জিরাট গ্রামে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে প্রাচীর দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি মানবেতর জীবন যাপন করছে বছির আহমেদের পরিবার
- আপলোড টাইম : ১০:৪০:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে
দর্শনা অফিস: জিরাট গ্রাম বাড়ির পথে থেকে বের হওয়ার পথে প্রাচীর দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বছির আহমেদ ও তার পরিবারকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৌশলে জমির দলিলে নকশা করে ঐ পরিবারকে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি করেছে। গ্রামের লোকজন জানায়, এ ব্যাপারে কয়েক দফা শালিস করে এ সমস্যার সমাধান হয়নি। আবশেষে গত ১২ আগষ্ট জিরাট গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আরিফ, তারিক ও তাদের আত্মীয় অথবা কর্মচারী রাজা আহমেদ ৮/৯ রাজ মিস্ত্রী এনে প্রায় ১০ ফুট উচু প্রাচীর দিয়ে একই গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে বছির আহমেদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয় সময়ের সমীকরণে একটি প্রতিবেন প্রকাশ হলে রাজা আহম্মেদ গত ২৮ আগষ্ট একটি প্রতিবাদ দেন। এরপর বছির আহম্মেদ গ্রামের লোকজন নিয়ে বিষটি নিস্পত্তি করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছে। এরপর সারা গ্রামের মানুষের গণ-স্বাক্ষর গ্রহন করে। আজ তার বিরুদ্ধে করা চাদাঁবাজী মামলায় জামিন হতে কোটে উপস্থিত হবেন বলে বছির জানায়। বছির বলেন আমি একজন চাষী মানুষ পান চাষ করে দিনপাত করি। আমি চাঁদাবাজ না ভালো মানুষ গ্রামের সবাই জানে। আমি দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে এ বাড়িতে বসবাস করেছি। সেই থেকে বাড়ি সামনে দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। হঠাৎ করে আমার বাড়ি থেকে রের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াই আমার পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। এরপরও আরিফ ও তারিকের ফুফাতো বোনের ছেলে রাজা আহম্মেদ পিতা নুরুল ইসলাম এর ছেলেকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ও আমার কলেজ পড়–য়া ছেলে জনি নামে চাঁদা বাজি মামলা করেছে। আরিফ ও তারিক কাছে নিজে বলেছি গ্রামের মানূষ দিয়ে এমনকি পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলমের নিকট জনিয়ে ঘটনাটি তার মিটাতে চাইনি। রওশন আলী গং এর ছেলে না থাকায় নাতি ছেলে বছির আহমেদকে সাড়ে ৩২ শতক জমি দান করে। সেই থেকে বছির দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে বাড়ি করে বসবাস করে আসছি। দীর্ঘ ৪৬ বছর বসবাস করার পর এখন পথ বন্ধ করে আমি এখন স্ত্রী-পুত্র নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তবে রাজা আহমেদ জানায়, আরিফ তারিকের আমি কর্মচারী। নকশায় তাদের যে জমি আছে সেখানে আমাকে প্রাচীর দেওয়ার জন্য বলেছে। আমি তাদের কথামত প্রাচীর দিয়েছি।