চুয়াডাঙ্গায় স্ট্যান্ডার্ড-১ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আব্দুল হালিম (৪৫) নামের এক ইজিবাইক চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে আটককৃত আসামির নামে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় জনগণ। আটককৃত ইজিবাইক চালক আব্দুল হালিম চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার মৃত আমির আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রী সকাল ৭টায় প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়া শেষ হলে ৯টার দিকে বাড়ি যাওয়ার জন্য আব্দুল হালিমের ইজিবাইকে ওঠে। ইজিবাইক চালক আব্দুল হালিম ওই মেয়েটিকে বাড়ি না নামিয়ে সরোজগঞ্জে নিয়ে যায়। সরোজগঞ্জে নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে চা খাওয়ায়। পরে আবার ইজিবাইকে করে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের দিকে যায়। পথের মধ্যে পাঁচমাইল নামক স্থানে পৌঁছালে নির্জন জায়গায় ইজিবাইক থামিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে ওই ইজিবাইক চালক।
এদিকে, ওই স্কুলছাত্রী নির্দিষ্ট সময় বাড়ি না ফিরলে তার বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে রেল স্টেশনের কাছে ওই ইজিবাইকে মেয়েটিকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে মেয়েটির কাছ থেকে সবকিছু জানতে পেরে ইজিবাইক চালককে মারধর করে স্থানীয় লোকজন। পরে আহত অবস্থায় ওই ইজিবাইক চালককে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথিমিক চিকিৎসা দিয়ে সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতহানির ঘটনায় ইজিবাইক চালক আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সংশ্লিষ্ট মামলায় আসামি আব্দুল আলিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামীকাল (আজ) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।