ইপেপার । আজ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় জামাইকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিলেন শাশুড়ী

প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
  • আপলোড টাইম : ১০:১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • / ৯১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার নেহালপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘর জামাইকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ীর ও বউয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

      জানা গেছে, সদর উপজেলার নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীকোল গ্রামের খালপাড়ার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আক্কাস আলীর সাথে নেহালপুর গ্রামের তোয়াজ আলীর মেয়ে চায়না খাতুনের বিয়ে হয় আনুমানিক ৩০ বছর পূর্বে। বিয়ের চার বছর পর থেকে আক্কাস আলী নেহালপুরে শ^শুর বাড়িতে ঘর জামাই থাকতে শুরু করেন। সেখানে তিনি চাষাবাদসহ বিভিন্ন কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সংসার জীবনে তাদের দুটি মেয়ে ও দুটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু প্রায়ই আক্কাস আলীর সাথে তার স্ত্রী ও শাশুড়ীর মনোমালিন্য হতো। এরই জেরে গত বুধবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর সঙ্গে আক্কাস আলীর কথা কাটাকাটি হয়। এসময় স্ত্রী চায়না খাতুন ও তার মা মোমেনা বাটাম দিয়ে আক্কাস আলীকে বেধড়ক মারপিট করেন। এতে আক্কাসের বাম পা ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।

      এ ঘটনা প্রথম দিকে আক্কাস আলী লোকলজ্জার ভয়ে তেঁতুল গাছ থেকে পড়ে পা ভেঙ্গেছে বলে প্রচার করেন। কিন্তু পরদিন বৃহস্পতিবার চায়না খাতুন চুয়াডাঙ্গা কোর্ট থেকে তাকে তালাক দেন। এরপরই আক্কাস আলীকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়ার ঘটনাটি প্রকাশ হয়।

      আক্কাস আলী অভিযোগ করে বলেন, তিনি পরিশ্রম করে স্ত্রী-সন্তানদের সুখের কথা চিন্তা করে শ^শুর বাড়িতে একটি পাঁকা বাড়ি করেছেন। সেই সাথে ৩ কাঠা ভিটে জমি কিনে নিজ স্ত্রীর নামে অর্ধেক লিখে দিয়েছেন। ঘর জামাই থেকে যা কিছু ইনকাম করেছেন, সবকিছুই বউ ও শাশুড়ীর হাতে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু তার স্ত্রী ও শাশুড়ী তার ওপর সবসময় মানসিক অত্যাচার করতো। লোকলজ্জার ভয় ও সন্তানদের কথা চিন্তা করে বিষয়টি বরাবর ধামাচাপা দিয়ে এসেছেন। কিন্তু ঘটনার দিন তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে শাশুড়ী ও বউ মিলে আমাকে পিটিয়ে আহত করে পা ভেঙ্গে দিয়ে আবার নিজেই ডিভোর্স দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার টাকা-পয়সা, জমিজমা যা ছিল, সবকিছু এখন তারা নিজেদের বলে দাবি করছে। আমি সুস্থ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় জামাইকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিলেন শাশুড়ী

আপলোড টাইম : ১০:১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার নেহালপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘর জামাইকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ীর ও বউয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

      জানা গেছে, সদর উপজেলার নবগঠিত মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীকোল গ্রামের খালপাড়ার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আক্কাস আলীর সাথে নেহালপুর গ্রামের তোয়াজ আলীর মেয়ে চায়না খাতুনের বিয়ে হয় আনুমানিক ৩০ বছর পূর্বে। বিয়ের চার বছর পর থেকে আক্কাস আলী নেহালপুরে শ^শুর বাড়িতে ঘর জামাই থাকতে শুরু করেন। সেখানে তিনি চাষাবাদসহ বিভিন্ন কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সংসার জীবনে তাদের দুটি মেয়ে ও দুটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু প্রায়ই আক্কাস আলীর সাথে তার স্ত্রী ও শাশুড়ীর মনোমালিন্য হতো। এরই জেরে গত বুধবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর সঙ্গে আক্কাস আলীর কথা কাটাকাটি হয়। এসময় স্ত্রী চায়না খাতুন ও তার মা মোমেনা বাটাম দিয়ে আক্কাস আলীকে বেধড়ক মারপিট করেন। এতে আক্কাসের বাম পা ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।

      এ ঘটনা প্রথম দিকে আক্কাস আলী লোকলজ্জার ভয়ে তেঁতুল গাছ থেকে পড়ে পা ভেঙ্গেছে বলে প্রচার করেন। কিন্তু পরদিন বৃহস্পতিবার চায়না খাতুন চুয়াডাঙ্গা কোর্ট থেকে তাকে তালাক দেন। এরপরই আক্কাস আলীকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়ার ঘটনাটি প্রকাশ হয়।

      আক্কাস আলী অভিযোগ করে বলেন, তিনি পরিশ্রম করে স্ত্রী-সন্তানদের সুখের কথা চিন্তা করে শ^শুর বাড়িতে একটি পাঁকা বাড়ি করেছেন। সেই সাথে ৩ কাঠা ভিটে জমি কিনে নিজ স্ত্রীর নামে অর্ধেক লিখে দিয়েছেন। ঘর জামাই থেকে যা কিছু ইনকাম করেছেন, সবকিছুই বউ ও শাশুড়ীর হাতে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু তার স্ত্রী ও শাশুড়ী তার ওপর সবসময় মানসিক অত্যাচার করতো। লোকলজ্জার ভয় ও সন্তানদের কথা চিন্তা করে বিষয়টি বরাবর ধামাচাপা দিয়ে এসেছেন। কিন্তু ঘটনার দিন তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে শাশুড়ী ও বউ মিলে আমাকে পিটিয়ে আহত করে পা ভেঙ্গে দিয়ে আবার নিজেই ডিভোর্স দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার টাকা-পয়সা, জমিজমা যা ছিল, সবকিছু এখন তারা নিজেদের বলে দাবি করছে। আমি সুস্থ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’