ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় পবিত্র রমজানের দ্বিতীয় জুমায় মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়

গুনাহ থেকে মাফ পেতে আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০২:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৭৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় জুমার নামাজে শহরের প্রায় প্রতিটি মসজিদেই ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। এদিন জুমার আজানের আগেই মসজিদমুখী হন শহরবাসী। আজানের পর থেকে শহরের মসজিদগুলোর প্রতিটি কাতার ভরতে শুরু করে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় প্রায় প্রতিটি মসজিদে নামাজের কাতার মসজিদ ছাড়িয়ে, ছাদ, বারান্দা থেকে আশপাশের সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

মসজিদে সাধারণত অন্যদিনের চেয়ে জুমার নামাজে অনেক বেশি মুসল্লি উপস্থিত হয়। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় শহরের বড় বাজার থানা মসজিদ, কোর্ট জামে মসজিদ, সদর মডেল মসজিদ, রাশেদ আল আসলী জামে মসজিদ, শান্তিপাড়া বাইতুল সিফা জামে মসজিদ, জান্নাতুল মাওলা জামে মসজিদ, পৌর মডেল মসজিদসহ প্রায় প্রতিটি মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেশকিছু মসজিদে নামাজের আগেই মুসল্লিদের সারি চলে আসে রাস্তায়। নামাজের আগে প্রতিটি মসজিদেই বিশেষ বয়ান দেওয়া হয়। এতে ধর্মীয়, সামাজিক ও রমজানের তাৎপর্যসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য দেন মসজিদের ইমাম ও খতিবরা।

সদর উপজেলা মডেল মসজিদে নামাজ পড়তে আসা ইসতাক ইসলাম জানান, রমজান গুনাহ মাফের মাস। নিজ গুনাহের মার্জনা চাইতেই এ মাসে আল্লাহর কাছে সবার সঙ্গে নামাজে শরিক হয়েছি। কে জানে আল্লাহ কার হাত কবুল করবেন। তাই সবার সঙ্গে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নিয়েছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন।

পৌর শহরের বাসিন্দা মিরাজুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য দিনে নিজ পাড়ার মসজিদে নামাজ আদায় করলেও প্রতি জুমায় তিনি জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান মসজিদে নামাজ আদায় করেন। জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে তার পরিবারের প্রয়াত দুই সদস্যের কবর রয়েছে। নামাজ শেষে তিনি প্রতি জুমার দিন কবর জিয়ারত করেন।

নামাজ আদায় শেষে ইমরুল হক জানান, শুক্রবার সবাই জুমার নামাজে অংশ নেন। তবে রমজানের সময় মুসল্লিরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় জুমার নামাজ পড়তে আসেন। প্রতি বছর রোজা এলেই মসজিদে এমন ভিড় হয়, এবারো হয়েছে। আমরা সবাই আল্লাহর বিশেষ প্রার্থনা ও এ মাসের ফজিলতগুলো পালন করতে জুমার নামাজে সমাবেত হয়েছি।

শহরের প্রতিটি মসজিদে নামাজের পর মুসলিম উম্মাহের জন্য এবং বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এতে সবার গুনাহ মাফ, দেশের শান্তি সমৃদ্ধি ও বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যও দোয়া করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় পবিত্র রমজানের দ্বিতীয় জুমায় মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়

গুনাহ থেকে মাফ পেতে আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত

আপলোড টাইম : ০২:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় জুমার নামাজে শহরের প্রায় প্রতিটি মসজিদেই ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। এদিন জুমার আজানের আগেই মসজিদমুখী হন শহরবাসী। আজানের পর থেকে শহরের মসজিদগুলোর প্রতিটি কাতার ভরতে শুরু করে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় প্রায় প্রতিটি মসজিদে নামাজের কাতার মসজিদ ছাড়িয়ে, ছাদ, বারান্দা থেকে আশপাশের সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

মসজিদে সাধারণত অন্যদিনের চেয়ে জুমার নামাজে অনেক বেশি মুসল্লি উপস্থিত হয়। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় শহরের বড় বাজার থানা মসজিদ, কোর্ট জামে মসজিদ, সদর মডেল মসজিদ, রাশেদ আল আসলী জামে মসজিদ, শান্তিপাড়া বাইতুল সিফা জামে মসজিদ, জান্নাতুল মাওলা জামে মসজিদ, পৌর মডেল মসজিদসহ প্রায় প্রতিটি মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেশকিছু মসজিদে নামাজের আগেই মুসল্লিদের সারি চলে আসে রাস্তায়। নামাজের আগে প্রতিটি মসজিদেই বিশেষ বয়ান দেওয়া হয়। এতে ধর্মীয়, সামাজিক ও রমজানের তাৎপর্যসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য দেন মসজিদের ইমাম ও খতিবরা।

সদর উপজেলা মডেল মসজিদে নামাজ পড়তে আসা ইসতাক ইসলাম জানান, রমজান গুনাহ মাফের মাস। নিজ গুনাহের মার্জনা চাইতেই এ মাসে আল্লাহর কাছে সবার সঙ্গে নামাজে শরিক হয়েছি। কে জানে আল্লাহ কার হাত কবুল করবেন। তাই সবার সঙ্গে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নিয়েছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন।

পৌর শহরের বাসিন্দা মিরাজুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য দিনে নিজ পাড়ার মসজিদে নামাজ আদায় করলেও প্রতি জুমায় তিনি জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান মসজিদে নামাজ আদায় করেন। জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে তার পরিবারের প্রয়াত দুই সদস্যের কবর রয়েছে। নামাজ শেষে তিনি প্রতি জুমার দিন কবর জিয়ারত করেন।

নামাজ আদায় শেষে ইমরুল হক জানান, শুক্রবার সবাই জুমার নামাজে অংশ নেন। তবে রমজানের সময় মুসল্লিরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় জুমার নামাজ পড়তে আসেন। প্রতি বছর রোজা এলেই মসজিদে এমন ভিড় হয়, এবারো হয়েছে। আমরা সবাই আল্লাহর বিশেষ প্রার্থনা ও এ মাসের ফজিলতগুলো পালন করতে জুমার নামাজে সমাবেত হয়েছি।

শহরের প্রতিটি মসজিদে নামাজের পর মুসলিম উম্মাহের জন্য এবং বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এতে সবার গুনাহ মাফ, দেশের শান্তি সমৃদ্ধি ও বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যও দোয়া করা হয়।