আন্দোলনে ছররা গুলিতে দৃষ্টি হারিয়েছেন দামুড়হুদার মেরাজ
বাড়ি গিয়ে সহায়তা করলেন ডিসি-ইউএনও
- আপলোড টাইম : ০৯:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ছররা গুলিতে দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আল মেরাজ। তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের কৃষক দম্পতি শুকুর আলী ও বিলকিছ খাতুনের ছেলে। বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে টানা ১৬ দিন পর চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। তবে ফিরে পাননি দৃষ্টিশক্তি। এদিকে, আল মেরাজের চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সার্বিক খোঁজ নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তার বাড়িতে উপস্থিত হন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও দামুড়হুদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা।
এসময় জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা মেরাজের পিতা-মাতার সঙ্গে কথা বলেন এবং মেরাজের থেকে ঘটনার বর্ণনা মনযোগ সহকারে শোনেন। তিনি মেরাজের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। জেলা প্রশাসক মেরাজের চিকিৎসায় সাধ্যমতো সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এবং চিকিৎসা খরচ বাবদ জেলা প্রশাসনের তহবিল থেকে ৪০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
মেরাজের পরিবার জানিয়েছে, ঢাকায় টানা দুই সপ্তাহের চিকিৎসা শেষে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা তাকে বাড়িতে পাঠান এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেয়ার পরামর্শ দেন। রেটিনা ও কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে অন্তত একটি চোখে দৃষ্টিশক্তি ফেরার আশার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে এখনো মেরাজের একটি চোখে ছররা গুলি রয়েছে যা বের করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই দুপুর থেকে আরামবাগ ও ফকিরাপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন মেরাজ। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে পল্টন এলাকায় বিক্ষোভকালে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ছররা গুলি ছোড়ে। এতে মেরাজের দুই চোখ, বুক, পেট ও পিঠে মোট ৩৫টি গুলি লাগে। বা চোখের কোনায় একটি এবং ডান চোখে দুটি গুলি লাগে। গুলিতে আহত হওয়ার পর সঙ্গে থাকা বন্ধুরা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে নেন। আল-মেরাজ ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির এমবিএ’র শিক্ষার্থী।