ রানার নির্দেশে দুই দিন আগে আগাছানাশক প্রয়োগ করেন শ্রমিকরা। আগাছানাশক প্রয়োগের পর থেকে পুড়তে শুরু করে পাট। বিষয়টি গোপন করতে তড়িঘড়ি করে একই জমিতে একসাথে তিনটা ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দেওয়া শুরু করেন।

তবে আগাছানাশক স্প্রে করা শ্রমিকরা জানান, যুগ্ম পরিচালক স্যারের ব্যক্তিগত লোক বিষ সরবরাহ করেন আর আমরা শুধু ফসলে স্প্রে করি। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডিএডি রামিজ রানা খামার থেকে বেরিয়ে যান।

উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে চিৎলা ভিত্তি পাটবীজ খামারে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা বা কত একর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে, তার কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি। খামারের যুগ্ম পরিচালক মোরশেদুল ইসলামসহ কোনো কর্মকর্তাকেও খামারে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনেও যোগাযোগও করা সম্ভব হয়নি।