জীবননগরে কলেজছাত্রকে পিটিয়ে আহত, থানায় জিডি
- আপলোড টাইম : ০৫:১২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১০ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়ায় কলেজছাত্র মীর শাফায়েত মাহমুদকে (১৯) বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। জমি সংক্রান্ত বিষয়ের পূর্ব বিরোধের জেরে আন্দুলবাড়ীয়া মীরপাড়ার আনিসুর রহমান আনিস ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মিলে শায়ায়েত মাহমুদকে পিটিয়ে আহত করে এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের কাঠপট্টির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত শায়ায়েত মাহমুদ আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের মীরপাড়ার মকলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ছাত্র। আহত শাফায়েতকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আহত শাফায়েত বাদী হয়ে জীবননগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
আহত শাফায়েত মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, আন্দুলবাড়ীয়া মীরপাড়ার মৃত মীর রমজান আলীর ছেলে আনিসুর রহমান আনিসের সাথে আমার পৈত্রিক জমি-জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার দুপুরে আমি আন্দুলবাড়ীয়া বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে আনিসুর রহমান একই এলাকার আসাদুল ইসলামের ছেলে শাওন এবং মেহেরপুর পৌর এলাকার খাপাড়া মসজিদের পাশে বাবুলের স্ত্রী নাজমা খাতুন ও তার ছেলে শিথিল মিলে আমার পথরোধ করে। এসময় সন্ত্রাসী আনিস ও তার সহযোগীরা আমাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। আনিস ও তার বাহিনী আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
আহত শাফায়েত মাহমুদের সাথে থাকা তার মা কামরুন নাহার অভিযোগ করে বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আনিস ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের সাথে নিয়ে আমার স্বামীর আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক দখল করে নেয়। ওই ঘটনায় আমি চুয়াডাঙ্গায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিই। পরদিন সেনাবাহিনীর একটি টিম আন্দুলবাড়ীয়া বাজারে যায় এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বিষয়টি শুনে তারা সস্ত্রাসী আনিস বাহিনীর কাছ থেকে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উদ্ধার করে আমাদের নিকট বুঝিয়ে দেয়। মঙ্গলবার আনিস ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ছেলেকে বেধরক মারপিট করে। আনিস ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে আমরা বাড়ির বাইরে বের হতে পারছিনা। আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনের নিকট আমি এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি।