দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে জোরপূর্বক বৃদ্ধার বাড়ি দখলের চেষ্টা, আদালতে মামলা
- আপলোড টাইম : ০৭:৫০:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
- / ৬৯ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গায় দলবদ্ধভাবে জোরপূর্বক এক বৃদ্ধ মহিলার বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী বৃদ্ধ মহিলা। ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধ মহিলার নাম মোছা. ভানু (৫২)। মামলার বিবাদীরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ হাদয়ারপুর গ্রামের জসিম উদ্দীন (৬০) (অব: বিজিবি সদস্য), একই গ্রামের আলম বিশ্বাসের ছেলে রুবেল (২৫), মৃত জলিল বিশ্বাসের ছেলে মিজার (৪৫), মৃত সোনার ছেলে ফাহাদ, সাবুর ছেলে আলী (২৪), মইনুলের ছেলে আমান (২৫), ছেনার ছেলে মুজিবুল (২৫), ইঁদুর ছেলে শাকিল, গফুরের ছেলে জনি (২৩), জাফরের ছেলে অন্তুসহ ১০ জন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের হায়দারপুর মৌজায় ১২৮২ দাগে ০.৪৯৩ একর জমি ওই গ্রামের মৃত জলিলের স্ত্রী মোছা. ভানু দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। ক্রয়কৃত জমিতে প্রায় ৩০ বছর ধরে একটি টিনের ঘর করে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সী বৃদ্ধ মাকে নিয়ে মোছা. ভানু দৈন্যতার মধ্যে সংসার চালাচ্ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই বুধবার সকাল ১০টার দিকে বিবাদীরা দলবদ্ধ হয়ে বাঁশের লাঠি, হাসুয়া, রাম দা, চাইনিজ গড়াল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোছা. ভানুর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক বাড়ি দখল করার চেষ্টা করে। এসময় ভানু বাধা দিলে তারা চড়াও হয়। এবং খুন-জখম করার চেষ্টা করলে ভানুর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নেয়। যাওয়ার সময় সংবদ্ধ চক্রটি পুনরায় এসে জমি দখল করা ও বাঁধা দিলে প্রাণে খুন করার প্রকাশ্য হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী ভানু বলেন, ‘আমি বৃদ্ধ মহিলা। আমার স্বামী বেঁচে নেই। আমি ওই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। আমার জমির সমস্ত কাগজপত্র আছে। পাশের একটি জমি নালিশি। অবৈধভাবে আমার ঘর বাড়ি উচ্ছেদের চেষ্টা জসিম। তিনি অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে দল-বল সাথে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসছিলো। বাড়ির চারিদিকে বেড়া দিয়ে গেছিল, উকিলে কথায় বেড়াগুলো সড়ানো হয়েছে। নয়ত আমি তো ঘরবন্দি হয়ে যাচ্ছিলাম। আমার মায়ের বয়স ৮০ বছরের উপরে। তাকে সাথে নিয়ে এখানে আমি খুব কষ্টে থাকি। আমাকে গায়ের জোরে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে। খুন করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেক দিন ভয়ে ভয়ে ঘুমাতে হয়। আমার কিছু হলে ওরাই দায়ী থাকবে। এমন অত্যাচার মানুষকে করতে নেই। আমি প্রচণ্ড অসহায় হয়ে পড়েছি। মাথা গোজার ঠাইটুকুও হারিয়ে যাচ্ছে। ন্যায্য বিচার পেতে আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা করেছি।
মামলার বিবাদী রুবেল বলে, ‘আমরা কাউকে ভয়-ভীতি দেখায়নি। সেখানে গাছ লাগানোর জন্য গিয়েছিলাম।’ মামলার ১ নম্বর বিবাদী জসিম উদ্দীন বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা এবং অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য। আমার সম্পর্কে আপনার যা রিপোর্ট লেখার লিখতে পারেন।’