ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
দর্শনা পৌর প্রবীণ কমিটির সম্মাননা নিয়ে হাস্য রস, সমালোচনা

বিতর্কিত হারুন রাজুকে শ্রেষ্ঠ সন্তান সম্মাননা!!

সভাপতি বললেন হয়ত ওয়ার্ড কমিটি ভুল করে ফেলেছে

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
  • / ১২২ বার পড়া হয়েছে

হারুন রাজু

দর্শনায় বিতর্কিত সাংবাদিক হারুন রাজুকে শ্রেষ্ঠ সন্তানের সম্মাননা দেয়ায় শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা ও হাস্য রসের। গতকাল মঙ্গলবার দর্শনা প্রবীণ কমিটির উদ্যোগে এ সম্মাননা দেওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি মানুষের গল্পের খোরাকে পরিণত হয়। তবে দর্শনা পৌর প্রবীণ কমিটির সভাপতি বলছেন হয়ত ওয়ার্ড কমিটি ভুল করে ফেলেছে।’
জানা গেছে, দর্শনা পৌর প্রবীণ কমিটি প্রতি বছরে দর্শনা পৌরসভার ওয়ার্ডভিত্তিক নবীন ও প্রবীণদের বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ শ্রেষ্ঠ সম্মাননা দিয়ে থাকে। প্রবীণ কমিটির আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে দর্শনা পৌরসভার হলরুমে মোট ৫ জন নবীন ও প্রবীণকে শ্রেষ্ঠ সন্তান সম্মাননা দেয়া হয়। এর মধ্যে বিতর্কিত সাংবাদিক হারুন রাজুর নাম থাকায় অনুষ্ঠান স্থলেই বেশির ভাগ মানুষ হতবাক হয়ে পড়েন। অনেকেই বিস্মিত হয়ে চাপা কণ্ঠে প্রশ্ন তোলেন নারী কেলেঙ্কারি, মাদকসহ প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কৃত এবং বিভিন্ন অভিযোগে আলোচিত ব্যক্তি কীভাবে দর্শনার শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে সম্মাননা পেলেন? পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কি কোনো শ্রেষ্ঠ সন্তান ছিল না।
দর্শনা আজিমপুরের একাধিক ব্যক্তি বলেন, ‘দর্শনা প্রবীণ কমিটি রাজুকে কী দেখে শ্রেষ্ঠ সন্তানের সম্মাননা দিল? এলাকার সবাই জানে সে এলাকার মাদকের মদদদাতা। মাদক ব্যবসায়ীদের তার মোটরসাইকেলের পিছনে নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। ২০১৬ সালে কোরবানি ঈদের আগের দিন বিকেলে সিএন্ডবি পাড়ায় প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় বেরসিক জনতার কাছে হাতেনাতে আটক হন। সম্প্রতি দর্শনা প্রেসক্লাবের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হয়। তার অভিযোগের কোনো শেষ নেই। এই ব্যক্তি যদি শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়, তাহলে খারাপ সন্তান কারা।”
এ ব্যাপারে প্রবীণ কমিটির সভাপতি দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘নবীন ও প্রবীণদের সম্মাননা দেওয়ার আগে ৩ থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে যাচাই-বাছাই শেষে সম্মাননা দেওয়া হয়। কিন্তু আমি প্রায় এক বছর ধরে চলাফেরা করতে না পারায় তদন্ত কমিটি করতে পারিনি। হয়ত ওয়ার্ড কমিটি ভুল করে ফেলেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক হারুন রাজু বলেন, ‘আমার মায়ের দেখাশোনা ও যাবতীয় দায়িত্ব আমি পালন করে আসছি। দর্শনা পৌর প্রবীণ কমিটি মাতৃসেবা ক্যাটাগরিতে আমাকে মনোনীত করে এই সম্মাননা দিয়েছে। আমি বিষয়টি পূর্বে অবগত ছিলাম না। গত ৬ বা ৭ তারিখে প্রবীণ কমিটির একটি চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি জানতে পারি।’ তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা, মাদকের মদদ ও টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দর্শনায় অনেক সংবাদকর্মী আছেন, আমি আমার মতো চলি। কেউ আমাকে নিয়ে সমালোচনা করলে এতে আমার কিছু করার নেই।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনা পৌর প্রবীণ কমিটির সম্মাননা নিয়ে হাস্য রস, সমালোচনা

বিতর্কিত হারুন রাজুকে শ্রেষ্ঠ সন্তান সম্মাননা!!

সভাপতি বললেন হয়ত ওয়ার্ড কমিটি ভুল করে ফেলেছে

আপলোড টাইম : ০৮:১৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

দর্শনায় বিতর্কিত সাংবাদিক হারুন রাজুকে শ্রেষ্ঠ সন্তানের সম্মাননা দেয়ায় শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা ও হাস্য রসের। গতকাল মঙ্গলবার দর্শনা প্রবীণ কমিটির উদ্যোগে এ সম্মাননা দেওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি মানুষের গল্পের খোরাকে পরিণত হয়। তবে দর্শনা পৌর প্রবীণ কমিটির সভাপতি বলছেন হয়ত ওয়ার্ড কমিটি ভুল করে ফেলেছে।’
জানা গেছে, দর্শনা পৌর প্রবীণ কমিটি প্রতি বছরে দর্শনা পৌরসভার ওয়ার্ডভিত্তিক নবীন ও প্রবীণদের বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ শ্রেষ্ঠ সম্মাননা দিয়ে থাকে। প্রবীণ কমিটির আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে দর্শনা পৌরসভার হলরুমে মোট ৫ জন নবীন ও প্রবীণকে শ্রেষ্ঠ সন্তান সম্মাননা দেয়া হয়। এর মধ্যে বিতর্কিত সাংবাদিক হারুন রাজুর নাম থাকায় অনুষ্ঠান স্থলেই বেশির ভাগ মানুষ হতবাক হয়ে পড়েন। অনেকেই বিস্মিত হয়ে চাপা কণ্ঠে প্রশ্ন তোলেন নারী কেলেঙ্কারি, মাদকসহ প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কৃত এবং বিভিন্ন অভিযোগে আলোচিত ব্যক্তি কীভাবে দর্শনার শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে সম্মাননা পেলেন? পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কি কোনো শ্রেষ্ঠ সন্তান ছিল না।
দর্শনা আজিমপুরের একাধিক ব্যক্তি বলেন, ‘দর্শনা প্রবীণ কমিটি রাজুকে কী দেখে শ্রেষ্ঠ সন্তানের সম্মাননা দিল? এলাকার সবাই জানে সে এলাকার মাদকের মদদদাতা। মাদক ব্যবসায়ীদের তার মোটরসাইকেলের পিছনে নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। ২০১৬ সালে কোরবানি ঈদের আগের দিন বিকেলে সিএন্ডবি পাড়ায় প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় বেরসিক জনতার কাছে হাতেনাতে আটক হন। সম্প্রতি দর্শনা প্রেসক্লাবের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হয়। তার অভিযোগের কোনো শেষ নেই। এই ব্যক্তি যদি শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়, তাহলে খারাপ সন্তান কারা।”
এ ব্যাপারে প্রবীণ কমিটির সভাপতি দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘নবীন ও প্রবীণদের সম্মাননা দেওয়ার আগে ৩ থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে যাচাই-বাছাই শেষে সম্মাননা দেওয়া হয়। কিন্তু আমি প্রায় এক বছর ধরে চলাফেরা করতে না পারায় তদন্ত কমিটি করতে পারিনি। হয়ত ওয়ার্ড কমিটি ভুল করে ফেলেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক হারুন রাজু বলেন, ‘আমার মায়ের দেখাশোনা ও যাবতীয় দায়িত্ব আমি পালন করে আসছি। দর্শনা পৌর প্রবীণ কমিটি মাতৃসেবা ক্যাটাগরিতে আমাকে মনোনীত করে এই সম্মাননা দিয়েছে। আমি বিষয়টি পূর্বে অবগত ছিলাম না। গত ৬ বা ৭ তারিখে প্রবীণ কমিটির একটি চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি জানতে পারি।’ তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা, মাদকের মদদ ও টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দর্শনায় অনেক সংবাদকর্মী আছেন, আমি আমার মতো চলি। কেউ আমাকে নিয়ে সমালোচনা করলে এতে আমার কিছু করার নেই।’