ইপেপার । আজ বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় তিন দিনে ৪ জনের আত্মহত্যা

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
  • / ৮৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ঘাতক ব্যাধির চেয়েও বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। গত তিন দিনে গলায় ফাঁস ও বিষপানে জেলা সদর, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় চারটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মিশনপল্লীর মি. মাইকেল মন্ডলের ছেলে বাবুল মন্ডল (২৮), একই উপজেলা চন্দ্রবাস গ্রামের দিল্লিপাড়ার আইনাল আলীর ছেলে জুবায়ের হোসেনের (২০), জীবননগর উপজেলার পুরাতন চাকলা গ্রামের বাবুর আলী মন্ডলের মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (২১) ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার ভাড়াটিয়া সুবর্ণা আক্তার রিয়া (হামিদা) (৩২)। নিহতদের মধ্যে বাবুল মন্ডলের মৃত্যু হয় বিষপানে এবং গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয় অন্য তিনজনের।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে বাবুল মন্ডলের মৃত্যু হয়। আরে আগে গত শুক্রবার বিকেলে পাঁচটার দিকে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। বিষপানের বিষয়ে জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছিতে একজন গ্রাম্য চিকিৎসকের নিকটে নেয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল সকালে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাবুল মন্ডলের পরিবারের সদস্যরা জানান, বাবুল ঢাকায় নাসির গ্লাস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। চাকরিরত অবস্থায় প্রায় বছর খানেক আগে রাজশাহী জেলার একটি মেয়েকে বিয়ে করেন। গত এপ্রিল মাসে চাকরি ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে নিজ গ্রামে চলে আসেন। গ্রামে তিনি একটি পাখিভ্যান চালাতে শুরু করেন। এরই মধ্যে গত এক মাসে তাঁর স্ত্রীর মঙ্গে মনোমালিন্য হয়। শ্বশুর এসে তার স্ত্রীকে এক সপ্তাহের কথা বলে নিয়ে যায়, কিন্তু আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় বাবুল মন্ডল ভেঙে পড়েন।

মিশনপল্লীর সৌরভ মণ্ডল বলেন, গত শুক্রবার সারাদিন পাখিভ্যান চালিয়ে দুপুরে বাড়ি এসে ভাত খেয়ে বিশ্রাম নিয়েছিলেন বাবলু। বিকেল পাঁচটার দিকে বাজারে চা খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। কিছুক্ষণ পর কার্পাসডাঙ্গা খ্রিস্টান কবরস্থানের নিকট গিয়ে তিনি বিষপান করেন। যন্ত্রণা শুরু হলে তিনি নিজেই মোবাইলে বিষপানের বিষয়ে বাড়িতে খবর দেন। এসময় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। গতকাল শনিবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইদুর রহমান বলেন, স্ত্রীর ওপর অভিমানের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হলে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে, গতকাল ভোরে জীবননগরে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বৃষ্টি খাতুন (২১)। খবর পেয়ে গতকাল সকালে থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে দুপুরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত বৃষ্টি খাতুনের স্বামী সুমন মিয়া বলেন, অন্য দিনের মতো শুক্রবার রাতে আমি ও স্ত্রী একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। শনিবার ভোর চারটার দিকে হঠাৎ কোনো শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভেঙেই দেখি আমার স্ত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়েছে। এসময় আমি চিৎকার করে তার পা ধরে ফাঁস আলগা করি। চিৎকার শুনে ততক্ষণে আমার শ্বশুর-শাশুড়ীসহ আশপাশের লোকজন ঘরে ছুটে এসে বৃষ্টিকে নিচে নামায়। দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার জন্য গাড়িতে উঠানোর সময় সে মারা যায়। তিনি আরও বলেন, গত ছয় মাস ধরে ঘর জামাই হিসেবেই শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছি। বৃষ্টি দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছিল। সারারাত ছটফট করতো, রাতে ঠিকমত ঘুমাতেও পারতো না। এর জন্য সে আত্মহত্যা করতে পারে।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ নিহতের বাড়ি পৌঁছায়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকলেও থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় হবে।
অপর দিকে, গত শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড় থেকে সুবর্ণা আক্তার রিয়া ওরফে হামিদার (৩২) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহত সুবর্ণা চুয়াডাঙ্গা সদরের দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ায় তার দ্বিতীয় স্বামী ও প্রথমপক্ষের দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। মানসিক সমস্যার কারণে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির বারান্দায় গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দামুড়হুদার চন্দ্রবাস গ্রাম থেকে জুবায়ের হোসেনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত জুবায়ের হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানান, জুবায়ের মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তার চিকিৎসা চলছিলো। কিছুদিন সুস্থ হলেও আবার অসুস্থ হয়ে পড়তেন। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। বাড়িতেই একটি মুদিখানা দোকান ছিলো তার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় তিন দিনে ৪ জনের আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ০৮:২৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ঘাতক ব্যাধির চেয়েও বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। গত তিন দিনে গলায় ফাঁস ও বিষপানে জেলা সদর, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় চারটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মিশনপল্লীর মি. মাইকেল মন্ডলের ছেলে বাবুল মন্ডল (২৮), একই উপজেলা চন্দ্রবাস গ্রামের দিল্লিপাড়ার আইনাল আলীর ছেলে জুবায়ের হোসেনের (২০), জীবননগর উপজেলার পুরাতন চাকলা গ্রামের বাবুর আলী মন্ডলের মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (২১) ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার ভাড়াটিয়া সুবর্ণা আক্তার রিয়া (হামিদা) (৩২)। নিহতদের মধ্যে বাবুল মন্ডলের মৃত্যু হয় বিষপানে এবং গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয় অন্য তিনজনের।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে বাবুল মন্ডলের মৃত্যু হয়। আরে আগে গত শুক্রবার বিকেলে পাঁচটার দিকে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। বিষপানের বিষয়ে জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছিতে একজন গ্রাম্য চিকিৎসকের নিকটে নেয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল সকালে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাবুল মন্ডলের পরিবারের সদস্যরা জানান, বাবুল ঢাকায় নাসির গ্লাস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। চাকরিরত অবস্থায় প্রায় বছর খানেক আগে রাজশাহী জেলার একটি মেয়েকে বিয়ে করেন। গত এপ্রিল মাসে চাকরি ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে নিজ গ্রামে চলে আসেন। গ্রামে তিনি একটি পাখিভ্যান চালাতে শুরু করেন। এরই মধ্যে গত এক মাসে তাঁর স্ত্রীর মঙ্গে মনোমালিন্য হয়। শ্বশুর এসে তার স্ত্রীকে এক সপ্তাহের কথা বলে নিয়ে যায়, কিন্তু আর ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় বাবুল মন্ডল ভেঙে পড়েন।

মিশনপল্লীর সৌরভ মণ্ডল বলেন, গত শুক্রবার সারাদিন পাখিভ্যান চালিয়ে দুপুরে বাড়ি এসে ভাত খেয়ে বিশ্রাম নিয়েছিলেন বাবলু। বিকেল পাঁচটার দিকে বাজারে চা খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। কিছুক্ষণ পর কার্পাসডাঙ্গা খ্রিস্টান কবরস্থানের নিকট গিয়ে তিনি বিষপান করেন। যন্ত্রণা শুরু হলে তিনি নিজেই মোবাইলে বিষপানের বিষয়ে বাড়িতে খবর দেন। এসময় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। গতকাল শনিবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইদুর রহমান বলেন, স্ত্রীর ওপর অভিমানের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হলে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে, গতকাল ভোরে জীবননগরে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বৃষ্টি খাতুন (২১)। খবর পেয়ে গতকাল সকালে থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে দুপুরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত বৃষ্টি খাতুনের স্বামী সুমন মিয়া বলেন, অন্য দিনের মতো শুক্রবার রাতে আমি ও স্ত্রী একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। শনিবার ভোর চারটার দিকে হঠাৎ কোনো শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভেঙেই দেখি আমার স্ত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়েছে। এসময় আমি চিৎকার করে তার পা ধরে ফাঁস আলগা করি। চিৎকার শুনে ততক্ষণে আমার শ্বশুর-শাশুড়ীসহ আশপাশের লোকজন ঘরে ছুটে এসে বৃষ্টিকে নিচে নামায়। দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার জন্য গাড়িতে উঠানোর সময় সে মারা যায়। তিনি আরও বলেন, গত ছয় মাস ধরে ঘর জামাই হিসেবেই শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছি। বৃষ্টি দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছিল। সারারাত ছটফট করতো, রাতে ঠিকমত ঘুমাতেও পারতো না। এর জন্য সে আত্মহত্যা করতে পারে।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ নিহতের বাড়ি পৌঁছায়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকলেও থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় হবে।
অপর দিকে, গত শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড় থেকে সুবর্ণা আক্তার রিয়া ওরফে হামিদার (৩২) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহত সুবর্ণা চুয়াডাঙ্গা সদরের দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ায় তার দ্বিতীয় স্বামী ও প্রথমপক্ষের দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। মানসিক সমস্যার কারণে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির বারান্দায় গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দামুড়হুদার চন্দ্রবাস গ্রাম থেকে জুবায়ের হোসেনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত জুবায়ের হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানান, জুবায়ের মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তার চিকিৎসা চলছিলো। কিছুদিন সুস্থ হলেও আবার অসুস্থ হয়ে পড়তেন। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। বাড়িতেই একটি মুদিখানা দোকান ছিলো তার।