ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ইং ০২/০৭/১৬ তারিখ ও ০৪/০৭/১৬ তারিখে স্থানীয় পত্রিকা গুলোতে “চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের কারণে একই কার্য্যালয়ের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ আমিরুল ইসলাম ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ বদরুজ্জামানকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নানাভাবে হয়রানী করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ আমিরুল ইসলাম ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক  মো: বদরুজ্জামান দৈনিক সময়ের সমীকরণে এক লিখিত অভিযোগে জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর চুয়াডাঙ্গা।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপকর্ম পত্রিকায় প্রকাশের কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। গত ইং ০২/০৭/১৬ তারিখে দৈনিক সময়ের সমীকরণ ও দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকায় এবং ০৪/০৭/১৬ তারিখে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় “চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মেজবাউল হক, আমাদেরকে সন্দেহ করিয়া প্রকাশের বিষয়ে গত ইং ১১/০৭/১৬ তারিখ হতে ২৮/০৭/১৬ তারিখ পর্যন্ত ১৭ দিনে পৃথক পৃথকভাবে ৭টি শোকজ নোটিশ করেন আমাদেরকে। শোকজ নোটিশে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, প্রশিক্ষনে বরাদ্দ নাস্তার প্যাকেট ছিনতাইসহ চুরির অভিযোগের বিষয় উত্থাপন করেছেন এবং সর্বশেষ শোকজ নোটিশে বেতনভাতা বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তার অভিযোগে অপরাধের তারিখ, সময়, কাদের সম্মুখে ঘটনা ঘটেছে কিছুই উল্লেখ করেননি। আমাদের বিরুদ্ধে তার উত্থাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। অফিসের একটি কর্মচারীও ডা: মেজবাউল হকের আচার-আচরনে সন্তুষ্ট নন। এমনকি ড: মেজবাউল হকের অসদাচরণ এর কারণে তার কক্ষে আমাদের কেউ প্রবেশও  করেন না। আমরা গত ২৬ বছর সুনামের সাথে চাকুরী করে আসছি। কোন কর্মকর্তা আামাদের বিরুদ্ধে একটিও অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেননি। অথচ ডা: মেজবাউল হক আমাদেরকে চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, চোর উল্লেখ করে শোকজ নোটিশ করেছেন – যা আপত্তিজনক, মানহানিকর এবং শিষ্টাচার বর্হিভূতও বটে। ডা: মেজবাউল হক তদন্ত কমিটি গঠন করার কারণে সিভিল সার্জন, চুয়াডাঙ্গা তাকে শোকজও করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা: মেজবাউল হক বিনা কারণে, বিনা অপরাধে, অপরাধ প্রমানিত না হওয়া সত্ত্বেও আমাদের বেতনভাতা বন্ধের যে চিঠি দিয়েছেন, সে বিষয়ে সিভিল সার্জন মহোদয় ডা: মেজবাউল হককে গত ২৯/০৮/১৬ তারিখে পত্রের মাধ্যমে জবাব চেয়েছেন এবং বেতন প্রদানের  নির্দেশ দিয়েছেন। ভূক্তভোগীরা আরো বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা: মেজবাউল হক তার নিজের দোষত্র“টি উপলদ্ধি করে আমাদের প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচারণ করবেন এমনটায় আমরা প্রত্যাশা করি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১১:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ইং ০২/০৭/১৬ তারিখ ও ০৪/০৭/১৬ তারিখে স্থানীয় পত্রিকা গুলোতে “চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের কারণে একই কার্য্যালয়ের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ আমিরুল ইসলাম ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ বদরুজ্জামানকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নানাভাবে হয়রানী করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ আমিরুল ইসলাম ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক  মো: বদরুজ্জামান দৈনিক সময়ের সমীকরণে এক লিখিত অভিযোগে জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর চুয়াডাঙ্গা।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপকর্ম পত্রিকায় প্রকাশের কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। গত ইং ০২/০৭/১৬ তারিখে দৈনিক সময়ের সমীকরণ ও দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকায় এবং ০৪/০৭/১৬ তারিখে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় “চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মেজবাউল হক, আমাদেরকে সন্দেহ করিয়া প্রকাশের বিষয়ে গত ইং ১১/০৭/১৬ তারিখ হতে ২৮/০৭/১৬ তারিখ পর্যন্ত ১৭ দিনে পৃথক পৃথকভাবে ৭টি শোকজ নোটিশ করেন আমাদেরকে। শোকজ নোটিশে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, প্রশিক্ষনে বরাদ্দ নাস্তার প্যাকেট ছিনতাইসহ চুরির অভিযোগের বিষয় উত্থাপন করেছেন এবং সর্বশেষ শোকজ নোটিশে বেতনভাতা বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তার অভিযোগে অপরাধের তারিখ, সময়, কাদের সম্মুখে ঘটনা ঘটেছে কিছুই উল্লেখ করেননি। আমাদের বিরুদ্ধে তার উত্থাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। অফিসের একটি কর্মচারীও ডা: মেজবাউল হকের আচার-আচরনে সন্তুষ্ট নন। এমনকি ড: মেজবাউল হকের অসদাচরণ এর কারণে তার কক্ষে আমাদের কেউ প্রবেশও  করেন না। আমরা গত ২৬ বছর সুনামের সাথে চাকুরী করে আসছি। কোন কর্মকর্তা আামাদের বিরুদ্ধে একটিও অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেননি। অথচ ডা: মেজবাউল হক আমাদেরকে চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, চোর উল্লেখ করে শোকজ নোটিশ করেছেন – যা আপত্তিজনক, মানহানিকর এবং শিষ্টাচার বর্হিভূতও বটে। ডা: মেজবাউল হক তদন্ত কমিটি গঠন করার কারণে সিভিল সার্জন, চুয়াডাঙ্গা তাকে শোকজও করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা: মেজবাউল হক বিনা কারণে, বিনা অপরাধে, অপরাধ প্রমানিত না হওয়া সত্ত্বেও আমাদের বেতনভাতা বন্ধের যে চিঠি দিয়েছেন, সে বিষয়ে সিভিল সার্জন মহোদয় ডা: মেজবাউল হককে গত ২৯/০৮/১৬ তারিখে পত্রের মাধ্যমে জবাব চেয়েছেন এবং বেতন প্রদানের  নির্দেশ দিয়েছেন। ভূক্তভোগীরা আরো বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা: মেজবাউল হক তার নিজের দোষত্র“টি উপলদ্ধি করে আমাদের প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচারণ করবেন এমনটায় আমরা প্রত্যাশা করি।