ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাটি-বালু বিক্রি করে কোটিপতি ইউপি সদস্য!

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আশরাফুল আলম সুমন আওয়ামী লীগের অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিগত কয়েক বছরে ভৈরব নদ ও কৃষিজমির মাটি-বালু উত্তোলনের পর বিক্রি করে বনে গেছে কোটিপতি। অবৈধ পথে অর্জিত অর্থ দিয়ে সদ্য ভ্রমণ করেছেন কয়েকটি রাষ্ট্র। এখনো তিনি অবৈধ পন্থায় উত্তোলন করা লাখ লাখ টাকার বালু মজুদ করে রেখেছেন বদনপুর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে। মজুদকৃত বালু জব্দ করে উন্মুক্ত নিলামের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডর ইউপি সদস্য আশরাফুল আলম সুমন অল্প সময়েই বালু-মাটি খেকো ও চিহ্নিত ভূমিদস্যু হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে নিজ গ্রাম বাদনপুর মাঠের পাশাপাশি সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে তিন ফসলি কৃষিজমির উর্বর মাটি, পাটাচোরা গ্রামের ভৈরব নদের দুপাশের পাড়ের মাটি ও বালু বিক্রি করে আসছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্য হওয়ার সুবাদে স্থানীয় প্রশাসনকে হাতে রেখে দিন কিংবা রাতে অবাধে চালিয়ে গেছেন ভৈরব নদ পাড়ের বালু আর তিন ফসলি কৃষিজমির উর্বর মাটি-বালুর রমরমা ব্যবসা।

মামা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু এবং চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ঝণ্টু প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তার ছিল বেপরোয়া সিন্ডিকেট ও মাটি-বালু রক্ষা ক্যাডার বাহিনী। যাদের লালন করতেন মাটি-বালু বিক্রির অবৈধ অর্থ দিয়ে। তিনি মাটি-বালুর রাজ্যে এতোটাই বেপরোয়া যে বিগত বছরগুলোতে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলেতেও সাহস করেনি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আশরাফুল আলম সুমন মেম্বার হওয়ার আগে থেকেই মাটি-বালুর জগতের সম্রাট। তার আত্মীয়-স্বজনেরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেওয়ায় আরও বেশি ক্ষমতাবান বনে যান। বিগত কয়েক বছরে মাটি-বালু বিক্রি করে বনে গেছে কোটিপতি। অবৈধ টাকার গরমে গায়ে হাওয়া লাগতে বছর খানেক আগে ভ্রমণ করেছেন বিশ্বের কয়েকটি দেশ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আশরাফুল আলম সুমনের সাথে কথা বলতে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মাটি-বালু বিক্রি করে কোটিপতি ইউপি সদস্য!

আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আশরাফুল আলম সুমন আওয়ামী লীগের অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিগত কয়েক বছরে ভৈরব নদ ও কৃষিজমির মাটি-বালু উত্তোলনের পর বিক্রি করে বনে গেছে কোটিপতি। অবৈধ পথে অর্জিত অর্থ দিয়ে সদ্য ভ্রমণ করেছেন কয়েকটি রাষ্ট্র। এখনো তিনি অবৈধ পন্থায় উত্তোলন করা লাখ লাখ টাকার বালু মজুদ করে রেখেছেন বদনপুর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে। মজুদকৃত বালু জব্দ করে উন্মুক্ত নিলামের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডর ইউপি সদস্য আশরাফুল আলম সুমন অল্প সময়েই বালু-মাটি খেকো ও চিহ্নিত ভূমিদস্যু হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে নিজ গ্রাম বাদনপুর মাঠের পাশাপাশি সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে তিন ফসলি কৃষিজমির উর্বর মাটি, পাটাচোরা গ্রামের ভৈরব নদের দুপাশের পাড়ের মাটি ও বালু বিক্রি করে আসছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্য হওয়ার সুবাদে স্থানীয় প্রশাসনকে হাতে রেখে দিন কিংবা রাতে অবাধে চালিয়ে গেছেন ভৈরব নদ পাড়ের বালু আর তিন ফসলি কৃষিজমির উর্বর মাটি-বালুর রমরমা ব্যবসা।

মামা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু এবং চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ঝণ্টু প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তার ছিল বেপরোয়া সিন্ডিকেট ও মাটি-বালু রক্ষা ক্যাডার বাহিনী। যাদের লালন করতেন মাটি-বালু বিক্রির অবৈধ অর্থ দিয়ে। তিনি মাটি-বালুর রাজ্যে এতোটাই বেপরোয়া যে বিগত বছরগুলোতে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলেতেও সাহস করেনি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আশরাফুল আলম সুমন মেম্বার হওয়ার আগে থেকেই মাটি-বালুর জগতের সম্রাট। তার আত্মীয়-স্বজনেরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেওয়ায় আরও বেশি ক্ষমতাবান বনে যান। বিগত কয়েক বছরে মাটি-বালু বিক্রি করে বনে গেছে কোটিপতি। অবৈধ টাকার গরমে গায়ে হাওয়া লাগতে বছর খানেক আগে ভ্রমণ করেছেন বিশ্বের কয়েকটি দেশ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আশরাফুল আলম সুমনের সাথে কথা বলতে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।