ইপেপার । আজ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পিতার ওপর অভিমানে বিষপান করে কলেজছাত্রের মৃত্যু

প্রতিবেদক, তিতুদহ:
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৯:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
  • / ৮২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় বিষপানের ২৮ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাশিন আহমেদ লিখন (২০) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ছয়টার দিকে ঢাকার জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত তাশিন আহমেদ লিখন ওরফে রাজা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের আড়িয়ার চক গ্রামের বিপুল হোসেনের ছেলে। তিনি বড়শলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা গেছে, গত ২৬ মে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নিজ গ্রামের মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রাজা। বিষপানের ঘটনা জানাতে পেরে পিতা বিপুল হোসেন স্থানীয়দের সাহায্যে রাজাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে রাজার অবস্থার অবনতি হওয়ায় সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করলে গত ১০ জুন পরিবারের সদস্যরা রাজাকে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৪ দিন সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সকালে রাজার মৃত্যু হয়।

এদিকে রাজার মৃত্যুর বিষয়ে আড়িয়ার চক গ্রামবাসী জানায়, রাজা অনলাইন জুয়ার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অনেক টাকা খুইয়েছে। বেশির ভাগ সময় তার মেজাজ খিটখিটে থাকতো। এছাড়াও মোটরসাইকেল কেনা নিয়ে তার পিতার সঙ্গে ঝগড়া হয়। এরই জেরে সে অভিমান করে এ ঘটনা ঘটায়। এদিকে, গতকালই রাজার লাশ নিজ গ্রামে পৌঁছায়। এসময় গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে বিকেল চারটায় জানাজা শেষে আড়িয়ার চক গ্রাম্য কবরস্থানে তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পিতার ওপর অভিমানে বিষপান করে কলেজছাত্রের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ১০:৩৯:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় বিষপানের ২৮ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাশিন আহমেদ লিখন (২০) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ছয়টার দিকে ঢাকার জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত তাশিন আহমেদ লিখন ওরফে রাজা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের আড়িয়ার চক গ্রামের বিপুল হোসেনের ছেলে। তিনি বড়শলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা গেছে, গত ২৬ মে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নিজ গ্রামের মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রাজা। বিষপানের ঘটনা জানাতে পেরে পিতা বিপুল হোসেন স্থানীয়দের সাহায্যে রাজাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে রাজার অবস্থার অবনতি হওয়ায় সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করলে গত ১০ জুন পরিবারের সদস্যরা রাজাকে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘ ১৪ দিন সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সকালে রাজার মৃত্যু হয়।

এদিকে রাজার মৃত্যুর বিষয়ে আড়িয়ার চক গ্রামবাসী জানায়, রাজা অনলাইন জুয়ার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অনেক টাকা খুইয়েছে। বেশির ভাগ সময় তার মেজাজ খিটখিটে থাকতো। এছাড়াও মোটরসাইকেল কেনা নিয়ে তার পিতার সঙ্গে ঝগড়া হয়। এরই জেরে সে অভিমান করে এ ঘটনা ঘটায়। এদিকে, গতকালই রাজার লাশ নিজ গ্রামে পৌঁছায়। এসময় গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে বিকেল চারটায় জানাজা শেষে আড়িয়ার চক গ্রাম্য কবরস্থানে তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।