কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিএস গোডাউন সিলগালা
- আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
- / ৬৪ বার পড়া হয়েছে
দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্ট্রিলারি বিভাগের প্রায় ৩০ লাখ টাকার আরএস ও ডিএস (ডিনেচার স্প্রিরিট) গায়েবের ঘটনায় ডিএস গোডাউন সিলগালা করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শারমিন আক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে ডিএস (ডিনেচার স্পিরিট) গোডাউনে সিলগালা করেন। এছাড়া ঘটনা তদন্তের জন্য খুলনা বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন- যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসলাম হোসেন, ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গোলক মজুমদার ও মেহেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাশেম। ডিস্ট্রিলারির ডিএস (ডিনেচার স্পিরিট) গোডাউনে সিলগালা করার সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ও ডিস্ট্রিলারির মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মনোয়ার হোসেন।
এদিকে, ডিএস (ডিনেচার স্পিরিট) গোডাউনে সিলগালা হওয়ায় কেরুজ এক শ্রমিক নেতাসহ কতিপয় কর্মচারী চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কেরু শ্রমিক-কর্মচারীরা বলেন, কেরুজ ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রায় মাস দুয়েক আগে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় গোডাউনে ডিএস/আরএস স্পিরিট ১৩ হাজার লিটারেরও বেশি কম থাকায় তিনি দায়িত্ব বুঝে নেননি। পরে গত ২ মে তারিখে কেরুজ কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে তদন্ত করেনি।
তারা আরও জানান, ওই সময় ওয়ার হাউজের ইনচার্জ এস এম সাজেদুর রহমান তুফান দায়িত্বে ছিলেন ও এখনো আছেন। তদন্ত কমিটি সঠিক তদন্ত করলে তুফানসহ আরও অনেকে জড়িয়ে যাবে, এমনটাই দাবি শ্রমিক-কর্মচারীদের।
উল্লেখ্য, কেরুজ ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় ডিএস (ডিনেচার স্পিট) ৩ নম্বর ভ্যাট গোডাউন বুঝে নেবার সময় ট্যাঙ্কির স্পিরিটের গভীরতা পান ১০৯ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুদ ৩৫ হাজার ৫১২.২৩ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুদ দেখানো হয় ৩৯ হাজার ৭১১.৫৫ লিটার। ৭ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে ট্যাঙ্কির গভীরতা ৫৩ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুদ ৪ হাজার ৮০৪.৩০ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুদ দেখানো হয় ১৩ হাজার ৭৯৫.৭৩ লিটার। এছাড়াও ১০ নম্বর ভ্যাটে ৪ ইঞ্চি মালামাল কম ছিল। ভ্যাট নম্বর ৩, ৭ ও ১০ নম্বরের বাস্তবিক মজুদ অনুযায়ী ১৩ হাজার ১৯০.৭৫ লিটারের বেশি মালামাল কম পায় কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজে বর্তমান ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সম্প্রতি দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ওই অভিযোগপত্রে বিষয়টি কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেন কর্মকর্তারা। কিন্তু এ ঘটনার প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হলেও কোনো তদন্ত কমিটি না হওয়ায় গত তিন দিন ধরে এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় নড়েচড়ে বসে কেরুজ কর্তৃপক্ষ।