ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি চলছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:০১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন থেকে খুব শিগগিরই দেশে ফিরছেন। তার দেশে ফিরে আসার প্রস্তুতি চলছে বলে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে পাওয়ার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। তাদের প্রত্যাশা, দ্রুততম সময়ে তিনি দেশে ফিরবেন। দেশে এসেই তিনি তার বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছে, মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে সেব আইনগভাবে মোকাবেলা করবেন।

দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, তারেক রহমান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তার বিরুদ্ধে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এসব মামলা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলাই মিথ্যা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। বিগত শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ১৫ বছর যাবত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানান মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়েছে। দেশের মানুষের মনে তার বিরুদ্ধে ঘৃনা ছড়ানোর এমন কোন হীন ষড়যন্ত্র নাই যা হাসিনা সরকার করে নাই। কিন্তু কিছুতেই তা ফলপ্রসূ হয় নাই। তার বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগই গত ১৫ বছরে প্রমাণ করতে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে প্রবাসে থেকেও তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েছে। শেখ হাসিনা গণআন্দোলনে পালিয়ে যাওয়ার পর এবার তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে আসবেন এটাই দলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা। বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন, তারেক রহমান যাতে দেশে ফিরে আসতে না পারেন এ জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে সব ষড়যন্ত্র এবার ছিন্ন হয়ে গেছে। তার দেশে ফিরে আসা এখন আর কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। ১/১১’র দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উত্তরসূরী তারেক রহমান এতদিন নির্বাসিত জীবনে থাকলেও এবার তিনি বীরদর্পে দেশে ফিরবেন। তার নেতৃত্বেই গঠিত হবে আগামীর নতুন বাংলাদেশ।

গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে। তার বিরুদ্ধে যে সব মামলা রয়েছে সেগুলো আইনগতভাবে মোকাবেলা করার জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা মামলার মোকাবেলার বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে যখনই আমাদের বলবেন তখনই আমরা তাকে দেশে নিয়ে আসবো।

এ বিষয়ে তারেক রহমানের আইনজীবী বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এদেশের সন্তান। এ দেশে তার জন্ম, এদেশের আলো বাতাসে তার বেড়ে ওঠা। গত ২০০৭ সালের এক এগার সরকার তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে অমানবিক নির্যাতন করে। এর পর তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যান। সেঘানো যাওয়ার পর তিনি যাতে আর দেশে ফিরে আসতে না পারেন এজন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিতে থাকে। এসব মামলার অনেকগুলো নিম্ন আদালতে তিনি খালাস পেলেও সরকার আপিল করে উচ্চ আদালতে তাকে আন্যায় ভাবে সাজা দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছে সবগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং সাজা দেওয়াটাও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। এখন ছাত্রজনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। দলের নেতাকর্মী এবং দেশের মানুষের প্রত্যাশা যে তারেক রহমান খুব দ্রুত দেশে ফিরে আসবেন। এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে তারেক রহমান সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি দেশে এসে তার বিরুদ্ধে যে সব মিধ্যা মামলা হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দেওয়া হয়েছে সেগুলো তিনি আইনগতভাবে মোকাবেলা করবেন। আমদের পক্ষ থেকে এসব মামলা আইনগতভাবে মোকাবেলার বিষয়টা যথাযথ সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, সেনা সমর্থিত মঈন-ফকরুদ্দীন এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ বিএনপির তরুণ নেতা তারেক রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা করা হয়। বিভিন্ন মামলায় তাকে মোট নয়দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন করে তারেক রহমানের কোমরের হাড় ভেঙে দেয় তৎকালীন স্বৈরশাসকরা। এরপর ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐ বছরের ১৯ জানুয়ারি নানি বেগম তৈয়বা মজুমদারের মৃত্যুতে তারেক রহমান মাত্র ৩ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান। দীর্ঘ ১৮ মাস কারাবন্দি থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সব মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। তিনদিন পর লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হবে তাই সেখানের (নর্থ লন্ডন) একটি ফ্ল্্যাট ভাড়া করে সেখানেই তিনি আছেন।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা, অর্থপাচার মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মামলা, মানহানির মামলা ইত্যাদি। এর মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মামলায় তারেক রহমানকে নয় বছরের এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দেয়া হয়েছিল তার একটিও কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয়। সব মামলা গুলো ছিল ভিত্তিহীন রাজ নৈতিক উদ্ধেশ্যপ্রনদিত যার একটিও এখনো প্রমাণ করতে পারে নাই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি চলছে

আপলোড টাইম : ০৩:০১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন থেকে খুব শিগগিরই দেশে ফিরছেন। তার দেশে ফিরে আসার প্রস্তুতি চলছে বলে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে পাওয়ার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। তাদের প্রত্যাশা, দ্রুততম সময়ে তিনি দেশে ফিরবেন। দেশে এসেই তিনি তার বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছে, মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে সেব আইনগভাবে মোকাবেলা করবেন।

দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, তারেক রহমান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তার বিরুদ্ধে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এসব মামলা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলাই মিথ্যা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। বিগত শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ১৫ বছর যাবত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানান মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়েছে। দেশের মানুষের মনে তার বিরুদ্ধে ঘৃনা ছড়ানোর এমন কোন হীন ষড়যন্ত্র নাই যা হাসিনা সরকার করে নাই। কিন্তু কিছুতেই তা ফলপ্রসূ হয় নাই। তার বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযোগই গত ১৫ বছরে প্রমাণ করতে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে প্রবাসে থেকেও তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েছে। শেখ হাসিনা গণআন্দোলনে পালিয়ে যাওয়ার পর এবার তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে আসবেন এটাই দলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা। বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন, তারেক রহমান যাতে দেশে ফিরে আসতে না পারেন এ জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে সব ষড়যন্ত্র এবার ছিন্ন হয়ে গেছে। তার দেশে ফিরে আসা এখন আর কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। ১/১১’র দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উত্তরসূরী তারেক রহমান এতদিন নির্বাসিত জীবনে থাকলেও এবার তিনি বীরদর্পে দেশে ফিরবেন। তার নেতৃত্বেই গঠিত হবে আগামীর নতুন বাংলাদেশ।

গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে। তার বিরুদ্ধে যে সব মামলা রয়েছে সেগুলো আইনগতভাবে মোকাবেলা করার জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা মামলার মোকাবেলার বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে যখনই আমাদের বলবেন তখনই আমরা তাকে দেশে নিয়ে আসবো।

এ বিষয়ে তারেক রহমানের আইনজীবী বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এদেশের সন্তান। এ দেশে তার জন্ম, এদেশের আলো বাতাসে তার বেড়ে ওঠা। গত ২০০৭ সালের এক এগার সরকার তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে অমানবিক নির্যাতন করে। এর পর তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যান। সেঘানো যাওয়ার পর তিনি যাতে আর দেশে ফিরে আসতে না পারেন এজন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিতে থাকে। এসব মামলার অনেকগুলো নিম্ন আদালতে তিনি খালাস পেলেও সরকার আপিল করে উচ্চ আদালতে তাকে আন্যায় ভাবে সাজা দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছে সবগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং সাজা দেওয়াটাও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। এখন ছাত্রজনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। দলের নেতাকর্মী এবং দেশের মানুষের প্রত্যাশা যে তারেক রহমান খুব দ্রুত দেশে ফিরে আসবেন। এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে তারেক রহমান সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি দেশে এসে তার বিরুদ্ধে যে সব মিধ্যা মামলা হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দেওয়া হয়েছে সেগুলো তিনি আইনগতভাবে মোকাবেলা করবেন। আমদের পক্ষ থেকে এসব মামলা আইনগতভাবে মোকাবেলার বিষয়টা যথাযথ সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, সেনা সমর্থিত মঈন-ফকরুদ্দীন এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ বিএনপির তরুণ নেতা তারেক রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা করা হয়। বিভিন্ন মামলায় তাকে মোট নয়দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন করে তারেক রহমানের কোমরের হাড় ভেঙে দেয় তৎকালীন স্বৈরশাসকরা। এরপর ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐ বছরের ১৯ জানুয়ারি নানি বেগম তৈয়বা মজুমদারের মৃত্যুতে তারেক রহমান মাত্র ৩ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান। দীর্ঘ ১৮ মাস কারাবন্দি থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সব মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। তিনদিন পর লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হবে তাই সেখানের (নর্থ লন্ডন) একটি ফ্ল্্যাট ভাড়া করে সেখানেই তিনি আছেন।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা, অর্থপাচার মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মামলা, মানহানির মামলা ইত্যাদি। এর মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মামলায় তারেক রহমানকে নয় বছরের এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দেয়া হয়েছিল তার একটিও কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয়। সব মামলা গুলো ছিল ভিত্তিহীন রাজ নৈতিক উদ্ধেশ্যপ্রনদিত যার একটিও এখনো প্রমাণ করতে পারে নাই।