ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে তিন দাবিতে সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন-অবস্থান

জরুরি সভা ডেকেও আসেননি সাধারণ সম্পাদকসহ সুবিধাবাদীরা

নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে সাধারণ সংবাদকর্মীরা বসলেন প্রেসক্লাবে, ক্লাব মিলনায়তনে অবস্থান কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৬:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নেতৃত্বের সংস্করণের দাবিতে জেলার সাধারণ সংবাদকর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগ্রাম অব্যহত রয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ দাবির প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের জরুরি সাধারণ সভা দেয়া হলেও সেখানে আসেননি ওই কমিটির বেশ কয়েকজন সুবিধাবাদী সদস্য। তারা নিজেই জানিয়েছেন, ভয়ে তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। এতে টানা দুই দিন ধরে চলা আন্দোলনকারীরা আরও বেশি ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের পাঁচ সদস্যকে তারা বয়কটের ডাক দিয়েছেন। একই সাথে চুয়াডাঙ্গাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গায় গণমাধ্যমকর্মীদের নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের পরিবেশ তৈরির জন্য চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সংস্করণের দাবিতে একাত্মতা জানানোর।

জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে দুই দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন। ওই মানববন্ধনের পরই জেলার বৈষম্যের শিকার গণমাধ্যমকর্মীরা একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান। এরপর গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষার্থীরা গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয়। ওই অবস্থান কর্মসূচিতে জেলার সকল উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে আন্দোলনটি বহু লোকের সমাগম হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয় এতে। একপর্যায়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব চত্বর উত্তাল অবস্থায় থাকে। ওই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সেখানে উপস্থিত হন জেলার প্রবীণ সাংবাদিক, সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আজাদ মালিতা, জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক অধ্যাপক শেখ সেলিমসহ জেলার প্রবীণ ও জৈষ্ঠ্য সাংবাদিকরা। দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা সকলেই সেখানে বক্তব্য দেন।

প্রেসক্লাবে দীর্ঘদিন পর সাধারণ সংবাদ কর্মীদের প্রবেশ:

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে টানা দুই দিন দীর্ঘ আন্দোলন চলার পর শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে প্রবেশ করতে চান। প্রেসক্লাবে সাধারণ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ অধিকার না থাকায় আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে ওই সময় প্রেসক্লাবের অফিস সচিব চাবি নিয়ে অন্য স্থানে ছিলেন। একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রবেশের জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। পরে প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে দেয়া নির্দেশনায় প্রেসক্লাবের তালা খুলে দেয়া হয়। প্রেসক্লাবে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে গণমাধ্যমকর্মীরা খানিকটা উল্লাস করে আবার ক্লাব মিলনায়তনেই আন্দোলন শুরু করেন। দুপুর পর্যন্ত আন্দোলন চলার পর প্রেসক্লাবের সভাপতি-সম্পাদকের তরফ থেকে জানানো হয়, সোমবারই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রেসক্লাবের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের কাছে ক্লাবের অনুরোধ ও কথা দেয়ার কারণে গণমাধ্যমকর্মীরা বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন।

বিকেল থেকে রাত দীর্ঘ অপেক্ষা, আসলেন না কমিটির সুবিধাবাদী ক’জন:

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব চত্বরে আবারও অবস্থান নেয় গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বানে দলে দলে এই আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ দেখা যায়। স্লোগানে মুখরিত হয় প্রেসক্লাব চত্বর। দীর্ঘ অপেক্ষাও শুরু হয়, কখন বসবে ক্লাবের সভা। তবে সমস্ত অপেক্ষায় সে গুড়ে বালি। সভায় অংশগ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, সহসভাপতি রফিক রহমান, নির্বাহী সদস্য জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক আজাদ মালিতা উপস্থিত হলেও কমিটির অন্য দালালী, লেজুরবৃত্তিকারী, তেলবাজ পদধারীরা সেখানে আসেন না। সময় গড়াই, আন্দোলনকারীদের ধৈর্য্যও উত্তেজনার পর্যায়ে এগোয়। রাত নয়টার পরও প্রেসক্লাবের নামধারী পদধারীরা যখন উপস্থিত না হয়, তখন গণমাধ্যমকর্মীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পুনরায় প্রবেশ করেন। সেখানে উপস্থিত কমিটির তিন সদস্যের সাথে কথা বললে, সময় নিয়ে রাত ১০টারও পরে কমিটির তিন সদস্য আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন। তারা মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সময় চান আন্দোলনকারীদের থেকে।

একপর্যায়ে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য দেন আন্দোলনকারীদের অন্যতম সাংবাদিক মেহেরাব্বিন সানভী। তিনি বলেন, নিলর্জ্জ কমিটির প্রচুর ভয়। তারা সাংবাদিক নেতা হয়ে এমন আচরণ কামনা করা যায় না। বারবার বিভিন্ন টালবাহানা করে তারা সময়ক্ষেপণ করেন। এবারেও সেই ধান্দাতেই আছেন তারা। আমরা জেলাবাসীকে আহ্বান জানায়, সাংবাদিকতার নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরির জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের এই আন্দোলনে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে যোগ দিতে হবে। এসময় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে মেহেরাব্বিন সানভী চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের কমিটিতে থাকা পাঁচজনকে বয়কট ঘোষণা করেন। বয়কটকৃত সাংবাদিকরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য সরদার আলামিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান চাঁদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসলাম রাকিব ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক আতিয়ার রহমান।

তিন দফা আন্দোলন গণমানুষের আন্দোলন:

আন্দোলনরত গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের তিন দফা আন্দোলন গণমানুষের আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, এই ক্লাবের কমিটি নির্লজ্জ। গদি বাঁচাতে ব্যস্ত তারা, সমাজ সংস্কারে নয়। তাই বৈষম্য নিরসনে এই আন্দোলন শুধু গণমাধ্যমকর্মীদের হতে পারে না। এই আন্দোলন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের। আন্দোলনরত গণমাধ্যমকর্মীরা জনগণের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরে সমর্থন প্রার্থনা করেন। তারা বলেন, আমাদের এখন তিনটি দাবি। প্রথম, বৈষম্যের শিকার গণমাধ্যমকর্মীদের চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের দুজন সদস্য কামরুজ্জামান চাঁদ ও সোহেল সজিবকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্য পদ বাতিলসহ সকল প্রকার পদ বাতিল করতে হবে। তৃতীয়ত, একটি নিরপেক্ষ প্রেসক্লাব করতে অতি দ্রুতই চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের কমিটি বৃহৎরুপে সংস্কার করতে হবে। যোগ্য মাঠে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মীদের দ্রুতই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, এই অন্যায়কারী, পক্ষপাতদুষ্টকারীরা কমিটি ভাঙবেন না। মিটিং করবেন না। প্রভাব খাটিয়ে টিকে থাকায় তাদের লক্ষ্য। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনারা বিবেকবান মানুষ এই পরিস্থিতির সবই বোঝেন। সুতরাং আপনারা তেল দিয়ে নয়, ন্যায় দিয়ে মানুষ বিবেচনা করবেন

আন্দোলনকারী গণমাধ্যমকর্মীদের পক্ষে জানানো হয়, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচনের পর নির্বাচিত কমিটি প্রেসক্লাবের সদস্য ব্যতীত সকল গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করে। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব জেলার সাধারণ সাংবাদিকদের অধিকার হরণ করে স্বার্থান্বেষীভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রকৃত সাংবাদিকদের বাইরে রেখে দলীয় প্রভাবের মাধ্যমে প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে। সরাসরি রাজনীতি করে ও দলীয় সমর্থনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রেসক্লাবের পদে আছেন। কেউ কেউ সরকারি চাকরি বা এমপিওভুক্ত চাকরি করেও প্রেসক্লাবের পদে আছেন। শুধু তাই নয়, প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র না মেনে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর যোগ্য ব্যক্তিদের সদস্য পদ দেয়া থেকেও বিরত থেকেছে প্রভাবশালী কয়েকজন। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রে স্থানীয় গণমাধ্যমের দুইজন করে প্রতিনিধিকে সহযোগী সদস্য করে অন্তর্ভুক্ত করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। তবে অযোগ্যরা স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অনায়াশেই প্রেসক্লাবের সদস্য পদসহ গুরত্বপূর্ণ পদেও স্থান পেয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবকে নিরপেক্ষ করার জন্য এই আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও যুক্ত হন। গণমাধ্যমকর্মীদের এই আন্দোলনে সম্মতি জানিয়েছেন তারাও। এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গার অন্যতম সমন্বয়ক সাফ্ফাতুল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নেতৃত্বের সংস্করণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মী ভাইয়েরা সত্য প্রকাশে কাজ করেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আমরা দেখেছি যারা সত্য প্রকাশে কাজ করতে চেয়েছেন, তাদেকে বাঁধা দেয়া হয়েছে। প্রেসক্লাব থেকে আমাদের ন্যায্য দাবিতে সে সময় কোনো প্রকার সহযোগিতা করা হয়নি। ক্ষমতাসীন দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক প্রভাবের স্থান থাকায় প্রেসক্লাবের নেতৃত্বস্থানীয় সংবাদকর্মীরা অন্য সাধারণ সংবাদ কর্মীদের কাজেও বাঁধা সৃষ্টি করেছে। আমরা চাই স্বচ্ছ প্রেসক্লাব, যেখানে সকলের সমঅধিকার থাকবে। সত্য প্রকাশে সংবাদকর্মীরা থাকবেন নির্ভীক। আমরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্বের সংস্করণে যোগ্যদের স্থান দেয়া ও পূর্বের কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিট গঠন করাসহ দুই দফা দাবি জানাচ্ছি।’

আন্দোলনে উপস্থিত হয়ে প্রবীণ সাংবাদিক সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সদস্য আজাদ মালিতা বলেন, ‘আপনাদের দাবি ন্যায্য দাবি। আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। আপনারা নিশ্চয় সফল হবেন।’

আন্দোলনে অংশ নিয়ে বা সমর্থন জানিয়ে সেখানে উপস্থিত হন সিনিয়র সাংবাদিক এম এম আলাউদ্দীন, সিনিয়র সাংবাদিক শেখ সেলিম, ৭১ টিভির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি এম এ মামুন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিফাত রহমান, দৈনিক শেয়ার বিজের প্রতিনিধি মফিজ জোয়ার্দ্দার, দৈনিক সংগ্রামের প্রতিনিধি এফ এ আলমগীর, নাগরিক টিভির জেলা প্রতিনিধি হুসাইন মালিক, সময় টিভির প্রতিনিধি মাহফুজ মামুন, আজকের পত্রিকা ও সময়ের সমীকরণের প্রতিনিধি মেহেরাব্বিন সানভী, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি সুস্থির আজাদ, মোহনা টিভির প্রতিনিধি সাইফ জাহান, ঢাকা টাইমস-এর প্রতিনিধি আহসান আলম, বার্তা২৪-এর প্রতিনিধি ফেরদৌস ওয়াহিদ, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা ডালিম, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার সহকারী বার্তা সম্পাদক রিপন হোসেন, দৈনিক মাথাভাঙ্গার মফস্বল সম্পাদক (শিফট ইনচার্জ) আলম আশরাফ, স্টাফ রিপোর্টার শামসুজ্জোহা রানা, সাংবাদিক আজাদুল ইসলাম, দৈনিক সময়ের সমীকরণের নিজস্ব প্রতিবেদক রুদ্র রাসেল, দৈনিক বঙ্গ সংবাদের প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম, দৈনিক ভোরের আকাশের প্রতিনিধি শিরিন জামান, এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি হাসেম রাজ, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিনিধি এএইচ কামরুল, সাইদুর রহমান, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাহিদ হাসান, হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ হাসান, সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম লিণ্টু, আকিমুল ইসলাম, একরামুল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি সাকিবুর রহমান সাকিব, দৈনিক এই আমার দেশের প্রতিনিধি শামীম রেজা, দ্য ডেইলি পোস্টের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ হক, নাগরিক টিভির ক্যামেরা পারসন সাকিব আল হাসান, দৈনিক চুয়াডাঙ্গার প্রতিনিধি মো. হুসাইন, দৈনিক আজকের খাসখবরের প্রতিনিধি হাতেম আলী, দৈনিক সময়ের সমীকরণের হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি সেলিম রেজা, আসমানখালী প্রতিনিধি ”ঞ্চল হোসেন, হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবের সদস্য রুবেল হোসেন, সেলিম হোসেন, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিনিধি সাইদুর রহমান, আজকের বসুন্ধরার প্রতিনিধি আমিনুর রহমান নয়ন, আজকের খাসখবরের প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি আজাদ হোসেন, মর্নিং অবজারভারের প্রতিনিধি সোহেল তানজীদ, দৈনিক খাসখবরের প্রতিনিধি সজিব আহমেদ, ফাহিম উদ্দীন প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে তিন দাবিতে সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন-অবস্থান

জরুরি সভা ডেকেও আসেননি সাধারণ সম্পাদকসহ সুবিধাবাদীরা

নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে সাধারণ সংবাদকর্মীরা বসলেন প্রেসক্লাবে, ক্লাব মিলনায়তনে অবস্থান কর্মসূচি

আপলোড টাইম : ১০:৪৬:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নেতৃত্বের সংস্করণের দাবিতে জেলার সাধারণ সংবাদকর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগ্রাম অব্যহত রয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ দাবির প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের জরুরি সাধারণ সভা দেয়া হলেও সেখানে আসেননি ওই কমিটির বেশ কয়েকজন সুবিধাবাদী সদস্য। তারা নিজেই জানিয়েছেন, ভয়ে তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। এতে টানা দুই দিন ধরে চলা আন্দোলনকারীরা আরও বেশি ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের পাঁচ সদস্যকে তারা বয়কটের ডাক দিয়েছেন। একই সাথে চুয়াডাঙ্গাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গায় গণমাধ্যমকর্মীদের নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের পরিবেশ তৈরির জন্য চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সংস্করণের দাবিতে একাত্মতা জানানোর।

জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে দুই দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন। ওই মানববন্ধনের পরই জেলার বৈষম্যের শিকার গণমাধ্যমকর্মীরা একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান। এরপর গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষার্থীরা গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয়। ওই অবস্থান কর্মসূচিতে জেলার সকল উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে আন্দোলনটি বহু লোকের সমাগম হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয় এতে। একপর্যায়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব চত্বর উত্তাল অবস্থায় থাকে। ওই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সেখানে উপস্থিত হন জেলার প্রবীণ সাংবাদিক, সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আজাদ মালিতা, জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক অধ্যাপক শেখ সেলিমসহ জেলার প্রবীণ ও জৈষ্ঠ্য সাংবাদিকরা। দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা সকলেই সেখানে বক্তব্য দেন।

প্রেসক্লাবে দীর্ঘদিন পর সাধারণ সংবাদ কর্মীদের প্রবেশ:

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে টানা দুই দিন দীর্ঘ আন্দোলন চলার পর শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে প্রবেশ করতে চান। প্রেসক্লাবে সাধারণ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ অধিকার না থাকায় আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে ওই সময় প্রেসক্লাবের অফিস সচিব চাবি নিয়ে অন্য স্থানে ছিলেন। একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রবেশের জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। পরে প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে দেয়া নির্দেশনায় প্রেসক্লাবের তালা খুলে দেয়া হয়। প্রেসক্লাবে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে গণমাধ্যমকর্মীরা খানিকটা উল্লাস করে আবার ক্লাব মিলনায়তনেই আন্দোলন শুরু করেন। দুপুর পর্যন্ত আন্দোলন চলার পর প্রেসক্লাবের সভাপতি-সম্পাদকের তরফ থেকে জানানো হয়, সোমবারই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রেসক্লাবের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের কাছে ক্লাবের অনুরোধ ও কথা দেয়ার কারণে গণমাধ্যমকর্মীরা বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন।

বিকেল থেকে রাত দীর্ঘ অপেক্ষা, আসলেন না কমিটির সুবিধাবাদী ক’জন:

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব চত্বরে আবারও অবস্থান নেয় গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বানে দলে দলে এই আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ দেখা যায়। স্লোগানে মুখরিত হয় প্রেসক্লাব চত্বর। দীর্ঘ অপেক্ষাও শুরু হয়, কখন বসবে ক্লাবের সভা। তবে সমস্ত অপেক্ষায় সে গুড়ে বালি। সভায় অংশগ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, সহসভাপতি রফিক রহমান, নির্বাহী সদস্য জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক আজাদ মালিতা উপস্থিত হলেও কমিটির অন্য দালালী, লেজুরবৃত্তিকারী, তেলবাজ পদধারীরা সেখানে আসেন না। সময় গড়াই, আন্দোলনকারীদের ধৈর্য্যও উত্তেজনার পর্যায়ে এগোয়। রাত নয়টার পরও প্রেসক্লাবের নামধারী পদধারীরা যখন উপস্থিত না হয়, তখন গণমাধ্যমকর্মীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পুনরায় প্রবেশ করেন। সেখানে উপস্থিত কমিটির তিন সদস্যের সাথে কথা বললে, সময় নিয়ে রাত ১০টারও পরে কমিটির তিন সদস্য আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন। তারা মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সময় চান আন্দোলনকারীদের থেকে।

একপর্যায়ে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য দেন আন্দোলনকারীদের অন্যতম সাংবাদিক মেহেরাব্বিন সানভী। তিনি বলেন, নিলর্জ্জ কমিটির প্রচুর ভয়। তারা সাংবাদিক নেতা হয়ে এমন আচরণ কামনা করা যায় না। বারবার বিভিন্ন টালবাহানা করে তারা সময়ক্ষেপণ করেন। এবারেও সেই ধান্দাতেই আছেন তারা। আমরা জেলাবাসীকে আহ্বান জানায়, সাংবাদিকতার নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরির জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের এই আন্দোলনে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে যোগ দিতে হবে। এসময় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে মেহেরাব্বিন সানভী চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের কমিটিতে থাকা পাঁচজনকে বয়কট ঘোষণা করেন। বয়কটকৃত সাংবাদিকরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য সরদার আলামিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান চাঁদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসলাম রাকিব ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক আতিয়ার রহমান।

তিন দফা আন্দোলন গণমানুষের আন্দোলন:

আন্দোলনরত গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের তিন দফা আন্দোলন গণমানুষের আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, এই ক্লাবের কমিটি নির্লজ্জ। গদি বাঁচাতে ব্যস্ত তারা, সমাজ সংস্কারে নয়। তাই বৈষম্য নিরসনে এই আন্দোলন শুধু গণমাধ্যমকর্মীদের হতে পারে না। এই আন্দোলন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের। আন্দোলনরত গণমাধ্যমকর্মীরা জনগণের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরে সমর্থন প্রার্থনা করেন। তারা বলেন, আমাদের এখন তিনটি দাবি। প্রথম, বৈষম্যের শিকার গণমাধ্যমকর্মীদের চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের দুজন সদস্য কামরুজ্জামান চাঁদ ও সোহেল সজিবকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্য পদ বাতিলসহ সকল প্রকার পদ বাতিল করতে হবে। তৃতীয়ত, একটি নিরপেক্ষ প্রেসক্লাব করতে অতি দ্রুতই চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের কমিটি বৃহৎরুপে সংস্কার করতে হবে। যোগ্য মাঠে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মীদের দ্রুতই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, এই অন্যায়কারী, পক্ষপাতদুষ্টকারীরা কমিটি ভাঙবেন না। মিটিং করবেন না। প্রভাব খাটিয়ে টিকে থাকায় তাদের লক্ষ্য। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনারা বিবেকবান মানুষ এই পরিস্থিতির সবই বোঝেন। সুতরাং আপনারা তেল দিয়ে নয়, ন্যায় দিয়ে মানুষ বিবেচনা করবেন

আন্দোলনকারী গণমাধ্যমকর্মীদের পক্ষে জানানো হয়, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচনের পর নির্বাচিত কমিটি প্রেসক্লাবের সদস্য ব্যতীত সকল গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করে। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব জেলার সাধারণ সাংবাদিকদের অধিকার হরণ করে স্বার্থান্বেষীভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রকৃত সাংবাদিকদের বাইরে রেখে দলীয় প্রভাবের মাধ্যমে প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে। সরাসরি রাজনীতি করে ও দলীয় সমর্থনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রেসক্লাবের পদে আছেন। কেউ কেউ সরকারি চাকরি বা এমপিওভুক্ত চাকরি করেও প্রেসক্লাবের পদে আছেন। শুধু তাই নয়, প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র না মেনে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর যোগ্য ব্যক্তিদের সদস্য পদ দেয়া থেকেও বিরত থেকেছে প্রভাবশালী কয়েকজন। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রে স্থানীয় গণমাধ্যমের দুইজন করে প্রতিনিধিকে সহযোগী সদস্য করে অন্তর্ভুক্ত করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। তবে অযোগ্যরা স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অনায়াশেই প্রেসক্লাবের সদস্য পদসহ গুরত্বপূর্ণ পদেও স্থান পেয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবকে নিরপেক্ষ করার জন্য এই আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও যুক্ত হন। গণমাধ্যমকর্মীদের এই আন্দোলনে সম্মতি জানিয়েছেন তারাও। এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গার অন্যতম সমন্বয়ক সাফ্ফাতুল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নেতৃত্বের সংস্করণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মী ভাইয়েরা সত্য প্রকাশে কাজ করেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আমরা দেখেছি যারা সত্য প্রকাশে কাজ করতে চেয়েছেন, তাদেকে বাঁধা দেয়া হয়েছে। প্রেসক্লাব থেকে আমাদের ন্যায্য দাবিতে সে সময় কোনো প্রকার সহযোগিতা করা হয়নি। ক্ষমতাসীন দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক প্রভাবের স্থান থাকায় প্রেসক্লাবের নেতৃত্বস্থানীয় সংবাদকর্মীরা অন্য সাধারণ সংবাদ কর্মীদের কাজেও বাঁধা সৃষ্টি করেছে। আমরা চাই স্বচ্ছ প্রেসক্লাব, যেখানে সকলের সমঅধিকার থাকবে। সত্য প্রকাশে সংবাদকর্মীরা থাকবেন নির্ভীক। আমরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্বের সংস্করণে যোগ্যদের স্থান দেয়া ও পূর্বের কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিট গঠন করাসহ দুই দফা দাবি জানাচ্ছি।’

আন্দোলনে উপস্থিত হয়ে প্রবীণ সাংবাদিক সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সদস্য আজাদ মালিতা বলেন, ‘আপনাদের দাবি ন্যায্য দাবি। আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। আপনারা নিশ্চয় সফল হবেন।’

আন্দোলনে অংশ নিয়ে বা সমর্থন জানিয়ে সেখানে উপস্থিত হন সিনিয়র সাংবাদিক এম এম আলাউদ্দীন, সিনিয়র সাংবাদিক শেখ সেলিম, ৭১ টিভির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি এম এ মামুন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিফাত রহমান, দৈনিক শেয়ার বিজের প্রতিনিধি মফিজ জোয়ার্দ্দার, দৈনিক সংগ্রামের প্রতিনিধি এফ এ আলমগীর, নাগরিক টিভির জেলা প্রতিনিধি হুসাইন মালিক, সময় টিভির প্রতিনিধি মাহফুজ মামুন, আজকের পত্রিকা ও সময়ের সমীকরণের প্রতিনিধি মেহেরাব্বিন সানভী, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি সুস্থির আজাদ, মোহনা টিভির প্রতিনিধি সাইফ জাহান, ঢাকা টাইমস-এর প্রতিনিধি আহসান আলম, বার্তা২৪-এর প্রতিনিধি ফেরদৌস ওয়াহিদ, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা ডালিম, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার সহকারী বার্তা সম্পাদক রিপন হোসেন, দৈনিক মাথাভাঙ্গার মফস্বল সম্পাদক (শিফট ইনচার্জ) আলম আশরাফ, স্টাফ রিপোর্টার শামসুজ্জোহা রানা, সাংবাদিক আজাদুল ইসলাম, দৈনিক সময়ের সমীকরণের নিজস্ব প্রতিবেদক রুদ্র রাসেল, দৈনিক বঙ্গ সংবাদের প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম, দৈনিক ভোরের আকাশের প্রতিনিধি শিরিন জামান, এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি হাসেম রাজ, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিনিধি এএইচ কামরুল, সাইদুর রহমান, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাহিদ হাসান, হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ হাসান, সরোজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম লিণ্টু, আকিমুল ইসলাম, একরামুল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি সাকিবুর রহমান সাকিব, দৈনিক এই আমার দেশের প্রতিনিধি শামীম রেজা, দ্য ডেইলি পোস্টের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ হক, নাগরিক টিভির ক্যামেরা পারসন সাকিব আল হাসান, দৈনিক চুয়াডাঙ্গার প্রতিনিধি মো. হুসাইন, দৈনিক আজকের খাসখবরের প্রতিনিধি হাতেম আলী, দৈনিক সময়ের সমীকরণের হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি সেলিম রেজা, আসমানখালী প্রতিনিধি ”ঞ্চল হোসেন, হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবের সদস্য রুবেল হোসেন, সেলিম হোসেন, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিনিধি সাইদুর রহমান, আজকের বসুন্ধরার প্রতিনিধি আমিনুর রহমান নয়ন, আজকের খাসখবরের প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি আজাদ হোসেন, মর্নিং অবজারভারের প্রতিনিধি সোহেল তানজীদ, দৈনিক খাসখবরের প্রতিনিধি সজিব আহমেদ, ফাহিম উদ্দীন প্রমুখ।