এসএসসির ফল প্রকাশ : উত্তীর্ণে যশোর বোর্ড শীর্ষে
যশোর বোর্ডের ১০ জেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গার অবস্থান অষ্টম, বেড়েছে পাশের হার
- আপলোড টাইম : ০৮:০৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
- / ১৭৪ বার পড়া হয়েছে
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গত বছরের চেয়ে পাশের হার বেড়েছে। তবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা সামান্য কমেছে। পাশের হার বাড়ায় গতকাল স্কুলে স্কুলে ছিল উচ্ছ্বাস। অনেক স্কুলে শিক্ষার্থীদের ঢোল বাদ্য বাজিয়ে উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে। এবার ৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। তাদের মধ্যে পাশ করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। গড় পাশের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে এবার পাশের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গতকাল চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার এ ফল প্রকাশ করা হয়। সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ও ১১টি বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। পরে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের ঘোষণা দেন। ১১টা থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল দেখতে পারেন। দুুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
পাশে এগিয়ে যশোর বোর্ড :
এ বছর পাশের হারে সবচেয়ে এগিয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডে পাশের হার ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দ্বিতীয় রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে পাশের হার ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। পাশের হারে তৃতীয় বরিশাল বোর্ডে। এ বোর্ডে পাশ করেছে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী। এছাড়া ময়মনসিংহে ৮৫ শতাংশ, ঢাকা বোর্ডে ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা:
এ বছর যশোর বোর্ডের ১০ জেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গার অবস্থান অষ্টম। অবস্থানের দিক থেকে একধাপ পেছালেও পাশের হারে কিছুটা এগিয়েছে চুয়াডাঙ্গা। জেলায় এ বছর পাশের হার ৯০ দশমিক ৮২ শতাংশ। গত বছর ৮৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ পাশের হার নিয়ে সপ্তম অবস্থানে ছিল চুয়াডাঙ্গা। এ বছর যশোর বোর্ডে পাশের হার বেড়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর যশোর বোর্ডের অধীনে চুয়াডাঙ্গা জেলার ১৮টি কেন্দ্রে ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১১ হাজার ১৪১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৩৭৩ জন ও ছাত্রী ৫ হাজার ৭৬৮ জন। পরীক্ষায় মোট নিয়মিত উপস্থিত ছিল ১০ হাজার ৯৮৩ জন। পাশ করেছে ৯ হাজার ৯৭৫ জন পরীক্ষার্থী। পাশের মধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ৭২৫ জন ও ছাত্রী ৫ হাজার ২৫০ জন।
গত বছর যশোর বোর্ডের ১০ জেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গার অবস্থান ছিল সপ্তম। পাশের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। যশোর বোর্ডের অধীনে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৮টি কেন্দ্রে ১৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার ৫৩১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ২২৯ জন ও ছাত্রী ৫ হাজার ৩০২ জন। পরীক্ষায় মোট নিয়মিত উপস্থিত ছিল ১০ হাজার ৩১১জন। পাশ করে ৮ হাজার ৬০৫ জন পরীক্ষার্থী। পাশের মধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ১৩৯ জন ও ছাত্রী ৪ হাজার ৪৬৬ জন ছিল। ২০২১ সালে চুয়াডাঙ্গা যশোর বোর্ডে পঞ্চম অবস্থানে ছিল। ২০২২ সালে জেলায় পাশের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৭০ শতাংশ ও যশোর বোর্ডে ষষ্ঠ অবস্থান ছিল। এ বছর পাশের হারে চুয়াডাঙ্গা কিছুটা উন্নতি করলেও যশোর বোর্ডে গত তিন বছরেই অবস্থানের দিক দিয়ে তিন ধাপ নেমেছে।
যশোর বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ফলাফলে খুলনা বিভাগে শীর্ষে রয়েছে সাতক্ষীরা জেলা। এই জেলায় পাশের হার ৯৬ দশমিক ১২ শতাংশ। এরপর দ্বিতীয় স্থানে খুলনা জেলা। পাশের হার ৯৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যশোর। এছাড়া চতুর্থ নড়াইল, পঞ্চম কুষ্টিয়া, ষষ্ঠ বাগেরহাট, সপ্তম মাগুরা, অষ্টম চুয়াডাঙ্গা, নবম ঝিনাইদহ এবং দশম স্থানে রয়েছে মেহেরপুর।
এদিকে, ফলাফল ঘোষণার পর শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সন্তানদের ভালো ফলাফলে তারা বেশ খুশি। অভিভাবকরা জানান, ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করাটা অত্যন্ত ইতিবাচক। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণেই শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের গতিশীলতা ধরে রাখতে পেরেছে।
দামুড়হুদা:
সারাদেশের সঙ্গে একযোগে দামুড়হুদা উপজেলার ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান ও অনলাইন থেকে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম বজলুর রশিদ জানান, দামুড়হুদা উপজেলার ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশন করে ২ হাজার ৪৮৫ জন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২ হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ২ হাজার ১৯৩ জন, ফেল করেছে ২৫৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০৫ জন। শতকরা পাশের হার ৮৯ শতাংশ।
এছাড়া দামুড়হুদা উপজেলার ১১টি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে ৪০৮ জন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩৭১ জন। এদের মধ্যে পাশ করেছে ২৫৯ জন, ফেল করেছে ১১২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। পাশের হার ৬৯ শতাংশ। উপজেলার ৫টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৩১০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৮২ জন, ফেল করেছে ২৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। পাশের হার ৯০ শতাংশ।
জীবননগর:
২০২৪ সালের অনুষ্ঠিত যশোর বোর্ডের অধীনে জীবননগর উপজেলার ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ হাজার ৩৯৩ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ১৫৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯৯ জন এবং গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। উপজেলায় মোট পাশের হার ৮৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এছাড়া এই উপজেলা থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৩১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭২ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ৫৯ জন, পাশের হার ৭৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৩৭৭ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ১২৫ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন, পাশের হার ৭৫ দশমিক ১০ শতাংশ।
জেনারেল শাখা থেকে জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ১৫৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৪৯ জন কৃতকার্য হয়েছে, অকৃতকার্য হয়েছে ৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন, পাশের হার ৯৬.৭৫ শতাংশ। জীবননগর থানা মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৭৩ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬জন, পাশের হার ৯৮.৬৫ শতাংশ। হাসাদাহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৯০ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ জন, পাশের হার ৯১.৮৪ শতাংশ। মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩৭ জন কৃতকার্য হয়েছে, অকৃতকার্য হয়েছে ৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, পাশের হার ৮৪.০৯ শতাংশ। উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৬০ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ৭ জন, পাশের হার ৮২.১৯ শতাংশ।
আন্দুলবাড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ৮৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৭৬ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন, পাশের হার ৮৯.৪১ শতাংশ। আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭২ জন কৃতকার্য হয়েছে, ৬ জন অকৃতকার্য হয়েছে। পাশের হার ৮৯.৪১ শতাংশ। রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৯ জন কৃতকার্য হয়েছে, পাশের হার ৭৪.২৪ শতাংশ। কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১০৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৯০ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ১৪ জন, পাশের হার ৮৬.৫৪ শতাংশ। ধোপাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৬ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪৯ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। করতোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৬১ জন, অকৃতকার্য ৯ জন, পাশের হার ৮৭.১৪ শতাংশ। শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১০৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১০৫ জন কৃতকার্য হয়েছে, অকৃতকার্য হয়েছে ৩ জন। বিসিকেএমপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪০ জন, অকৃতকার্য ২ জন, পাশের হার ৯৫.২৪ শতাংশ। গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হেেছ ৮৬ জন, অকৃতকার্য ৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন, পাশের হার ৯২.৪৭ শতাংশ। মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২৪ জন কৃতকার্য হয়েছে, পাশের হার ৭৭.৪২ শতাংশ।
শাহাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৭১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন, পাশের হার ৯৩.৪২ শতাংশ। হাসাদাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৫ জন কৃতকার্য হয়েছে, পাশের হর ৭১.৪৩ শতাংশ। হাজী মনির হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪০ জন, পাশের হার ৯৫.২৪ শতাংশ। আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২৬ জনই কৃতকার্য হয়েছে। এবং ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। সিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৮ জন কৃতকার্য হয়েছে, পাশের হার ৮৫.৭১ শতাংশ। পাঁকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ২৫ জন কৃতকার্য হয়েছে, পাশের হার ৮৩.৩৩ শতাংশ। কাশেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬১ জন কৃতকার্য হয়েছে, পাশের হার ৮৯.৭৬ শতাংশ।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জীবননগর আলিম মাদ্রাসা থেকে ৪১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৩৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন, পাশের হার ৯২.৬৮ শতাংশ। হাসাদাহ মডেল কামিল (এম এ) মাদ্রাসা থেকে ৪৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩৬ জন কৃতকার্য হয়েছে এবং ১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে, পাশের হার ৭৩.৪৭ শতাংশ। মাধবপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন, পাশের হার ৬১.৯০ শতাংশ। জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৪২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৩৭ জন, পাশের হার ৮৮.১০ শতাংশ। নিধিকুণ্ডু বাড়ান্দী দাখিলা মাদ্রাসা থেকে ৪২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৩ জন, পাশের হার ৬২.১৬ শতাংশ। পাঁকা দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন। পাশের হার ৫৯.০৯ শতাংশ। আন্দুলবাড়ীয়া আশরাফিয়া দাখিলা মাদ্রাসা থেকে ১৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১২ জন, পাশের হার ৬৩.১৬ শতাংশ।
এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জীবননগর থানা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৫৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন, পাশের হার ৯০ শতাংশ। জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯৮ জন অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৮১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন, পাশের হার ৮২.৬৫ শতাংশ। হাসাদাহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭৮ জন অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, পাশের হার ৫৮.৫৪ শতাংশ। মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪১ জন অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৪ জন, পাশের হার ৫৮.৫৪ শতাংশ। উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪৯ জন অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২৮ জন , পাশের হার ৫৭.৪৮ শতাংশ। মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৫১ জন অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৪১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, পাশের হার ৮০.৩৯ শতাংশ। জীবননগর উপজেলা আলিম মাদ্রাসা থেকে ১৯ জন অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ১৪ জন, পাশের হার ৭.৬৮ শতাংশ। জীবননগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১০৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৮৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, পাশের হার ৮২.৮ শতাংশ।