ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় দায়সারাভাবে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত

ছিল না অতিথিদের বসার ব্যবস্থা, দিনভর ফাঁকা স্টল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় দায়সারাভাবে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছিল না প্রধান অতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বসার ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা দাঁড়িয়ে থেকে তাদের বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি আয়োজন করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। শুধুমাত্র গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ফটোসেশন করে ব্যনার গুটিয়ে রাখা হয়। ক্লাস চলাকালীন সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে সেখানে তাদেরকে রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। বাঁশের ওপর রঙিন কাপড় দিয়ে ঢেকে গোটা কয়েক স্টল করলেও দিনভর ছিল ফাঁকা।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে চুয়াডাঙ্গার বনবিভাগের কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন তাদের প্রশ্নের কোনো সাড়া দেননি। অনিয়মের মধ্যদিয়ে শুরু হয় চুয়াডাঙ্গা বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার অনুষ্ঠান। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর মুক্ত মঞ্চে এই মেলা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান। এরপর বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উপলক্ষে প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের আসন বিহীন পুরো অনুষ্ঠান দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের চারপাশ বৃক্ষ দিয়ে সাজাতে হবে। প্রতিবছর বনভূমি উজার হয়ে যাচ্ছে। এই উজার ঠেকাতে হবে। বৃক্ষ আমাদের অক্সিজেন দেয়। প্রকৃতি সাজিয়ে রাখে বৃক্ষ। পরিবেশের ভারসাম্য রাখতে হবে বৃক্ষ দিয়ে। সরকারিভাবে হাজার হাজার বৃক্ষরোপন করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন পর্যায়ে বৃক্ষ বিতরণ করতে হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা সবুজ রঙে রঙ্গিন করতে হবে এই জন্য গাছ লাগানো খুব জরুরি। সবাইকে সপ্তাহে তিন দিনের মধ্যে একটি করে গাছ লাগাতে হবে। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।

অনুষ্ঠানের শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ ওষুধ গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এরপর বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারার স্টল পরিদর্শন করেন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (হর্টিকালচার) মোমরেজ আলী, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিন বিনতে আজিজ, চুয়াডাঙ্গা বনবিভাগের কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় দায়সারাভাবে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত

ছিল না অতিথিদের বসার ব্যবস্থা, দিনভর ফাঁকা স্টল

আপলোড টাইম : ০৮:৪৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় দায়সারাভাবে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছিল না প্রধান অতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বসার ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা দাঁড়িয়ে থেকে তাদের বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি আয়োজন করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। শুধুমাত্র গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ফটোসেশন করে ব্যনার গুটিয়ে রাখা হয়। ক্লাস চলাকালীন সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে সেখানে তাদেরকে রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। বাঁশের ওপর রঙিন কাপড় দিয়ে ঢেকে গোটা কয়েক স্টল করলেও দিনভর ছিল ফাঁকা।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে চুয়াডাঙ্গার বনবিভাগের কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন তাদের প্রশ্নের কোনো সাড়া দেননি। অনিয়মের মধ্যদিয়ে শুরু হয় চুয়াডাঙ্গা বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার অনুষ্ঠান। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর মুক্ত মঞ্চে এই মেলা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান। এরপর বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উপলক্ষে প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের আসন বিহীন পুরো অনুষ্ঠান দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের চারপাশ বৃক্ষ দিয়ে সাজাতে হবে। প্রতিবছর বনভূমি উজার হয়ে যাচ্ছে। এই উজার ঠেকাতে হবে। বৃক্ষ আমাদের অক্সিজেন দেয়। প্রকৃতি সাজিয়ে রাখে বৃক্ষ। পরিবেশের ভারসাম্য রাখতে হবে বৃক্ষ দিয়ে। সরকারিভাবে হাজার হাজার বৃক্ষরোপন করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন পর্যায়ে বৃক্ষ বিতরণ করতে হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা সবুজ রঙে রঙ্গিন করতে হবে এই জন্য গাছ লাগানো খুব জরুরি। সবাইকে সপ্তাহে তিন দিনের মধ্যে একটি করে গাছ লাগাতে হবে। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।

অনুষ্ঠানের শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ ওষুধ গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এরপর বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারার স্টল পরিদর্শন করেন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (হর্টিকালচার) মোমরেজ আলী, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিন বিনতে আজিজ, চুয়াডাঙ্গা বনবিভাগের কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ প্রমুখ।