ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জৌলুস হারিয়েছে দর্শনা কেরুজ হাসপাতাল, নেই জনবল-ওষুধ

ঢিলেঢালাভাবে চলছে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা

আওয়াল হোসেন, দর্শনা:
  • আপলোড টাইম : ১২:১৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা কেরুজ ঐতিহ্যবাহী হাসপাতাল ১৯৩৫ সালে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ হাসপাতালটির এক সময় জৌলুস ছিল। ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসক, নার্স ও ওষুধ পাওয়া যেত। তখন কেরুজ শ্রমিক, কর্মচারী ও এলাকার আখচাষি পরিবারের সদস্যরা সুচিকিৎসা নিয়েছে। আবার ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সও থাকত। তবে এখন প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও চলছে ঢিলেঢালাভাবে।

সরেজমিতে দেখা যায়, নানা সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতালটি ধুকে ধুকে চলছে। একতলা এ হাসপাতালে ২০টি বেডের মধ্যে বর্তমানে ১৫টি বেড রয়েছে। ৩ জন ডাক্তার থাকার কথা। তবে সেখানে ছিল শাহিনুর হায়দার নামের একজন। তিনি ৪ ঘণ্টার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কাজ করছেন। ৩ শিফটের জন্য ৩ জন নার্স থাকার কথা। তবে সেখানে ২ জন নার্স রয়েছেন। এছাড়া দুজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বদলে ২ জন কাজ করছেন। রাতে কোনো পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকে না। এতে রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

এছাড়া প্রয়োজন রয়েছে ১ জন সার্জিক্যাল ডাক্তার, ১ জন মিডওয়াইফ, ১ জন ওয়ার্ডবয় ও একটি জরুরি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া হাসপাতালটি রঙ করা ও বাউন্ডারি প্রাচীর দেওয়া জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

হাসপাতালের নার্স কুলছুম খাতুন বলনে, ‘আমরা দুজন নার্স ১৪ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের কোনো উন্নতি বা বাড়তি বেতন-ভাতা বৃদ্ধি হয়নি।’
হাসপাতালের চিকিৎসক শাহিনুর হায়দার বলেন, আমি ২০২১ সালে অবসরে গিয়েছি। এরপর ১ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক প্রতিদিন ৪ ঘণ্টার চিকিৎসা দিয়ে থাকি।

এ বিষয়ে কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। এটা একমাত্র চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের এখতিয়ার। আমরা বিভিন্ন সময় লিখিত আকারে চিনি ও খাদ্য করপোরেশনে জানিয়েছি। সারা দেশের চিনিকলের হাসপাতালে মাত্র ৩ জন ডাক্তার আছে। এ ব্যাপারে তারা উদ্যোগ নিতে পারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জৌলুস হারিয়েছে দর্শনা কেরুজ হাসপাতাল, নেই জনবল-ওষুধ

ঢিলেঢালাভাবে চলছে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা

আপলোড টাইম : ১২:১৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

দর্শনা কেরুজ ঐতিহ্যবাহী হাসপাতাল ১৯৩৫ সালে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ হাসপাতালটির এক সময় জৌলুস ছিল। ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসক, নার্স ও ওষুধ পাওয়া যেত। তখন কেরুজ শ্রমিক, কর্মচারী ও এলাকার আখচাষি পরিবারের সদস্যরা সুচিকিৎসা নিয়েছে। আবার ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সও থাকত। তবে এখন প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও চলছে ঢিলেঢালাভাবে।

সরেজমিতে দেখা যায়, নানা সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতালটি ধুকে ধুকে চলছে। একতলা এ হাসপাতালে ২০টি বেডের মধ্যে বর্তমানে ১৫টি বেড রয়েছে। ৩ জন ডাক্তার থাকার কথা। তবে সেখানে ছিল শাহিনুর হায়দার নামের একজন। তিনি ৪ ঘণ্টার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কাজ করছেন। ৩ শিফটের জন্য ৩ জন নার্স থাকার কথা। তবে সেখানে ২ জন নার্স রয়েছেন। এছাড়া দুজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বদলে ২ জন কাজ করছেন। রাতে কোনো পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকে না। এতে রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

এছাড়া প্রয়োজন রয়েছে ১ জন সার্জিক্যাল ডাক্তার, ১ জন মিডওয়াইফ, ১ জন ওয়ার্ডবয় ও একটি জরুরি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া হাসপাতালটি রঙ করা ও বাউন্ডারি প্রাচীর দেওয়া জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

হাসপাতালের নার্স কুলছুম খাতুন বলনে, ‘আমরা দুজন নার্স ১৪ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের কোনো উন্নতি বা বাড়তি বেতন-ভাতা বৃদ্ধি হয়নি।’
হাসপাতালের চিকিৎসক শাহিনুর হায়দার বলেন, আমি ২০২১ সালে অবসরে গিয়েছি। এরপর ১ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক প্রতিদিন ৪ ঘণ্টার চিকিৎসা দিয়ে থাকি।

এ বিষয়ে কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। এটা একমাত্র চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের এখতিয়ার। আমরা বিভিন্ন সময় লিখিত আকারে চিনি ও খাদ্য করপোরেশনে জানিয়েছি। সারা দেশের চিনিকলের হাসপাতালে মাত্র ৩ জন ডাক্তার আছে। এ ব্যাপারে তারা উদ্যোগ নিতে পারে।