ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

মেহেরপুরে নদীর বাঁধ অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনের জের

কলাবাগান তছরুপ ও চায়ের দোকানে আগুন

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪
  • / ১১৮ বার পড়া হয়েছে


মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কাঁঠালপোতা গ্রামের কাজলা নদীর বাঁধ অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নেয়া কৃষকের কলাগাছ কর্তন ও একটি চায়ের দোকানে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এ ঘটানো হয় বলে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কলাবাগান মালিক খায়রুল ইসলাম ও চা-দোকানী গোলাম মোস্তফা।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার কাজলা নদীর অবৈধ বাঁধ উন্মুক্ত করা, ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলাকারীদের বিচার ও স্থানীয়দের নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন কাঁঠালপোতা, সোনাপুর ও টুঙ্গী গ্রামবাসী। এতে রাগান্বিত হয়ে বাঁধ অপসারণের বিরোধী পক্ষ কৃষকের কলাগাছ কর্তন ও একটি চায়ের দোকানে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কলাবাগান মালিক খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁধ অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নেয়ার কারণেই রাগান্বিত হয়ে আমার ১০ কাঠা জমির কলাবাগান কেটে তছরুপ করা হয়েছে। মানববন্ধনের রাতেই আমার বাগানে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। শুধু আমার কলাবাগানই নয়, মানবন্ধনে অংশ নেয়া চা-দোকানী গোলাম মোস্তফার চায়ের দোকানটিতেও আগুন দেয়া হয়েছে। কলাবাগানটি আমার আয়ের একটি উৎস ছিল। ন্যায়বিচারের আশায় আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
চা-দোকানী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমিও মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলান। কলাবাগান মালিকের ন্যায় সন্দেহ করছি এ কারণেই আমার দোকানটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। দোকানের আয় থেকে সংসার চালাতাম, এখন দোকানটি পুড়ে যাওয়ায় সংসার খরচ নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মেহেরপুরে নদীর বাঁধ অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনের জের

কলাবাগান তছরুপ ও চায়ের দোকানে আগুন

আপলোড টাইম : ০৯:২৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪


মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কাঁঠালপোতা গ্রামের কাজলা নদীর বাঁধ অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নেয়া কৃষকের কলাগাছ কর্তন ও একটি চায়ের দোকানে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এ ঘটানো হয় বলে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কলাবাগান মালিক খায়রুল ইসলাম ও চা-দোকানী গোলাম মোস্তফা।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার কাজলা নদীর অবৈধ বাঁধ উন্মুক্ত করা, ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলাকারীদের বিচার ও স্থানীয়দের নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন কাঁঠালপোতা, সোনাপুর ও টুঙ্গী গ্রামবাসী। এতে রাগান্বিত হয়ে বাঁধ অপসারণের বিরোধী পক্ষ কৃষকের কলাগাছ কর্তন ও একটি চায়ের দোকানে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কলাবাগান মালিক খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁধ অপসারণের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নেয়ার কারণেই রাগান্বিত হয়ে আমার ১০ কাঠা জমির কলাবাগান কেটে তছরুপ করা হয়েছে। মানববন্ধনের রাতেই আমার বাগানে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। শুধু আমার কলাবাগানই নয়, মানবন্ধনে অংশ নেয়া চা-দোকানী গোলাম মোস্তফার চায়ের দোকানটিতেও আগুন দেয়া হয়েছে। কলাবাগানটি আমার আয়ের একটি উৎস ছিল। ন্যায়বিচারের আশায় আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
চা-দোকানী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমিও মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলান। কলাবাগান মালিকের ন্যায় সন্দেহ করছি এ কারণেই আমার দোকানটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। দোকানের আয় থেকে সংসার চালাতাম, এখন দোকানটি পুড়ে যাওয়ায় সংসার খরচ নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’