ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জমজমাট ঈদের বাজার, মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়

পছন্দের পোশাকটি কিনতে আগেভাগেই শপিংয়ে ক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০২:৫৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৪ বার পড়া হয়েছে

ছুটির দিনে জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার নিউ মার্কেটসহ আশপাশের বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্র। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তুলনামূলক ভিড় বেশি পোশাকের দোকানে। যেখানে ব্র্যান্ড গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্রেতারা। ক্রেতা টানতে বিক্রেতারাও এবার পোশাকে এনেছেন নতুনত্ব।

গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেট, প্রিন্স প্লাজা, আব্দুল্লাহ সিটি, বড় বাজার পুরাতন গলিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রুম ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের বাড়তি ভিড়ের চিত্র। শহুরে মানুষের একরাশ ব্যস্ততা বাধা হয়ে দাঁড়ায় ঈদ কেনাকাটায়। তাইতো ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই মুখিয়ে থাকেন ছুটির দিনের অপেক্ষায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঈদ কেনাকাটাও যেন আরেক উৎসব। এখন ক্রেতা সমাগমে মার্কেটগুলো মুখর। ঈদ কেনাকাটায় সর্বোচ্চ মনোযোগ তাদের। পছন্দসই কাপড় দেখছেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। না কাপড়ে, না রঙে ছাড় দেয়া যাবে না একচুলও!

ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, রমজানের দ্বিতীয় শুক্রবারে চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেটে জমতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা। পুরো এলাকা ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম। দোকানিরা জানান, কেউ আসছেন কিনতে, কেউবা নতুন কালেকশন দেখতে। তবে অনেক বিক্রেতা বলেছেন, এখনো পুরোপুরি ঈদের বাজার জমে ওঠেনি। এখন থেকে মনে হচ্ছে প্রচুর ভিড় হবে। ক্রেতারা জানান, পছন্দসই কাপড় কিনতে হলে একটু সময় নিয়ে যাচাই-বাছাই করে কিনতে হয়। ঈদ বলে কথা! ঈদে মানানসই পোশাক না কিনলেই নয়।

বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, কেনাকাটা আগের তুলনায় কিছুটা ভালো। তবে বেশির ভাগ ক্রেতা ঘুরে ঘুরে কিনছেন এবং দেখছেন। ঈদের জন্য পছন্দের পোশাক কিনতে ভিড় করেছেন নানা বয়সী ক্রেতারা। অনেকেই কেনাকাটা করছেন, আবার অনেকে ঘুরেফিরে দেখছেন।

জীবননগর থেকে আসা ক্রেতা সুমন কাদির বলেন, এখনো তেমন কেনাকাটা করিনি, ঘুরে দেখছি। ভালো লাগলে কিনব। তবে বাড়ির জন্য কিছু কেনাকাটা করেছি। আব্দুস সাত্তার নামে একজন বলেন, ঈদের আগে আরেকবার মার্কেটে আসতে হবে। এখন ভিড় কম আছে তাই কিনে ফেললাম। দানেজ মন্ডল বলেন, শেষ দিকে মার্কেটে খুব চাপ থাকে। তাই আজই শপিং সেরে ফেললাম। টুকটাক কিছু জিনিস পরে কিনে নেব। গ্রামে মা-বাবা থাকেন। তাদের জন্য কেনাকাটা করলাম। বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, বেচাকেনা হচ্ছে, তবে কম। জমতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। যদিও লোকজনের ভিড় দেখা যাচ্ছে। তবে ১৫ রোজার পর বাজার জমজমাট বেশি হবে।

থ্রি-পিস বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, কাস্টমাররা ঈদের কেনাকাটা শুরু করবেন আরও কিছুদিন পর। যারা আসছেন তারা কমবেশি কিনছেন। আরেক ব্যবসায়ী মুতাছিন বিল্লাহ বলেন, ঈদের মূল বাজার এখনো শুরু হয়নি। তবে বেচাকেনা জমতে শুরু করছে। এদিকে ভিড় বেশি ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতেই। ক্রেতারা বলেছেন, দাম তুলনামূলক বেশি হলেও ব্র্যান্ডের পোশাকের প্রতিই সবার ঝোঁক থাকে। পোশাকের পালা চুকিয়ে ক্রেতারা ঢুঁ মারছেন জুতা-অলংকারসহ নানান অনুষঙ্গের দোকানে। ঈদকে সামনে রেখে হরেক রকমের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরাও। ঈদ উপলক্ষে এসেছে নতুন নতুন পণ্যও।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। এসেছে নতুন নতুন পণ্য। সামনে বেচাকেনা আরও বাড়বে। এদিকে, ঈদ উপলক্ষে বন্ধের দিনও খোলা রাখা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন ব্রান্ডের শো-রুম ও সব বিপণি বিতান। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে কেনাকাটা চলে রাত ১২টা পর্যন্ত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জমজমাট ঈদের বাজার, মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়

পছন্দের পোশাকটি কিনতে আগেভাগেই শপিংয়ে ক্রেতারা

আপলোড টাইম : ০২:৫৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

ছুটির দিনে জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার নিউ মার্কেটসহ আশপাশের বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্র। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তুলনামূলক ভিড় বেশি পোশাকের দোকানে। যেখানে ব্র্যান্ড গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্রেতারা। ক্রেতা টানতে বিক্রেতারাও এবার পোশাকে এনেছেন নতুনত্ব।

গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেট, প্রিন্স প্লাজা, আব্দুল্লাহ সিটি, বড় বাজার পুরাতন গলিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রুম ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের বাড়তি ভিড়ের চিত্র। শহুরে মানুষের একরাশ ব্যস্ততা বাধা হয়ে দাঁড়ায় ঈদ কেনাকাটায়। তাইতো ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই মুখিয়ে থাকেন ছুটির দিনের অপেক্ষায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঈদ কেনাকাটাও যেন আরেক উৎসব। এখন ক্রেতা সমাগমে মার্কেটগুলো মুখর। ঈদ কেনাকাটায় সর্বোচ্চ মনোযোগ তাদের। পছন্দসই কাপড় দেখছেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। না কাপড়ে, না রঙে ছাড় দেয়া যাবে না একচুলও!

ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, রমজানের দ্বিতীয় শুক্রবারে চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেটে জমতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা। পুরো এলাকা ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম। দোকানিরা জানান, কেউ আসছেন কিনতে, কেউবা নতুন কালেকশন দেখতে। তবে অনেক বিক্রেতা বলেছেন, এখনো পুরোপুরি ঈদের বাজার জমে ওঠেনি। এখন থেকে মনে হচ্ছে প্রচুর ভিড় হবে। ক্রেতারা জানান, পছন্দসই কাপড় কিনতে হলে একটু সময় নিয়ে যাচাই-বাছাই করে কিনতে হয়। ঈদ বলে কথা! ঈদে মানানসই পোশাক না কিনলেই নয়।

বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, কেনাকাটা আগের তুলনায় কিছুটা ভালো। তবে বেশির ভাগ ক্রেতা ঘুরে ঘুরে কিনছেন এবং দেখছেন। ঈদের জন্য পছন্দের পোশাক কিনতে ভিড় করেছেন নানা বয়সী ক্রেতারা। অনেকেই কেনাকাটা করছেন, আবার অনেকে ঘুরেফিরে দেখছেন।

জীবননগর থেকে আসা ক্রেতা সুমন কাদির বলেন, এখনো তেমন কেনাকাটা করিনি, ঘুরে দেখছি। ভালো লাগলে কিনব। তবে বাড়ির জন্য কিছু কেনাকাটা করেছি। আব্দুস সাত্তার নামে একজন বলেন, ঈদের আগে আরেকবার মার্কেটে আসতে হবে। এখন ভিড় কম আছে তাই কিনে ফেললাম। দানেজ মন্ডল বলেন, শেষ দিকে মার্কেটে খুব চাপ থাকে। তাই আজই শপিং সেরে ফেললাম। টুকটাক কিছু জিনিস পরে কিনে নেব। গ্রামে মা-বাবা থাকেন। তাদের জন্য কেনাকাটা করলাম। বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, বেচাকেনা হচ্ছে, তবে কম। জমতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। যদিও লোকজনের ভিড় দেখা যাচ্ছে। তবে ১৫ রোজার পর বাজার জমজমাট বেশি হবে।

থ্রি-পিস বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, কাস্টমাররা ঈদের কেনাকাটা শুরু করবেন আরও কিছুদিন পর। যারা আসছেন তারা কমবেশি কিনছেন। আরেক ব্যবসায়ী মুতাছিন বিল্লাহ বলেন, ঈদের মূল বাজার এখনো শুরু হয়নি। তবে বেচাকেনা জমতে শুরু করছে। এদিকে ভিড় বেশি ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতেই। ক্রেতারা বলেছেন, দাম তুলনামূলক বেশি হলেও ব্র্যান্ডের পোশাকের প্রতিই সবার ঝোঁক থাকে। পোশাকের পালা চুকিয়ে ক্রেতারা ঢুঁ মারছেন জুতা-অলংকারসহ নানান অনুষঙ্গের দোকানে। ঈদকে সামনে রেখে হরেক রকমের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরাও। ঈদ উপলক্ষে এসেছে নতুন নতুন পণ্যও।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। এসেছে নতুন নতুন পণ্য। সামনে বেচাকেনা আরও বাড়বে। এদিকে, ঈদ উপলক্ষে বন্ধের দিনও খোলা রাখা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন ব্রান্ডের শো-রুম ও সব বিপণি বিতান। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে কেনাকাটা চলে রাত ১২টা পর্যন্ত।