চুয়াডাঙ্গায় নিত্যপণ্যের বাজার দর নিয়ে গুজব, এড়িয়ে চলার আহ্বান সেনাবাহিনীর
পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় বাজারে ফিরছে ক্রেতা, খুশি ব্যবসায়ীরা
- আপলোড টাইম : ০৪:২৩:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে
সংকটকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিত্যপণ্যের ‘সেনাবাহিনীর নির্ধারিত দর’ বা ‘বাংলাদেশের বাজার মূল্যতালিকা’ বলে একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সেনাবাহিনী বলছে, এ ধরনের কোনো বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ শিক্ষার্থীরাও বাজার তদারকিতে আছেন। গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য এড়িয়ে চলতে বা প্রচার না করতে অনুরোধ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আমির হোসেন নামে এক ক্রেতা ফেসবুকে বাজার মূল্যের ছবি দেখে বাজারে এসে হতাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, এই তালিকার দামের সঙ্গে বাজার দরের কোনো মিল নেই। এ নিয়ে বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে তর্কাতর্কিও হচ্ছে। আরেক ক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকে দাম কমার তথ্য কারা ছড়ায় বা কেন ছড়ায়, সেটা বুঝলাম না। এখন বুঝলাম দাম কমার প্রচারণা গুজব।’ আলম আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘অনেকের পোস্ট দেখছিলাম দাম কমেছে। কিন্তু বাজার সেই আগের মতোই আছে। মনে হচ্ছে ছাত্রদের আন্দোলন করে এবার বাজার নিয়ন্ত্রণ করা লাগবে। না হয় ব্যবসায়ীরা দাম কমাবে না।’
এই ক্রেতা আশা করেন, সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এবার বাজারে বাজারে গিয়ে ছাত্রদের প্রতিনিধি দল পণ্যমূল্য যাচাই করবেন। দরদাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে বাজারে তর্কাতর্কি হচ্ছে বিক্রেতাদের। ক্রেতারা ফেসবুকে প্রচারিত মূল্যে কিনতে চাইছেন। কিন্তু বিক্রেতাদের দাবি, তারা পাইকারিতেই কিনেছেন এর চেয়েও অনেক বেশিতে।
বাজারের মূল্যতালিকার ওই প্রচারে সেনাবাহিনীর যে নম্বর দেয়া হয়েছে, সেই নম্বরে কল দেয়া হলে একজন বলেন, ‘বাজারের মূল্যতালিকা নিয়ে যে পোস্টার হয়েছে, তা আমরাও শুনেছি। তবে দ্রব্যমূল্যের তালিকা এটা আমাদের দেওয়া না। আমার নম্বর তো অনেকের কাছেই আছে। যারা এই কাজটা করেছে তারা আমার নম্বরটা এখানে দিয়ে দিয়েছে।’
এদিকে, ক্রেতা ফেরায় স্বস্তিতে বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়া কমায় ব্যবসার হেরফের হয় কমেই। কারণ, পাইকারিতে বেশিতে কিনলে তারা খুচরাতেও বাড়িয়ে বেচেন, সেখানে দাম কমলে তারাও কমে বেচেন। তারা স্বস্তিতে আছেন এই কারণে যে, ক্রেতা ফিরেছে।
সবজি বিক্রেতা আনিস মিয়া বলেন, ‘এতদিন মানুষ বাঁচব না মরব, সেটা নিয়াই আতঙ্কে ছিল। বাজারে তেমন ক্রেতা আসেনি। এবার একটা সমাধান হইছে, বাজারে ক্রেতা ভিড়ছে। আন্দোলনের শুরু থেকেই বেচাকেনা নষ্ট হয়ে গেছিল। এখন সব ঠিকঠাক হবে।’
চুয়াডাঙ্গার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল মোহা. জয়নুল আবেদীন বলেন, এ ধরনের কোনো প্রচারণা আমাদের পক্ষে করা হচ্ছে না। বাজার মূল্য নিয়ে গুজব ছড়ানো হতে পারে। আপনারা সচেতন থাকবেন, এবং সচেতন করবেন। সেনাবাহিনীর পক্ষে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।