ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচনী সহিংসতা; ৩০টি বাড়ি ভাঙচুর, আহত ৫
- আপলোড টাইম : ০৮:২৫:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
- / ১১২ বার পড়া হয়েছে
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর পুরানো রূপে ফিরছে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উপজেলা। নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত সেখানকার বিভিন্ন গ্রামে সহিংসতা ছড়িয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বন্দেখালী গ্রামে বিজয়ী প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজা ও পরাজিত প্রার্থী শামীম মোল্লার কর্মী-সমর্থকেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। চলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া। ভাঙচুর করা হয় অন্তত ৩০টি বাড়ি। এসময় ৫ ব্যক্তি আহত হন বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী জানায়, গত ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু বিজয়ী হন। নির্বাচনে ভোট মন্নুকে ভোট না দেওয়ায় বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকেরা বন্দেখালী গ্রামের আতিয়ার রহমান ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক আবুল হোসেন মেম্বারের সামাজিক লোকদের মাঝে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ৩০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
সংঘর্ষের সময় সুফি, মিন্টু, রাকিব বিশ্বাস, রুহুল হোসেন, সিদ্দিক শেখ, আরব আলী, আসমত আলী, আহাম্মদ আলী, লাভলু শেখ ও হুজুর আলী, শরিফুল ইসলাম, আবু দাউদ, হাশেম আলী মাস্টার, শাহাদত আলী, আজব মন্ডল, আতিয়ার রহমান, মতিয়ার রহমান, মজিবর রহমান, আঃ রাজ্জাক, রিপন, শরিফুল ইসলাম, স্বপন, জিয়ারুল, আলম বিশ্বাস ও রিপন আলীর বাড়ি ভাঙচুর হয়।
এসময় আকমল আলী, হাফিজুল আলী, কপিল উদ্দিন ও আলাউদ্দিন বিশ্বাস গুরুতর আহত হন। বন্দেখালী গ্রামের আবুল হোসেন জানান, তারা দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট করেছেন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় বুধবার সকালে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
অন্যদিকে বন্দেখালী গ্রামের আতিয়ার রহমান বলেন, দোয়াত কলমের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চেীধুরী বলেন, শৈলকুপার বন্দেখালী গ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এতে কিছু বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমান শান্ত আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত শৈলকুপা থানায় কোনো মামলা হয়নি।