আইলহাঁসে ব্যবসায়ী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- আপলোড টাইম : ১২:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
- / ১৯ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস গ্রাম থেকে হোটেল ব্যবসায়ী আবু সাবের (৫৫) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে আইলহাঁস গ্রামের তার হোটেল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবু সাবের খুলনা জেলার সিটি কর্পোরেশন এলাকার বানিয়া খামার বাড়ির সোনাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে। এসময় একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমাকে গোসল করাবা দোকানের মধ্যে যেটি হোটেল হিসেবে আছে। আমার কাপড়-চোপড় ইত্যাদি যা আছে, তোমার কাজে লাগলে নিবা। তা না লাগলে গরিব কাউকে দিয়া দিবা। তোমাকে আমি ফোন দিব ফজরের নামাজের পর।’
স্থানীয়রা জানান, ৫ বছর আগে পারিবারিক বিরোধের কারণে আবু সাবের খুলনা থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস গ্রামের পূর্ব পরিচিত হাবিবুর ফকিরের বাড়িতে ওঠেন। তিনি কিছুদিন তার বাড়িতে থাকায় তাদের পারিবারিক ঝামেলা দেখা দেয়। এর একপর্যায়ে আবু সাবের হাবিবুর ফকিরের বড় ভাই আশানুর ফকিরের বাড়িতে ওঠেন। তার বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করছিলেন। আশানুর ফকিরের দেওয়া জায়গায় গত ৬ মাস আগে তিনি চা, কফি ও হোটেল নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন। গত শনিবার রাতে ১৬ পৃষ্ঠার একটি খাতায় তার মান-অভিমানের কথা লিখে এক যুবকের কাছে দেন। তাকে জানান, রোববার সকালে আশানুর ফকিরের ছেলে মিজানের নিকট খাতাটি দিতে।
তারা আরও জানান, শনিবার রাতে সবাই বাড়িতে চলে গেলেও আবু সাবের তার ওই হোটেলেই ছিলেন। গতকাল রোববার সকালে দোকান বন্ধ দেখে স্থানীয়রা ডাকাডাকি করে। পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের সহযোগিতায় হোটেলের দরজা ভেঙে আবু সাবেরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী দাবি করেন, খাতায় ১৬ পৃষ্ঠায় লেখা তার মান-অভিমানের কথা লেখা থাকলেও ঝুলন্ত লাশ দেখে মনে হচ্ছে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম হোসেন ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির আত্মীয়রা এসে অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।