ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে কর্মবিরতি ভেঙে পুলিশি কার্যক্রম শুরু

স্বস্তি ফিরছে জনমনে, কাজে ফিরে খুশি পুলিশ সদস্যরাও

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩৮:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

এক সপ্তাহ পর কর্মবিরতি ভেঙে কাজে ফিরেছেন পুলিশ সদস্যরা। সারাদেশের ন্যায় গতকাল সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সদস্যরা দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা:
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে টানা সাত দিন পর কাজে ফিরেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সদস্যরা। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন তারা। তাদের সহায়তায় মাঠে রয়েছে বিজিবি, আনসার, সেনা ও শিক্ষার্থী-জনতা। দায়িত্বে ফিরে পুলিশ সদস্যরাও খুশি। জনগণের পাশে থেকে সেবা দিতে চায় পুলিশ সদস্যরা। এদিকে, গতকাল দুপুরের পর জেলা পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মহড়া দেয়। মহড়ার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা পূর্বের ন্যায় জেলাবাসীর সেবায় কাজে ফিরেছেন তার জানান দেয়। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়ে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের সেবার স্বার্থে ছাত্র সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করেছি। চুয়াডাঙ্গার পাঁচ থানা ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজে ফিরেছেন। তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন। সকালে ইউনিফর্ম পরিধান করে পুলিশ সদস্যরা থানায় আসেন। পরে থানা কম্পাউন্ডে হাজিরা দিয়ে কাজে যোগদান করেন।’ তিনি বলেন, শহরের প্রত্যেকটি পয়েন্টে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। আমরা সকল সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখতে বদ্ধপরিকর। আমি তাদেরকে সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা এই সময়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেছেন।
এদিকে, কাজে ফিরতে পেরে খুশি চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে শহীদ হাসান চত্বরে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পর কাজে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। বসে থাকার সময়গুলো আমাদের জন্য আনন্দকর ছিল না। রোদ বা বৃষ্টি যাই হোক কাজেই আমাদের আনন্দ।’ তিনি বলেন, ‘এখন থেকে সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আরও ভালো সেবা দেয়ার চেষ্টা করব।’

দামুড়হুদা:
এক সপ্তাহ পর কর্মবিরতি ভেঙে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ২টা থেকে থানার সকল কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বৃহৎ টহল দল পুরো জেলাব্যাপী মহড়া দেয়। পরে দামুড়হুদা মডেল থানার কার্যক্রম শুরু হয় এবং মডেল থানা পুলিশের মহড়া বের হয়। দুপুর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মডেল থানার কার্যক্রম শুরু হয়। পুলিশের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই জনমনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।
এদিকে, এক সপ্তাহের বেশি সময় পরে মাঠপর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতি দেখে সাধারণ মানুষ আনন্দিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এলাকার স্থানীয় মানুষ। তারা বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু, তারা যেন আর কখনো জনগণের রোষানলে পরিণত না হয়। পুলিশই পারে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের কারো প্ররোচণায় পুলিশ যেন আর ব্যবহার না হয়। তাহলে সাধারণ মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুলিশ জনতা এক যুগান্তকারী শক্তিতে পরিণত হবে। এতে করে বাংলাদেশর জনগণের কখনো কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষতি করতে পারবে না। সাধারণ মানুষ চায়, পুলিশ যেন সবসময় সাধারণ মানুষের সাথে পাশে থাকে।

oplus_0

দর্শনা:
দীর্ঘ এক সপ্তাহ পর দর্শনায় পুলিশের মহড়া দেখা গেছে। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেল ও ৩০টি পুলিশের গাড়ি নিয়ে এ মহড়া দেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা থেকে পুলিশের এ মহড়া নিয়ে দর্শনা শহরের বাসস্ট্যান্ড হয়ে হিজলগাড়ী দিকে চলে যায়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ পর দর্শনায় পুলিশের এ মহড়া দেখে জনসাধারণের মধ্যে অনেকটা আনন্দের ঝলক দেখা যায়।

ঝিনাইদহ:
৭ দিন পর ঝিনাইদহে দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকাল থেকে জেলা শহরের পায়রা চত্বর, পোস্ট অফিস মোড়, আরাপপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের ডিউটি করতে দেখা যায়। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। পুলিশ সদস্যরা কাজে ফেরায় সাধারণ মানুষ তাদের স্বাগত জানান।
ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান জানান, জেলার ৬ উপজেলার ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা কাজ শুরু করেছেন। এতে তাদের সহযোগিতা করছেন শিক্ষার্থীসহ রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা। এদিকে কাজে ফেরায় পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা।
এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে মেহেদি হাসান রাজু, আবরার জাহিন রনি, তানজিম বিন আলীম, মাসুদ রানা পারভেজ, সাব্বির হোসাইনসহ ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যরা কাজ শুরু করেছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমরা পুলিশ বাহিনীকে সকল প্রকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।

মেহেরপুর:
মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হকের নেতৃত্বে গতকাল সোমবার সকাল থেকে জেলা পুলিশের সকল থানা ও ক্যাম্পের সদস্যরা একযোগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ মাঠে কাজ শুরু করেছেন। পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগদান করায় পুলিশ সুপার শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়সহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময় করেন। পরে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট নিয়ে শহরজুড়ে পুলিশ মহড়া দিতে থাকেন।
মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কনি মিয়া জানান, সকাল থেকে মেহেরপুর সদর থানার সকল কার্ষক্রম শুরু হয়েছে। সেবা প্রার্থীরা থানায় এসে সব ধরনের আইনগত সেবা পাবেন। এছাড়া পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। মেহেরপুর ট্রাফিক বিভাগের অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন জানান, সকাল থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে জেলা ট্রাফিকের সদস্য যানজট নিরসনে কাজ শুরু করেছে। ট্রাফিকের পাশাপাশি আনসার সদস্য,বিএনসিসি ও শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।

পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক জানান, সকাল থেকে মেহেরপর জেলার সকল থানা, ক্যাম্প, ফাঁড়ি ও ট্রাফিক বিভাগ তাদের স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ আইনগত সেবা দেওয়া শুরু করেছে। পুলিশের ১১ দফা দাবি প্রত্যাহার হওয়ার পর থেকে তারা কাজে ফিরেছেন। বর্তমানে মেহেরপুর জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে পুলিশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে কর্মবিরতি ভেঙে পুলিশি কার্যক্রম শুরু

স্বস্তি ফিরছে জনমনে, কাজে ফিরে খুশি পুলিশ সদস্যরাও

আপলোড টাইম : ১১:৩৮:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

এক সপ্তাহ পর কর্মবিরতি ভেঙে কাজে ফিরেছেন পুলিশ সদস্যরা। সারাদেশের ন্যায় গতকাল সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সদস্যরা দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা:
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে টানা সাত দিন পর কাজে ফিরেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সদস্যরা। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন তারা। তাদের সহায়তায় মাঠে রয়েছে বিজিবি, আনসার, সেনা ও শিক্ষার্থী-জনতা। দায়িত্বে ফিরে পুলিশ সদস্যরাও খুশি। জনগণের পাশে থেকে সেবা দিতে চায় পুলিশ সদস্যরা। এদিকে, গতকাল দুপুরের পর জেলা পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মহড়া দেয়। মহড়ার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা পূর্বের ন্যায় জেলাবাসীর সেবায় কাজে ফিরেছেন তার জানান দেয়। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়ে পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের সেবার স্বার্থে ছাত্র সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করেছি। চুয়াডাঙ্গার পাঁচ থানা ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজে ফিরেছেন। তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন। সকালে ইউনিফর্ম পরিধান করে পুলিশ সদস্যরা থানায় আসেন। পরে থানা কম্পাউন্ডে হাজিরা দিয়ে কাজে যোগদান করেন।’ তিনি বলেন, শহরের প্রত্যেকটি পয়েন্টে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। আমরা সকল সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখতে বদ্ধপরিকর। আমি তাদেরকে সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা এই সময়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেছেন।
এদিকে, কাজে ফিরতে পেরে খুশি চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে শহীদ হাসান চত্বরে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পর কাজে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। বসে থাকার সময়গুলো আমাদের জন্য আনন্দকর ছিল না। রোদ বা বৃষ্টি যাই হোক কাজেই আমাদের আনন্দ।’ তিনি বলেন, ‘এখন থেকে সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আরও ভালো সেবা দেয়ার চেষ্টা করব।’

দামুড়হুদা:
এক সপ্তাহ পর কর্মবিরতি ভেঙে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ২টা থেকে থানার সকল কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বৃহৎ টহল দল পুরো জেলাব্যাপী মহড়া দেয়। পরে দামুড়হুদা মডেল থানার কার্যক্রম শুরু হয় এবং মডেল থানা পুলিশের মহড়া বের হয়। দুপুর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মডেল থানার কার্যক্রম শুরু হয়। পুলিশের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই জনমনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।
এদিকে, এক সপ্তাহের বেশি সময় পরে মাঠপর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতি দেখে সাধারণ মানুষ আনন্দিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এলাকার স্থানীয় মানুষ। তারা বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু, তারা যেন আর কখনো জনগণের রোষানলে পরিণত না হয়। পুলিশই পারে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের কারো প্ররোচণায় পুলিশ যেন আর ব্যবহার না হয়। তাহলে সাধারণ মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুলিশ জনতা এক যুগান্তকারী শক্তিতে পরিণত হবে। এতে করে বাংলাদেশর জনগণের কখনো কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষতি করতে পারবে না। সাধারণ মানুষ চায়, পুলিশ যেন সবসময় সাধারণ মানুষের সাথে পাশে থাকে।

oplus_0

দর্শনা:
দীর্ঘ এক সপ্তাহ পর দর্শনায় পুলিশের মহড়া দেখা গেছে। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেল ও ৩০টি পুলিশের গাড়ি নিয়ে এ মহড়া দেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা থেকে পুলিশের এ মহড়া নিয়ে দর্শনা শহরের বাসস্ট্যান্ড হয়ে হিজলগাড়ী দিকে চলে যায়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ পর দর্শনায় পুলিশের এ মহড়া দেখে জনসাধারণের মধ্যে অনেকটা আনন্দের ঝলক দেখা যায়।

ঝিনাইদহ:
৭ দিন পর ঝিনাইদহে দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকাল থেকে জেলা শহরের পায়রা চত্বর, পোস্ট অফিস মোড়, আরাপপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের ডিউটি করতে দেখা যায়। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। পুলিশ সদস্যরা কাজে ফেরায় সাধারণ মানুষ তাদের স্বাগত জানান।
ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান জানান, জেলার ৬ উপজেলার ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা কাজ শুরু করেছেন। এতে তাদের সহযোগিতা করছেন শিক্ষার্থীসহ রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা। এদিকে কাজে ফেরায় পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা।
এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে মেহেদি হাসান রাজু, আবরার জাহিন রনি, তানজিম বিন আলীম, মাসুদ রানা পারভেজ, সাব্বির হোসাইনসহ ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যরা কাজ শুরু করেছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমরা পুলিশ বাহিনীকে সকল প্রকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।

মেহেরপুর:
মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হকের নেতৃত্বে গতকাল সোমবার সকাল থেকে জেলা পুলিশের সকল থানা ও ক্যাম্পের সদস্যরা একযোগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ মাঠে কাজ শুরু করেছেন। পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগদান করায় পুলিশ সুপার শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়সহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময় করেন। পরে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট নিয়ে শহরজুড়ে পুলিশ মহড়া দিতে থাকেন।
মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কনি মিয়া জানান, সকাল থেকে মেহেরপুর সদর থানার সকল কার্ষক্রম শুরু হয়েছে। সেবা প্রার্থীরা থানায় এসে সব ধরনের আইনগত সেবা পাবেন। এছাড়া পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। মেহেরপুর ট্রাফিক বিভাগের অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন জানান, সকাল থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে জেলা ট্রাফিকের সদস্য যানজট নিরসনে কাজ শুরু করেছে। ট্রাফিকের পাশাপাশি আনসার সদস্য,বিএনসিসি ও শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।

পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক জানান, সকাল থেকে মেহেরপর জেলার সকল থানা, ক্যাম্প, ফাঁড়ি ও ট্রাফিক বিভাগ তাদের স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ আইনগত সেবা দেওয়া শুরু করেছে। পুলিশের ১১ দফা দাবি প্রত্যাহার হওয়ার পর থেকে তারা কাজে ফিরেছেন। বর্তমানে মেহেরপুর জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে পুলিশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।