ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় ‘ধর্ষককে’ গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:১১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসবাগুন্দা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ‘ধর্ষক’ আলাউদ্দিন গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ফাতেমা খাতুনের পক্ষে মানি খন্দকার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মানবতা ফাউন্ডেশনের গণসংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন হাবলু, অপারেশন অফিসার অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল ও মোটিভেশন অফিসার জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর।
ফাতেমা খাতুনের পক্ষে মানি খন্দকার লিখিত বক্তব্য বলেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার পর সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে আমার মা আমাকে আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী সুলতানা ইভার বাসায় রাখেন। আমি প্রায় ১৩ বছর ধরে সেই বাড়িতে বাসায় বসবাস করি। চাকরির সুবাদে আমি ভাবির সাথে মিরপুর মডেল থানাধীন (ছাপাখানা মোড়) বাসায় থাকতাম। আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (৪৩), আমার ভাবি কিসমত সুলতানার আমেরিকান প্রবাসী আপন শাশুড়ী মোছাম্মদ নাদিরা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী হওয়াই প্রায়ই বাসায় যাওয়া-আসা করতে থাকেন। আসামি বাসায় এসে প্রায়ই অবস্থান করতেন। আমার ভাবি উপজেলা কৃষি অফিস নারায়ণগঞ্জ, ঢাকায় কর্মরত এবং তাহার স্বামী বেসরকারি চাকরির সুবাদে প্রতিনিয়ত আমাকে বাসায় একা রেখে যেতেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার দিকে ভাবি তার স্বামী আমাকে ও তার সৎ বাবাকে (আসামি) বাড়িতে রেখে তাদের দুই সন্তানকে দিয়ে অফিসে যান। বেলা ১১টার দিকে আমি বারান্দায় বসে থাকা অবস্থায় আসামি আমাকে কাজের কথা বলে রুমে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি আমাকে আমেরিকায় নিয়ে যাবে বলে প্রলোভন দেন। বলেন, আমি বিদেশ চলে গেলে তোমাকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়াসহ আমার নামের সম্পত্তি দিয়ে যাব। আমাকে বিবাহ করবে। পরে আমাকে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় আমাকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকেন। তিনি সর্বশেষ গত ৮ মে বেলা ১১টার দিকে আমাকে ধর্ষণ করেন। আমি অন্তঃসত্তা হলে বিষয়টি আমার ভাবিকে বলি। পরে তিনি আমার মা ও ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে আলোচনা করেন। এরপর তাদের সহায়তায় মিরপুর মডেল থানায় এজাহার দাখিল করি। মিরপুর মডেল থানার শিশু নির্যাতন মামলা নম্বর ২৬। বাদী মোছা ফাতেমা খাতুন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গায় ‘ধর্ষককে’ গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ১০:১১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসবাগুন্দা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ‘ধর্ষক’ আলাউদ্দিন গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ফাতেমা খাতুনের পক্ষে মানি খন্দকার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মানবতা ফাউন্ডেশনের গণসংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন হাবলু, অপারেশন অফিসার অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল ও মোটিভেশন অফিসার জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর।
ফাতেমা খাতুনের পক্ষে মানি খন্দকার লিখিত বক্তব্য বলেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার পর সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে আমার মা আমাকে আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী সুলতানা ইভার বাসায় রাখেন। আমি প্রায় ১৩ বছর ধরে সেই বাড়িতে বাসায় বসবাস করি। চাকরির সুবাদে আমি ভাবির সাথে মিরপুর মডেল থানাধীন (ছাপাখানা মোড়) বাসায় থাকতাম। আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (৪৩), আমার ভাবি কিসমত সুলতানার আমেরিকান প্রবাসী আপন শাশুড়ী মোছাম্মদ নাদিরা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী হওয়াই প্রায়ই বাসায় যাওয়া-আসা করতে থাকেন। আসামি বাসায় এসে প্রায়ই অবস্থান করতেন। আমার ভাবি উপজেলা কৃষি অফিস নারায়ণগঞ্জ, ঢাকায় কর্মরত এবং তাহার স্বামী বেসরকারি চাকরির সুবাদে প্রতিনিয়ত আমাকে বাসায় একা রেখে যেতেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার দিকে ভাবি তার স্বামী আমাকে ও তার সৎ বাবাকে (আসামি) বাড়িতে রেখে তাদের দুই সন্তানকে দিয়ে অফিসে যান। বেলা ১১টার দিকে আমি বারান্দায় বসে থাকা অবস্থায় আসামি আমাকে কাজের কথা বলে রুমে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি আমাকে আমেরিকায় নিয়ে যাবে বলে প্রলোভন দেন। বলেন, আমি বিদেশ চলে গেলে তোমাকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়াসহ আমার নামের সম্পত্তি দিয়ে যাব। আমাকে বিবাহ করবে। পরে আমাকে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় আমাকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকেন। তিনি সর্বশেষ গত ৮ মে বেলা ১১টার দিকে আমাকে ধর্ষণ করেন। আমি অন্তঃসত্তা হলে বিষয়টি আমার ভাবিকে বলি। পরে তিনি আমার মা ও ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে আলোচনা করেন। এরপর তাদের সহায়তায় মিরপুর মডেল থানায় এজাহার দাখিল করি। মিরপুর মডেল থানার শিশু নির্যাতন মামলা নম্বর ২৬। বাদী মোছা ফাতেমা খাতুন।’