ইপেপার । আজ সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগ নেতা রঞ্জুর বাড়িতে আগুনে পুড়ে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জুর বাড়িতে এক যুবক ও তিন কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে যুবক সাকিব হোসেনের ভাই শাকিল আহাম্মেদ বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার সকালে অভিযোগটি দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে বিজয় মিছিল করার জন্য কাঠপট্টি এলাকায় জড়ো হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। ওই মিছিলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি ঈদগাহ পাড়ার সাকিব হোসেন ডিজে (২০), একই এলাকার স্কুলছাত্র সাকিব হোসেন (১৬), হাটকালুগঞ্জ এলাকার তাফিম ফেরদৌস (১৭) ও এসি মিস্ত্রি সাইম হোসেনসহ (১৬) শত শত ছাত্র-জনতা জড় হয়। রঞ্জুর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায় আরেফিন আলম রঞ্জু ও তার ছেলেসহ রঞ্জুর সহযোগী নেতা-কর্মীরা। তাদের ধাওয়ায় এদিক সেদিক পালাতে থাকে মিছিলে থাকা ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে নিহত ওই চারজন রঞ্জুর বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেয়। পরে ওই দুস্কৃতিকারীরা ছাদে উঠে চারজনকে বেধড়ক মারধর করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। পরে চলে যাবার সময় পুরো বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।

এদিকে, নিহত চারজনের বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও এ বিষয়ে থানা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা বক্তব্য দিতে রাজি হননি। প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা বিজয় মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়কের দখল নিয়ে নেয়। ওই মিছিলের একটি অংশ কাঠপট্টি এলাকায় পৌঁছালে শুরু হয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। শহরে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাড়ি, অফিসসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়। পরে সন্ধ্যার কিছু সময় পর খবর পাওয়া যায়, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জুর বাড়িতে আগুনে পুড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সারা রাত মৃতদেহগুলো ওই বাড়িতে পড়ে থাকলেও পরের দিন পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়। ওই ঘটনায় নিহত সাকিব হোসেনের ভাই শাকিল আহম্মেদ গত মঙ্গলবার সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে সংবাদ লেখা পর্যন্ত ওই অভিযোগে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগ নেতা রঞ্জুর বাড়িতে আগুনে পুড়ে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৩:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জুর বাড়িতে এক যুবক ও তিন কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে যুবক সাকিব হোসেনের ভাই শাকিল আহাম্মেদ বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার সকালে অভিযোগটি দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে বিজয় মিছিল করার জন্য কাঠপট্টি এলাকায় জড়ো হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। ওই মিছিলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি ঈদগাহ পাড়ার সাকিব হোসেন ডিজে (২০), একই এলাকার স্কুলছাত্র সাকিব হোসেন (১৬), হাটকালুগঞ্জ এলাকার তাফিম ফেরদৌস (১৭) ও এসি মিস্ত্রি সাইম হোসেনসহ (১৬) শত শত ছাত্র-জনতা জড় হয়। রঞ্জুর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায় আরেফিন আলম রঞ্জু ও তার ছেলেসহ রঞ্জুর সহযোগী নেতা-কর্মীরা। তাদের ধাওয়ায় এদিক সেদিক পালাতে থাকে মিছিলে থাকা ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে নিহত ওই চারজন রঞ্জুর বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেয়। পরে ওই দুস্কৃতিকারীরা ছাদে উঠে চারজনকে বেধড়ক মারধর করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। পরে চলে যাবার সময় পুরো বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।

এদিকে, নিহত চারজনের বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও এ বিষয়ে থানা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা বক্তব্য দিতে রাজি হননি। প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা বিজয় মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়কের দখল নিয়ে নেয়। ওই মিছিলের একটি অংশ কাঠপট্টি এলাকায় পৌঁছালে শুরু হয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। শহরে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাড়ি, অফিসসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়। পরে সন্ধ্যার কিছু সময় পর খবর পাওয়া যায়, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জুর বাড়িতে আগুনে পুড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সারা রাত মৃতদেহগুলো ওই বাড়িতে পড়ে থাকলেও পরের দিন পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়। ওই ঘটনায় নিহত সাকিব হোসেনের ভাই শাকিল আহম্মেদ গত মঙ্গলবার সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে সংবাদ লেখা পর্যন্ত ওই অভিযোগে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।