নিখোঁজের কারণ কি ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব?
পাঁচ দিনেও খোঁজ মেলেনি কালীগঞ্জের এমপি আনারের- আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
- / ১৪০ বার পড়া হয়েছে
ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের সন্ধান পাঁচ দিনেও মেলেনি। এ নিয়ে তার পরিবারে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। গতকাল রোববার দুপুরে বিষয়টি জানাতে এমপি আনারের স্ত্রী ও কন্যারা ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে যান। প্রধানমন্ত্রীকেও বিষয়টি অবগত করানো হয়েছে বলে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ গণমাধ্যম কর্মীদের জানান।
এদিকে আনোয়ারুল আজিম আনারের সন্ধানে গত শনিবার ভারতে গেছেন তার ভাতিজা সাইমনসহ আরও তিনজন। কিন্তু গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত তারা এমপির পরিবারকে কোনো সুখবর দিতে পারেননি। কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সহায়তায় তারা এমপির অবস্থান জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ বলেন, গত ১১ মে শনিবার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারত যান আনার। সেখানে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বন্ধু গোপালের বাড়িতে ওঠেন। ১৩ ও ১৪ মে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয় সংসদ সদস্যের। পরদিন থেকে তার মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
তবে দলের একটি সূত্র জানায়, নিখোঁজ হওয়ার আগ মুহূর্তে এমপি তার ম্যানেজারের কাছে চার লাখ ২০ হাজার রুপি চান। এসময় তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে ভারতীয় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একটি প্রাইভেটকারে ছিলেন। এই টাকা নেওয়ার পর থেকে এমপি আনারের কোনো সন্ধান মিলছে না বলে সূত্রটি দাবি করছে। ব্যবসায়িক কোনো দ্বন্দ্ব বা পশ্চিমবঙ্গে ভোট চলার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তিনি আটক হলেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। অনেকে আবার মনে করছেন, পুরানো কোনো ব্যাবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে ভারতে থাকা প্রতিপক্ষরা তাকে অপহরণ করতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জের পৌর মেয়র আশরাফুল আলম গতকাল রোববার বিকেলে বলেন, এমপি ভারত যাওয়ার পরদিন তার সঙ্গে কথা হয়েছে। এরপরে তিনি কোথায় আছেন, কেন ফোন বন্ধ, কী ঘটেছে, আমরা এসব জানতে পারিনি। তবে পরিবারের লোকজন খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ভারতে গেছেন বলে তিনি জানান।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু বলেন, এমপির পরিবার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি সত্যিই দুঃখজনক। আমরা সাংগঠনিকভাবে দলীয় হাইকমান্ডকে জানিয়েছি। ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আজিম উল-আহসান বলেন, কালীগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা মৌখিকভাবে এমপি আনারের নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। যেহেতু ঘটনা ভিন্ন রাষ্ট্রের, তাই ঘটনাটি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।