ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শৈলকুপার ওসিকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়নের হুমকি পৌর মেয়রের

ফেসবুকে বক্তব্য ভারাইল, পুলিশের ক্ষোভ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৭:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
  • / ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের একটি বক্তব্য সামাজিক যোযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে  পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম শৈলকুপা থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়িত করার হুমকি দেন। এসময় হাজারো জনতার সামনে মেয়র আরও বলেন, ‘এই দুর্নীতিবাজ ওসি সন্ত্রাস করছে। আমরা চাই অতিসত্ত্বর দুর্নীতিবাজ প্রশাসন বিশেষ করে এই ওসি এখান থেকে চলে যাক। তা নাহলে গলায় গামছা বেঁধে তাকে আমরা বিতাড়িত করব।’

পৌর মেয়রের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। শৈলকুপা শহরের চায়ের দোকান ও বিভিন্ন আড্ডায় ওসির বিরুদ্ধে এমন হুমকিমূলক বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, একজন ওসির বিরুদ্ধে পৌর মেয়র এভাবে জনসভায় হুমকি দিতে পারেন না। তাছাড়া তার ছেলেও এই পুলিশেরই একজন পদস্থ কর্মকর্তা। এই বয়সে তাকে আরও সংযত আচরণ করা উচিৎ বলে তারা মন্তব্য করেন।

ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দার বলেন, ‘মেয়র সাহেবের বক্তব্যকে আমি সমর্থন করতে পারছি না। হাজার হাজার নেতা-কর্মীর সামনে সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ কর্মকর্তাকে এভাবে হেনস্তা করা তার ঠিক হয়নি।’

শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডুু সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মন গতকাল শনিবার বিকেলে জানান, ‘ওসির কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে পৌর মেয়র এমন কথা বললেন বা তিনি ক্ষুব্ধ হলেন, তা আমার জানা নেই। তবে পাবলিক প্লেসে এমনভাবে বলা তার মতো বয়স্ক মানুষের ঠিক হয়নি।’ মেয়রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মন জানান, ‘এখনো আমরা তেমন কিছু ভাবছি না।’ উল্লেখ্য, শৈলকুপা পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের ছেলে কাজী আশরাফুল আজিম বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি হিসেবে ঢাকায় কর্মরত আছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

শৈলকুপার ওসিকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়নের হুমকি পৌর মেয়রের

ফেসবুকে বক্তব্য ভারাইল, পুলিশের ক্ষোভ

আপলোড টাইম : ০৮:২৭:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের একটি বক্তব্য সামাজিক যোযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে  পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম শৈলকুপা থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়িত করার হুমকি দেন। এসময় হাজারো জনতার সামনে মেয়র আরও বলেন, ‘এই দুর্নীতিবাজ ওসি সন্ত্রাস করছে। আমরা চাই অতিসত্ত্বর দুর্নীতিবাজ প্রশাসন বিশেষ করে এই ওসি এখান থেকে চলে যাক। তা নাহলে গলায় গামছা বেঁধে তাকে আমরা বিতাড়িত করব।’

পৌর মেয়রের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। শৈলকুপা শহরের চায়ের দোকান ও বিভিন্ন আড্ডায় ওসির বিরুদ্ধে এমন হুমকিমূলক বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, একজন ওসির বিরুদ্ধে পৌর মেয়র এভাবে জনসভায় হুমকি দিতে পারেন না। তাছাড়া তার ছেলেও এই পুলিশেরই একজন পদস্থ কর্মকর্তা। এই বয়সে তাকে আরও সংযত আচরণ করা উচিৎ বলে তারা মন্তব্য করেন।

ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দার বলেন, ‘মেয়র সাহেবের বক্তব্যকে আমি সমর্থন করতে পারছি না। হাজার হাজার নেতা-কর্মীর সামনে সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ কর্মকর্তাকে এভাবে হেনস্তা করা তার ঠিক হয়নি।’

শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডুু সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মন গতকাল শনিবার বিকেলে জানান, ‘ওসির কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে পৌর মেয়র এমন কথা বললেন বা তিনি ক্ষুব্ধ হলেন, তা আমার জানা নেই। তবে পাবলিক প্লেসে এমনভাবে বলা তার মতো বয়স্ক মানুষের ঠিক হয়নি।’ মেয়রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মন জানান, ‘এখনো আমরা তেমন কিছু ভাবছি না।’ উল্লেখ্য, শৈলকুপা পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের ছেলে কাজী আশরাফুল আজিম বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি হিসেবে ঢাকায় কর্মরত আছেন।