ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ৬০০ সভাপতি পলাতক

বেতন তুলতে পারছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৪:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের বেশিরভাগ সভাপতি গা-ঢাকা দিয়েছেন। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার সভাপতির মৃত্যু, পলাতক বা যেকোনো কারণে অনুপস্থিতির ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করবেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা। তারা সভাপতির পরিবর্তে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার শিটে স্বাক্ষর করবেন।
এদিকে, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার সংখ্যা রয়েছে ৬২৭টি। এর মধ্যে জেলায় মোট স্কুলের সংখ্যা ৪৮৮টি, কলেজ ২৭টি ও মাদ্রাসা ১১২টি রয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বেশিরভাগ এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন সরকারি সমর্থক নেতা-কর্মী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটলে জনরোষ এড়াতে জেলার এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার বেশিরভাগ সভাপতি পালিয়ে আছেন। এক সপ্তাহর বেশি তাদের কোনো খোঁজ নেই। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
অপর দিকে, বেতন শিটে সভাপতির স্বাক্ষর জটিলতা দেখা দিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। মহেশপুরের শহিদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শওকত আলী জানান, এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার বেতন জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয় থেকে আজই একটি চিঠি এসেছে। চিঠিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ শিক্ষকদের বেতন শিটে স্বাক্ষর করতে পারবেন। এই সার্কুলার জারি হওয়ার পর শিক্ষক কর্মচারীরা হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আজহারুল ইসলাম জানান, এমন খবর তিনিও শুনেছেন। তবে যারা পলাতক সেখানে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। আপাতত জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ শিক্ষকদের বেতন শিটে স্বাক্ষর করবেন বলে তিনি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ৬০০ সভাপতি পলাতক

বেতন তুলতে পারছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা

আপলোড টাইম : ১১:৫৪:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

ঝিনাইদহে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের বেশিরভাগ সভাপতি গা-ঢাকা দিয়েছেন। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার সভাপতির মৃত্যু, পলাতক বা যেকোনো কারণে অনুপস্থিতির ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করবেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা। তারা সভাপতির পরিবর্তে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার শিটে স্বাক্ষর করবেন।
এদিকে, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার সংখ্যা রয়েছে ৬২৭টি। এর মধ্যে জেলায় মোট স্কুলের সংখ্যা ৪৮৮টি, কলেজ ২৭টি ও মাদ্রাসা ১১২টি রয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বেশিরভাগ এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন সরকারি সমর্থক নেতা-কর্মী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটলে জনরোষ এড়াতে জেলার এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার বেশিরভাগ সভাপতি পালিয়ে আছেন। এক সপ্তাহর বেশি তাদের কোনো খোঁজ নেই। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
অপর দিকে, বেতন শিটে সভাপতির স্বাক্ষর জটিলতা দেখা দিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। মহেশপুরের শহিদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শওকত আলী জানান, এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার বেতন জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয় থেকে আজই একটি চিঠি এসেছে। চিঠিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ শিক্ষকদের বেতন শিটে স্বাক্ষর করতে পারবেন। এই সার্কুলার জারি হওয়ার পর শিক্ষক কর্মচারীরা হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আজহারুল ইসলাম জানান, এমন খবর তিনিও শুনেছেন। তবে যারা পলাতক সেখানে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। আপাতত জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ শিক্ষকদের বেতন শিটে স্বাক্ষর করবেন বলে তিনি জানান।