জেহালা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ বেড়েই চলেছে
অনাস্থা জানিয়ে ইউপি সদস্যদের পত্র প্রেরণ- আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
- / ৭৩ বার পড়া হয়েছে
এবার আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেচুর রহমান সিলনের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন পরিষদের সকল সদস্য। গতকাল বুধবার আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর ৩ শ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে ওই অনাস্থা আনেন ইউপি সদস্যরা। এছাড়াও সিলন আলীর বিরুদ্ধে পরিষদের সদস্যদের বেতন-ভাতা না দিয়ে রেজিস্ট্রি খাতায় স্বাক্ষর, পরিষদের আয়-ব্যয় হিসাবে অসঙ্গতি, অনিয়ম, আর্থিক লেনদেনসহ অভিযোগ বেড়েই চলেছে।
জানা যায়, ইউপি সদস্যদের সাথে নানা অনিয়ম অবিচার করলেও রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় কেউ কিছু বলতে পারতেন না। কেউ যদি কোনোভাবে মুখ খুলতেন, তাহলে তার ওপর হতো নানা অত্যাচার। এসব ভয়ে নীরবেই সহ্য করেছেন ইউপি সদস্যরা। ওই অভিযোগে ইউপি সদস্য আরিফা খাতুন, লাভলী খাতুন, পিনজিরা খাতুন, আনারুল ইসলাম, রহিদুল হক, মঞ্জুরুল করিম, শাকিল সাইহাম, জসিম উদ্দীন, আহসান হাবিব, হাসেম মাহমুদ, আলমগীর কবির (জনি), লিপন হোসেনসহ সকল ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করেছেন।
অনাস্থা নিয়ে আসার ওই স্ট্যাম্পে ১২ জন ইউপি সদস্য বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিলন আলী একইসঙ্গে জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক। চেয়ারম্যান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শনপূর্বক ইউপি অংশের বকেয়া পাঁচ মাসের বেতন না দিয়ে বেতন রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করে নেয়। এবং কিছু সদস্যকে জোরপূর্বক পরিষদ থেকে বের করে দেন। তিনি সকল ওয়ার্ড সদস্যগণের বেতন-ভাতা বকেয়া রেখে নিজের সম্মানী ভাতা আগস্ট-২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাবলে পরিশোধ করে নেন। ইতিপূর্বে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের আয়-ব্যয়ের হিসাব মাসিক সভায় উপস্থাপন না করে পেশি শক্তির ভয় দেখিয়ে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর করে নেন। এছাড়া তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার ভিত্তিতে গৃহীত প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না করে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে নেন।
চেয়ারম্যান সিলন আলী সরকার কর্তৃক আগত গরীব ও দুস্থ জনগণের মাঝে বিভিন্ন ভাতা প্রকৃত উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ না করে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য লোকদের মাঝে বিতরণ করেন। এভাবে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ক্রয় করা বিভিন্ন মালামাল নিজের বাসা-বাড়ি ও ব্যক্তিগত অফিসে ব্যবহার করেন। তাঁর এরূপ দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের কারণে আমরা তার ওপর অনাস্থা আনয়ন করছি।
ওই অনাস্থা পত্রে সিলন আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের কারণে অনাস্থার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে। অনাস্থা নিয়ে আসার স্ট্যাম্প স্বাক্ষরিত পত্র তারা স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসককে অনুলিপি দিয়েছেন।