বেলা ও মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সাথে ডিসির মতবিনিময়
মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাতে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান
- আপলোড টাইম : ০৮:১৬:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১৭ বার পড়া হয়েছে
মাথাভাঙ্গা নদীকে বাঁচাতে হবে। এই নদী বাঁচলে জেলার অন্য সকল নদী বাঁচবে। এই নদী বাঁচলে এ অঞ্চলের প্রাণ-প্রকৃতি বাঁচবে। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই নদীকে ধ্বংস করতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ এবং জনসচেতনতায় পারে এ অঞ্চলের জীব-বৈচিত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রতিনিধি। তাদেরসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন জেলার পরিবেশ উন্নয়নে অনন্য অবদান রাখা এই কমিটির নেতৃবৃন্দ। সাবেক অধ্যক্ষ এবং মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি হামিদুল হক মুন্সীর নেতৃত্বে পৃথকভাবে দুটি আলাদা মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও চুয়াডাঙ্গাবাসীকে একসাথে নদী বাঁচাতে কাজ করতে হবে। দখল-দূষণ বন্ধে যেমন প্রয়োজন সচেতনতা, তেমনি আইনের প্রয়োগও করা হবে। পরিবেশ বাঁচাতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশাপাশি নদী সংশ্লিষ্ট আরও দপ্তর আছে। সবাই মিলে কাজ করলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। পরিকল্পনা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ (অব:) শাহজাহান আলী, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সহসম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, নির্বাহী সদস্য হাবিবি জহির রায়হান, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রচার সম্পাদক ও গণমাধ্যমকর্মী মেহেরাব্বিন সানভী প্রমুখ।
দুটি পৃথক মতিবিনিময় সভায় মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাতে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়। এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে দখল-দূষণ রোধে একত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।