ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় চা, পান ও জুসের সাথে মেশানো হতো চেতনানাশক ওষুধ

আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টি চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
  • / ৯৩ বার পড়া হয়েছে

oppo_2

চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির এই চক্রটি বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে গরুর ব্যবসায়ীদের অজ্ঞান করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতো বলে জানিয়েছে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা জেলার কয়েকটি পশুহাট ও যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মৃত কাশেম মাঝির ছেলে বাচ্চু মাঝি (৪৮), চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দুধপাতিলা গ্রামের মৃত গোলাপ মন্ডলের ছেলে হাসেম আলী (৪৮), দর্শনার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রইচ উদ্দীনের ছেলে সালামত (৫৫), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়লমারি গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাহাব্ুিদ্দন ওরফে শুকচাঁন (৩০), জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম ওরফে ইব্রা (৫০) ও জীবননগর মৃগমারী গ্রামের নওশাদ মন্ডলের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪৭)।

সংবাদ সম্মেলনে নাজিম উদ্দীন আল আজাদ বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা প্রথমে টার্গেটকৃত ব্যবসায়ীদের সাথে একটি সম্পর্ক তৈরি করে নেয়। পরে তাদের চা, পান এবং জুসের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে খাইয়ে দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলেন। এই চক্রটি গত কয়েকদিনে চুয়াডাঙ্গার ডুগডুগি, শিয়ালমারী ও আলমডাঙ্গা পশুহাটে কয়েকজনকে অজ্ঞান করে তাদের সর্বস্ব লুট করে নেয় বলে জানান তিনি। এসব ঘটনায় গত ৩ জুন দামুড়হুদা থানায় একটি মামলা হয়। এরপর থেকে পুলিশের একটি দল ওই চক্রটিকে ধরতে মাঠে নামে। বিভিন্ন কৌশলে জেলার কয়েকটি পশুহাট ও যাত্রীবাহী বাসে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তারই ধারবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রতিটি পশুহাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, শপিংমলসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকাতে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় চা, পান ও জুসের সাথে মেশানো হতো চেতনানাশক ওষুধ

আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টি চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০৮:৩৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির এই চক্রটি বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে গরুর ব্যবসায়ীদের অজ্ঞান করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতো বলে জানিয়েছে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা জেলার কয়েকটি পশুহাট ও যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মৃত কাশেম মাঝির ছেলে বাচ্চু মাঝি (৪৮), চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দুধপাতিলা গ্রামের মৃত গোলাপ মন্ডলের ছেলে হাসেম আলী (৪৮), দর্শনার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রইচ উদ্দীনের ছেলে সালামত (৫৫), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়লমারি গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাহাব্ুিদ্দন ওরফে শুকচাঁন (৩০), জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম ওরফে ইব্রা (৫০) ও জীবননগর মৃগমারী গ্রামের নওশাদ মন্ডলের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪৭)।

সংবাদ সম্মেলনে নাজিম উদ্দীন আল আজাদ বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা প্রথমে টার্গেটকৃত ব্যবসায়ীদের সাথে একটি সম্পর্ক তৈরি করে নেয়। পরে তাদের চা, পান এবং জুসের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে খাইয়ে দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলেন। এই চক্রটি গত কয়েকদিনে চুয়াডাঙ্গার ডুগডুগি, শিয়ালমারী ও আলমডাঙ্গা পশুহাটে কয়েকজনকে অজ্ঞান করে তাদের সর্বস্ব লুট করে নেয় বলে জানান তিনি। এসব ঘটনায় গত ৩ জুন দামুড়হুদা থানায় একটি মামলা হয়। এরপর থেকে পুলিশের একটি দল ওই চক্রটিকে ধরতে মাঠে নামে। বিভিন্ন কৌশলে জেলার কয়েকটি পশুহাট ও যাত্রীবাহী বাসে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তারই ধারবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রতিটি পশুহাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, শপিংমলসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকাতে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।