ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পানিতে ডুবে যাওয়া শিশুকে উদ্ধার করল দুই পুলিশ সদস্য

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
  • আপলোড টাইম : ১১:৪৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় পানিতে ডুবে যাওয়া অবস্থায় এক শিশুকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা শহরজুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আতিকুর রহমান ও কনস্টেবল নয়ন। গতকাল বুধবার বিকেলে আলমডাঙ্গা থানার এএসআই আতিকুর রহমান ও কনস্টেবল নয়ন ডিউটির কাজে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। তারা পশুহাটে পৌঁঁছালে এসআই আতিকুর রহমান দেখতে পান রাস্তার পাশে আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজের পুকুরে একটি শিশু পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। বাঁচ্চার পায়ের স্যান্ডেল পানিতে ভাসছে। কোনো কালক্ষেপণ না করে সাথে থাকা কনস্টেবলকে পানিতে নামার নির্দেশ দেন এবং শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে বাঁচ্চাটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। পানিতে ডুবে যাওয়া শিশুর নাম আবরার আহমেদ (৫)। তিনি আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বাবুপাড়ার শাহ মো. সুলতান আহমেদের ছেলে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার এএসআই আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি মহিলা কলেজের সামনে যাত্রী ছাউনির নিকট ডিউটিতে থাকাকালীন অবস্থায় দেখি পুকুরের পাশে একটি বাঁচ্চা হাঁটাহাঁটি করছে। হঠাৎ দেখি বাঁচ্চাটি নেই। আমি পুকুরের দিকে তাকিয়ে দেখি পানি নড়ছে। আর বাঁচ্চার পায়ের স্যান্ডেল পানিতে ভাসছে। আমি সাথে সাথেই আমার সঙ্গে থাকা কনস্টেবল নয়নকে পানিতে নামতে নির্দেশ প্রদান করি। নয়ন পানিতে নেমে খোঁজাখুঁজি করে বাঁচ্চাটিকে পানির ভেতর থেকে তুলে আনে। আমি বাঁচ্চাটির বুকে চাপ দিয়ে পেটের পানি বের করে স্থানীয়দের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।’
এ বিষয়ে বাঁচ্চাটির বাবা শাহ মো. সুলতান আহমেদ বলেন, ‘আজ আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশের সদস্যরা না থাকলে আমার ছেলেকে আমি জীবিত পেতাম না। তারা আমার ছেলেকে বাঁচিয়ে প্রমাণ করেছে পুলিশ সত্যিই মানবিক। আজ পুলিশের জন্যই আমি আমার ছেলেকে জীবিত অবস্থায় ফেরত পেয়েছি।’
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ‘আমার থানার এএসআই আতিকুর রহমান ও কনস্টেবল নয়ন ডিউটিতে থাকা অবস্থায় পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় একটি বাঁচ্চাকে উদ্ধার করেছে। অবশ্যই এটি প্রশংসনীয় কাজ। তারা তাদের এই কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে পুলিশ জনগণের বন্ধু। আমি মনে করি এটি নিঃসন্দেহে একটি মানবিক কাজ। আমি বিষয়টি জানা এবং ভিডিওর ফুটেজ দেখার সাথে সাথে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান স্যারকে অবহিত করেছি। তিনি এই মানবিক কাজের জন্য পুরস্কার প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পানিতে ডুবে যাওয়া শিশুকে উদ্ধার করল দুই পুলিশ সদস্য

আপলোড টাইম : ১১:৪৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

আলমডাঙ্গায় পানিতে ডুবে যাওয়া অবস্থায় এক শিশুকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা শহরজুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আতিকুর রহমান ও কনস্টেবল নয়ন। গতকাল বুধবার বিকেলে আলমডাঙ্গা থানার এএসআই আতিকুর রহমান ও কনস্টেবল নয়ন ডিউটির কাজে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। তারা পশুহাটে পৌঁঁছালে এসআই আতিকুর রহমান দেখতে পান রাস্তার পাশে আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজের পুকুরে একটি শিশু পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। বাঁচ্চার পায়ের স্যান্ডেল পানিতে ভাসছে। কোনো কালক্ষেপণ না করে সাথে থাকা কনস্টেবলকে পানিতে নামার নির্দেশ দেন এবং শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে বাঁচ্চাটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। পানিতে ডুবে যাওয়া শিশুর নাম আবরার আহমেদ (৫)। তিনি আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বাবুপাড়ার শাহ মো. সুলতান আহমেদের ছেলে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার এএসআই আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি মহিলা কলেজের সামনে যাত্রী ছাউনির নিকট ডিউটিতে থাকাকালীন অবস্থায় দেখি পুকুরের পাশে একটি বাঁচ্চা হাঁটাহাঁটি করছে। হঠাৎ দেখি বাঁচ্চাটি নেই। আমি পুকুরের দিকে তাকিয়ে দেখি পানি নড়ছে। আর বাঁচ্চার পায়ের স্যান্ডেল পানিতে ভাসছে। আমি সাথে সাথেই আমার সঙ্গে থাকা কনস্টেবল নয়নকে পানিতে নামতে নির্দেশ প্রদান করি। নয়ন পানিতে নেমে খোঁজাখুঁজি করে বাঁচ্চাটিকে পানির ভেতর থেকে তুলে আনে। আমি বাঁচ্চাটির বুকে চাপ দিয়ে পেটের পানি বের করে স্থানীয়দের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।’
এ বিষয়ে বাঁচ্চাটির বাবা শাহ মো. সুলতান আহমেদ বলেন, ‘আজ আলমডাঙ্গা থানা-পুলিশের সদস্যরা না থাকলে আমার ছেলেকে আমি জীবিত পেতাম না। তারা আমার ছেলেকে বাঁচিয়ে প্রমাণ করেছে পুলিশ সত্যিই মানবিক। আজ পুলিশের জন্যই আমি আমার ছেলেকে জীবিত অবস্থায় ফেরত পেয়েছি।’
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, ‘আমার থানার এএসআই আতিকুর রহমান ও কনস্টেবল নয়ন ডিউটিতে থাকা অবস্থায় পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় একটি বাঁচ্চাকে উদ্ধার করেছে। অবশ্যই এটি প্রশংসনীয় কাজ। তারা তাদের এই কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে পুলিশ জনগণের বন্ধু। আমি মনে করি এটি নিঃসন্দেহে একটি মানবিক কাজ। আমি বিষয়টি জানা এবং ভিডিওর ফুটেজ দেখার সাথে সাথে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান স্যারকে অবহিত করেছি। তিনি এই মানবিক কাজের জন্য পুরস্কার প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন।’