ইপেপার । আজ শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

ঝিনাইদহে ছাত্রদল নেতা মীর্জা ও শিবির সভাপতি পারভেজকে বিচারবহির্ভূত হত্যা

১১ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১২:০৫:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মীর্জা ও শিবির সভাপতি ইবনুল ইসলাম পারভেজকে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের একটি আদালতে সাবেক এক পুলিশ সুপারসহ ১১ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন নিহতের স্বজনরা।

মামলায় ঝিনাইদহের সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন (চাকরিচ্যুত), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, সহকারী পুলিশ সুপার গোপিনাথ কানজিলাল, সদর থানার সাবেক ওসি হাসান হাফিজুর রহমান, ডিবির ওসি কামরুল ইসলাম, এসআই আমিনুর রহমান, এসআই বোরহানুল ইসলাম, এসআই শাহরিয়ার হাসান, এসআই আমিনুল ইসলাম, এসআই উজ্জল মৈত্র ও ডিবির ওয়াচার মুরাদকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টুসহ দলের ১৭ শীর্ষ নেতাকে পারভেজ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামলা দুটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে ঝিনাইদহ সদর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মীর্জাকে ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঝিনাইদহ শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই মাসের ২৫ তারিখে মীর্জার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা এলাকার পন্নাতলা মাঠে। হত্যার ৯ বছর পর তার বৃদ্ধা মা বুলবুলি খাতুন সে সময়কার সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, এসআই শাহরিয়ার হাসান ও এসআই আমিনুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন।

অন্যদিকে আরেক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ঝিনাইদহ শহর শিবিরের সভাপতি ইবনুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ উল্লেখ করেন, ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মিলিতভাবে শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার অংশ হিসেবে ইবনুল ইসলাম পারভেজকে ২০১৬ সালের ১৬ জুন ঢাকা থেকে আটক করে নিয়ে আসে। তাকে চোখ মুখ বেঁধে অকথ্য নির্যাতন করে আসামিরা। এরপর অপহরণের ১৭ দিন পর ২০১৬ সালের ২ জুলাই ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়য়াকান্দি এলাকায় ইবনুল ইসলাম পারভেজের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। তাকে বিচার বহির্ভূতহত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

error: Content is protected !!

ঝিনাইদহে ছাত্রদল নেতা মীর্জা ও শিবির সভাপতি পারভেজকে বিচারবহির্ভূত হত্যা

১১ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা

আপলোড টাইম : ১২:০৫:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

ঝিনাইদহের ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মীর্জা ও শিবির সভাপতি ইবনুল ইসলাম পারভেজকে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের একটি আদালতে সাবেক এক পুলিশ সুপারসহ ১১ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন নিহতের স্বজনরা।

মামলায় ঝিনাইদহের সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন (চাকরিচ্যুত), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, সহকারী পুলিশ সুপার গোপিনাথ কানজিলাল, সদর থানার সাবেক ওসি হাসান হাফিজুর রহমান, ডিবির ওসি কামরুল ইসলাম, এসআই আমিনুর রহমান, এসআই বোরহানুল ইসলাম, এসআই শাহরিয়ার হাসান, এসআই আমিনুল ইসলাম, এসআই উজ্জল মৈত্র ও ডিবির ওয়াচার মুরাদকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টুসহ দলের ১৭ শীর্ষ নেতাকে পারভেজ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামলা দুটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে ঝিনাইদহ সদর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মীর্জাকে ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঝিনাইদহ শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই মাসের ২৫ তারিখে মীর্জার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা এলাকার পন্নাতলা মাঠে। হত্যার ৯ বছর পর তার বৃদ্ধা মা বুলবুলি খাতুন সে সময়কার সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, এসআই শাহরিয়ার হাসান ও এসআই আমিনুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন।

অন্যদিকে আরেক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ঝিনাইদহ শহর শিবিরের সভাপতি ইবনুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ উল্লেখ করেন, ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মিলিতভাবে শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার অংশ হিসেবে ইবনুল ইসলাম পারভেজকে ২০১৬ সালের ১৬ জুন ঢাকা থেকে আটক করে নিয়ে আসে। তাকে চোখ মুখ বেঁধে অকথ্য নির্যাতন করে আসামিরা। এরপর অপহরণের ১৭ দিন পর ২০১৬ সালের ২ জুলাই ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়য়াকান্দি এলাকায় ইবনুল ইসলাম পারভেজের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। তাকে বিচার বহির্ভূতহত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়।