ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বান্দরবানে কম্বিং অপারেশনে ৫৩ কেএনএফ সদস্য আটক অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:০১:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১১২ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবানের সেনাবাহিনী ও পুলিশ পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ৫৩ জন কে এন এফ সদস্যকে আটক করেছে। এ ছাড়া রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উদ্ধার করা হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও কেএনএফ’র ব্যবহৃত সরঞ্জাম। সোমবার দুপুরে রুমা উপজেলার ব্যাথেলপাড়াসহ ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পাড়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র গোলাবারুদ সরঞ্জামগুলো উদ্ধার করে। অন্যদিকে রোববার রাতে পুলিশ থানচি ও জেলা সদরের রেইচা ক্যাম্প থেকে তিনজন কেএনএফ সদস্য ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লালচিয়াম বম। অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুমা উপজেলার সেনাবাহিনীর জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন। পুলিশি অভিযানে আটককৃতরা হলেন ভানন্নূন ময় বম, জেমেনিউ বম ও আমে লানচেও বম। এদের বাড়ি রুমা উপজেলার সিমৎলাংপি পাড়ায়। গ্রেফতারকৃত গাড়ির চালক মো: কফিল উদ্দিন সাগর (২৮)। তার বাড়ি থানচিতে। বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানিয়েছেন, রুমা থেকে ৪৯ জন বান্দরবন থেকে তিনজন ওখানচি থেকে একজন কেএনএফ সদস্যকে আটক করে বান্দরবান জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে।

এদিকে রোববার রাত থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে বান্দরবানে। জেলার রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় এই অভিযান চলছে। অভিযানে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৪টি এপিসি। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উপজেলাগুলোতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে সব ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এ ছাড়া রুমা উপজেলায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাজারগুলো। সেখানকার লোকজন এখন আতঙ্ক উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

বান্দরবানে কম্বিং অপারেশনে ৫৩ কেএনএফ সদস্য আটক অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

আপলোড টাইম : ০৪:০১:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানের সেনাবাহিনী ও পুলিশ পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ৫৩ জন কে এন এফ সদস্যকে আটক করেছে। এ ছাড়া রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উদ্ধার করা হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও কেএনএফ’র ব্যবহৃত সরঞ্জাম। সোমবার দুপুরে রুমা উপজেলার ব্যাথেলপাড়াসহ ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পাড়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র গোলাবারুদ সরঞ্জামগুলো উদ্ধার করে। অন্যদিকে রোববার রাতে পুলিশ থানচি ও জেলা সদরের রেইচা ক্যাম্প থেকে তিনজন কেএনএফ সদস্য ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লালচিয়াম বম। অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুমা উপজেলার সেনাবাহিনীর জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন। পুলিশি অভিযানে আটককৃতরা হলেন ভানন্নূন ময় বম, জেমেনিউ বম ও আমে লানচেও বম। এদের বাড়ি রুমা উপজেলার সিমৎলাংপি পাড়ায়। গ্রেফতারকৃত গাড়ির চালক মো: কফিল উদ্দিন সাগর (২৮)। তার বাড়ি থানচিতে। বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানিয়েছেন, রুমা থেকে ৪৯ জন বান্দরবন থেকে তিনজন ওখানচি থেকে একজন কেএনএফ সদস্যকে আটক করে বান্দরবান জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে।

এদিকে রোববার রাত থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে বান্দরবানে। জেলার রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় এই অভিযান চলছে। অভিযানে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৪টি এপিসি। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উপজেলাগুলোতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে সব ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এ ছাড়া রুমা উপজেলায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাজারগুলো। সেখানকার লোকজন এখন আতঙ্ক উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।