ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নে জামায়াতের গণসমাবেশ ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা

দেশের শান্তির স্বার্থে সবাইকে ঐক্যের পথে আসার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৫:২২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-গণআন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ও আহতদের রোগমুক্তি কামনায় আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে গণসমাবেশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জামজামি ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে তিনটায় এ আয়োজন করা হয়। জামজামি ইউনিয়ন আমির ফজলুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল।
জামজামি ইউনিয়ন জামায়াতের অফিস সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও ইউনিয়ন উলামা বিভাগের সভাপতি নূর ইসলামের পরিচালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাগদাহ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াতে ইসলামী আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার আমির দারুস সালাম, আলমডাঙ্গা উপজেলার সাবেক আমির আসাদুজ্জামান সোনা, উপজেলা সেক্রেটারি মামুন রেজা, সহকারী সেক্রেটারি প্রভাষক শফিউল আলম বকুল, সহকারী সেক্রেটারি তরিকুল ইসলাম, ডাউকি ইউনিয়ন আমির সজীবুর রহমান ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আলমডাঙ্গা থানা শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর জামজামি ইউনিয়নে সকল ওয়ার্ডের সভাপতি, সেক্রেটারি ও বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল বলেন, ‘১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম নির্যাতনের পর আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তথা দেশের আপামর জনসাধারণ তাদের কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার ফিরে পেয়েছে। দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছে।’
তিনি বলেন, খুনি শেখ হাসিনা সরকার চেয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে এদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে কিন্তু তারাই আজ দেশছাড়া। দেশে আওয়ামী লীগ আজ শুধু নামেই, বাস্তবে তাদের ইতিহাসের সমাপ্তি টেনেছে। তিনি বলেন, অশান্ত অস্থিতিশীল দেশকে শান্তির পথে আনতে হলে সবাইকে ঐক্যের পথে আসতে হবে। ইসলাম ও কুরআনের সুশীতল ছায়াতলে আসার মাধ্যমেই কেবল মানুষের ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে চলেছে। তাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সহযোগিতা করুন।
সমাবেশের সভাপতি ফজলুল হক প্রধান অতিথির বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, জামজামি ইউনিয়নে সকল জনসাধারণ আমাদের বন্ধু। আমরা কাউকে শত্রু মনে করি না। সকলের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, জামজামি ইউনিয়ন শাখা ইউনিয়নের যে কোন স্থানে যে কোনো সমস্যায় সবসময় সকলের পাশে দাঁড়াবে। সমাবেশ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নে জামায়াতের গণসমাবেশ ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা

দেশের শান্তির স্বার্থে সবাইকে ঐক্যের পথে আসার আহ্বান

আপলোড টাইম : ০৫:২২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-গণআন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ও আহতদের রোগমুক্তি কামনায় আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে গণসমাবেশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জামজামি ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে তিনটায় এ আয়োজন করা হয়। জামজামি ইউনিয়ন আমির ফজলুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল।
জামজামি ইউনিয়ন জামায়াতের অফিস সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও ইউনিয়ন উলামা বিভাগের সভাপতি নূর ইসলামের পরিচালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাগদাহ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াতে ইসলামী আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার আমির দারুস সালাম, আলমডাঙ্গা উপজেলার সাবেক আমির আসাদুজ্জামান সোনা, উপজেলা সেক্রেটারি মামুন রেজা, সহকারী সেক্রেটারি প্রভাষক শফিউল আলম বকুল, সহকারী সেক্রেটারি তরিকুল ইসলাম, ডাউকি ইউনিয়ন আমির সজীবুর রহমান ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আলমডাঙ্গা থানা শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর জামজামি ইউনিয়নে সকল ওয়ার্ডের সভাপতি, সেক্রেটারি ও বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল বলেন, ‘১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম নির্যাতনের পর আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তথা দেশের আপামর জনসাধারণ তাদের কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার ফিরে পেয়েছে। দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছে।’
তিনি বলেন, খুনি শেখ হাসিনা সরকার চেয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে এদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে কিন্তু তারাই আজ দেশছাড়া। দেশে আওয়ামী লীগ আজ শুধু নামেই, বাস্তবে তাদের ইতিহাসের সমাপ্তি টেনেছে। তিনি বলেন, অশান্ত অস্থিতিশীল দেশকে শান্তির পথে আনতে হলে সবাইকে ঐক্যের পথে আসতে হবে। ইসলাম ও কুরআনের সুশীতল ছায়াতলে আসার মাধ্যমেই কেবল মানুষের ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে চলেছে। তাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সহযোগিতা করুন।
সমাবেশের সভাপতি ফজলুল হক প্রধান অতিথির বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, জামজামি ইউনিয়নে সকল জনসাধারণ আমাদের বন্ধু। আমরা কাউকে শত্রু মনে করি না। সকলের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, জামজামি ইউনিয়ন শাখা ইউনিয়নের যে কোন স্থানে যে কোনো সমস্যায় সবসময় সকলের পাশে দাঁড়াবে। সমাবেশ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।