ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

শৈলকুপায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১২:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • / ১৫২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক বৃদ্ধার আত্মহত্যার ঘটনায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বিএলকে বাজারে কৃষ্ণপুর ও বিষ্ণপুর এলাকাবাসীর আয়োজনে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ওই এলাকার তিন শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয।

বক্তারা বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে কৃপুর কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মকছেদ বিশ্বাসের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের মৃত্যুকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে উমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লা, পরাজিত উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম হোসেন মোল্লা ও ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নানের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদা দাবির অভিযোগে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে বিভিন্নভাবে প্রচার করে। অথচ বাড়ির পাশের একটি ছোট গাছের ডালে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করছেন তারা। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

মানবন্ধনে অংশ নেওয়া মরিয়মের ছেলে মনোয়ার হোসেন বলেন, ওই রাতে আমি বাড়িতে ছিলাম না। সকালে জানতে পারি আমার মা বাড়ির পাশে লিচু গাছের ডালের সাথে কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে সে কী কারণে আত্মহত্যা করলো আমি বুঝতে পারছি না। প্রশাসনের কাছে দাবি তার মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করা হোক।

এদিকে মরিয়মের মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম হোসেন মোল্লার অনুসারীরা গত মঙ্গলবার দাবি করেন, আশরাফুল ইসলাম আশা, মাসুদ রানা, মতাহার হোসেন ও দুলাল মণ্ডল মরিয়মের ছেলে মনোয়ারের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এছাড়া চাঁদা না দিলে বাড়ি ও গ্রামে থাকতে দিবে না বলে চাপ প্রয়োগ করে। এতে মনোয়ার ভয়ে নিজের চার শতক জমি বিক্রি করে চাঁদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ রকম ঘটনা শোনার পর মা মরিয়ম সন্তানের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

You cannot copy content of this page

শৈলকুপায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১২:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক বৃদ্ধার আত্মহত্যার ঘটনায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বিএলকে বাজারে কৃষ্ণপুর ও বিষ্ণপুর এলাকাবাসীর আয়োজনে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ওই এলাকার তিন শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয।

বক্তারা বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে কৃপুর কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মকছেদ বিশ্বাসের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের মৃত্যুকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে উমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাব্দার হোসেন মোল্লা, পরাজিত উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম হোসেন মোল্লা ও ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নানের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদা দাবির অভিযোগে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে বিভিন্নভাবে প্রচার করে। অথচ বাড়ির পাশের একটি ছোট গাছের ডালে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করছেন তারা। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

মানবন্ধনে অংশ নেওয়া মরিয়মের ছেলে মনোয়ার হোসেন বলেন, ওই রাতে আমি বাড়িতে ছিলাম না। সকালে জানতে পারি আমার মা বাড়ির পাশে লিচু গাছের ডালের সাথে কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে সে কী কারণে আত্মহত্যা করলো আমি বুঝতে পারছি না। প্রশাসনের কাছে দাবি তার মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করা হোক।

এদিকে মরিয়মের মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম হোসেন মোল্লার অনুসারীরা গত মঙ্গলবার দাবি করেন, আশরাফুল ইসলাম আশা, মাসুদ রানা, মতাহার হোসেন ও দুলাল মণ্ডল মরিয়মের ছেলে মনোয়ারের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এছাড়া চাঁদা না দিলে বাড়ি ও গ্রামে থাকতে দিবে না বলে চাপ প্রয়োগ করে। এতে মনোয়ার ভয়ে নিজের চার শতক জমি বিক্রি করে চাঁদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ রকম ঘটনা শোনার পর মা মরিয়ম সন্তানের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।