চুয়াডাঙ্গায় সারাবাংলা ৮৮ বন্ধুদের উদ্যোগে সামাজিক কর্মসূচি পালন
দুস্থ পরিবার পেল খাদ্যসামগ্রী ও বিভিন্ন সহায়তা
- আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
- / ৯৪ বার পড়া হয়েছে
‘বন্ধু আমরা ৮৮, সুখে-দুঃখে পাশাপাশি; বন্ধুত্ব ও মানবতা’ এ স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে সারাবাংলা ৮৮ (এসএসসি ৮৮ ব্যাচ) চুয়াডাঙ্গা জেলা প্যানেলের পক্ষ থেকে বন্ধু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১০০ জন দুস্থ পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী উপহার দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় শহরের পলাশপাড়ায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিতরণের শুরুতেই সারাবাংলা ৮৮ জেলা প্যানেলের কো-অর্ডিনেটর ও বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির এসএসসি ১৯৮৮ ব্যাচের বন্ধু সহায়তা কর্মসূচি এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা প্যানেলের সামাজিক কার্যক্রম সম্পর্কে উপস্থিত উপকারভোগীদের ধারণা দেন। উপহার দেয়া খাদ্যসামগ্রী দিয়ে প্রায় কয়েকদিন তাদের খাদ্যে তালিকার অধিকাংশ পূরণ হবে এবং তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাসিমুখে ঈদ উদ্যাপন করতে পারবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেলের যুগ্ম কো-অর্ডিনেটর শামস্ গোলাম হোসেন আবির, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রিফাত রহমান, শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, আজিম উদ্দিন আজিম, জাহাঙ্গীর আলম, জহুরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক নেণ্টু, আব্দুল মজিদ ও শাহিন পারভেজ।
এদিন বিকেল সাড়ে চারটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের মিলনায়তনে সারাবাংলা ৮৮ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্যানেলের কো-অর্ডিনেটর ও বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা.সায়ীদ মেহবুব উল কাদিরের সভাপতিত্বে ও সারাবাংলা ৮৮ ফাউন্ডেশনের মডারেটর লাবণ্য মারুর সঞ্চালনায় বন্ধু স্বাবলম্বী প্রকল্পের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন হামিদুল ইসলাম সেণ্টু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সুধীজন এবং চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএসসি ১৯৮৮ ব্যাচের অন্যতম উপদেষ্টা ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট বন্ধু ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন ও চুয়াডাঙ্গা অগ্রণী ব্যাংকের এজিএম বন্ধু নুরুন্নাহার পরী। বন্ধু স্বাবলম্বী প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৩ জন গুরুতর ও দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এবং অসহায় ও অস্বচ্ছল ব্যক্তি, বয়স্ক দুস্থ মানুষের জন্য চিকিৎসা খরচ, দারিদ্র বিমোচনের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। এ অনুষ্ঠানে ৫ জনকে সেলাই মেশিন উপহার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আজিম উদ্দিন আজিম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম কো-অর্ডিনেটর শামস্ গোলাম হোসেন আবির, আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে বক্তব্য দেন যুগ্ম কো-অর্ডিনেটর খোন্দকার হাবিবুল করিম চঞ্চল, দামুড়হুদা উপজেলা থেকে সাংবাদিক বখতিয়ার হোসেন বকুল, দর্শনার প্রতিনিধি হিসেবে কামরুল হাসান হিরো এবং জীবননগর প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দেন যুগ্ম কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম কো-অর্ডিনেটর শারমিন দিলারা লুনা, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রিফাত রহমান, শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, জহুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, মোজাম্মেল হক নেণ্টু, এমদাদ হোসেন, জাহিদুল হক, সব্যসাচী সাহা রাজু, মনোজ কুমার আগারওয়ালা, হাসানুজ্জামান পলাশ, আব্দুল মজিদ, নাসির হোসেন, হাকিমুল বাশার ইমরোজ, উজিরপুর গ্রামের একরামুল হক, ফারুক আহমেদ, আক্তার হোসেন, আব্দুর রকিব, ইউসুফ আলী খান ঈছা, আতিয়ার রহমান সর্দার, এমদাদুল, শহীদ আজম সদু, সাব্বির রহমান, গোলাম মোস্তফা, মাজহারুল ইসলাম, আশরাফুল আলম খোকন, রেজাউল হক রেজা, হাবিবুল্লাহ, জিহান আলী সেণ্টু, রতন, আশরাফ ও হাসিবুল হক লিপু। সাহায্য প্রার্থীদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা উপজেলা থেকে ২২ জন, দামুড়হুদা উপজেলা থেকে ১০ জন, দর্শনা পৌরসভা থেকে ১ জন, জীবননগর উপজেলা থেকে ৪ জন ও আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে ৬ জন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত এ জেলায় ৫৯টি সামাজিক ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্যানেল করেছে। সে কারণে সারাবাংলা ৮৮ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারাদেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্যানেল চ্যারিটি কাজে শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। বন্ধুদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় সারাবাংলা ৮৮ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্যানেল (এসএসসি ১৯৮৮ ব্যাচ) সমাজের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।