নারীসহ ৫ জন আহত, থানায় অভিযোগ
জীবননগরে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ- আপলোড টাইম : ০৯:৩১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪
- / ৪৮ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বিরোধপূর্ণ জমি দখল নিয়ে একই পরিবারের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ৫ জন আহত হন। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর বানপুরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। এ ঘটনায় সেনা সদস্য শামীমকে প্রধান করে তার শ্বশুর আব্দুল হান্নানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলাও দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিনাজপুর বানপুরপাড়ায় মৃত মোক্তার হোসেনের মৃত্যুর পর থেকে সরকারি ৭৫ শতক খাস জমির দখল নিয়ে তার সন্তানদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই জমি নিয়ে মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে রবিউল হোসেন ও তার অন্যান্য ভাই-বোনদের মধ্যে আদালতে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। উভয়পক্ষই জমির দখল নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে থাকে। একইভাবে গতকাল সকালে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন আহত হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ নিয়েছে।
এ বিষয়ে মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর পর আমাদেরকে গোপন করে সরকারি ৭৫ শতক খাস জমি পুরোটাই মেজো ভাই রবিউল ইসলাম (৬৫) তার নামে ডিসিআর কেটে নিয়ে নেয়। ঘটনাটি আমিসহ সকল ভাই-বোনেরা টের পেলে বিরোধিতা করি এবং আদালতে একটি মামলাও করি। কিন্তু রবিউল ভাই গায়ের জোরে আজ (শুক্রবার) সকালে আমাদের ওপর হামরা চালিয়ে বৃদ্ধ বড় ভাই আবু বক্কর (৮০), ছোট ভাই আতিয়ার রহমান, ভাইপো সুজাউদ্দিন, ভাবী শিউলী বেগম ও আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে।’
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বাবা বেঁচে থাকতেই জমি বিধি মোতাবেক সরকারের নিকট থেকে লিজ গ্রহণ করে ভোগ দখল করে আসছি। আমি জমির বিরোধ মেটাতে অন্যান্য ভাইদেরকে এক জায়গায় বসে বিষয়টি সমাধানের কথা বলি। কিন্তু তারা তা না করে পুরো জমি দখল নেওয়ায় জন্য আমার ওপর একের পর এক হামলা-মামলা করে আসছে। সুজাউদ্দিনের দাঁত ও হাত আগেই ভাঙা ছিল। সেই আগের ঘটনা এখনো বলছে। তারা আমার এবং আমার ছেলেসহ পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে।’
এ বিষয়ে বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান বলেন, ঘটনাটির বিষয়ে শুনেছি। আহতরা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত আছে। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।