চুয়াডাঙ্গা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অনিককে মারা যাননি, তাকে মারধরও করা হয়নি
গুজবের বিরুদ্ধে সচেতনতা ও নিশ্চিত হয়ে তথ্য প্রদানের আহ্বান
- আপলোড টাইম : ১০:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
- / ১১৮ বার পড়া হয়েছে
গ্রাম বা ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের গ্রুপগুলোর মধ্যেই নানা রকম সংঘাতের সংবাদ আসছে। তারা নিজেরাই বিভিন্ন মাধ্যমে আওয়ামী লীগেই থাকা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছেন। আবার কোথাও কোথাও দুষ্কৃতিকারীদের হামলা, ব্যক্তি দ্বন্দ্বের প্রতিশোধ পরায়ণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সুযোগের ব্যবহার করছেন দৃষ্কৃতিকারীরা। আবার এই অবস্থায় বিভিন্ন দিক থেকে মুত্যু-সংঘাতের গুজব পাওয়া যাচ্ছে। তবে এর ৯০ ভাগই সত্য নয়। সচেতন মহলের দাবি, নিশ্চিত না হয়ে তথ্য ছড়ানো যাবে না, এই বিশেষ সময়ে গুজব প্রতিরোধে সকলকে কাজ করতে হবে।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গায় গত সোমবার দুপুরের পর থেকেই বহু গুজব ছড়ানো হয়। তবে যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা বেশ ঝামেলায় পড়েছেন। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় তথ্যের সত্যতা নিয়ে নানা রকম সমস্যা তৈরি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুজব ওঠে পদ্মবিলায় কয়েকজন নিহত হয়েছেন। তবে সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আলমের লোকজন গোপিনাথপুর গ্রামসহ পদ্মবিলা ইউনিয়নে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা প্রায় ৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। তবে কারো মৃত্যু সেখানে হয়নি।
আবার হঠাৎ করেই গুজব ছড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ভাস্তে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি আহত হয়েছেন। তবে তাকে খুঁেজই পাওয়া যায়নি। নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, তিনি নিজেই লুকিয়ে আছেন, সেফ জায়গায় আছেন। তাকে কোথাও মারধর করা হয়নি।
অপর দিকে, সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামে একজনের মৃত্যুর খবর রটে। তবে সে তথ্যেরও সতত্যা পাওয়া যায়নি। অনেকেই বলছেন, বোয়ালিয়া গ্রামে অবস্থিত নান্নু মিয়ার ইটভাটায় একজনের লাশ আছে। সেটিও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। জেলার চার উপজেলা থেকেই এমন গুজবের সংবাদ আসছে বারবার। তবে এসব গুজবের ৯০ ভাগের ওপরেই মিথ্যা।
সচেতন মহল বলছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে ধৈর্য্য থাকতে হবে। সচেতনতার প্রয়োজন অত্যাধিক বেশি। এই সময়ে নিশ্চিত না হয়ে কোনো গুজব ছড়ানো যাবে না। বিশেষ করে গণমাধ্যমের ওপর আস্থা রাখতে হবে।