ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

জৌলুস হারিয়েছে শত বছরের পুরোনো মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, নেই শৌচাগার

প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় যাত্রীরা, সংস্কারের দাবি

প্রতিবেদক, মুন্সিগঞ্জ:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৫:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • / ১৭৯ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

কালের বিবর্তনে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন হলেও শত বছরের পুরনো মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটি আজ অবধি উন্নয়নের মুখ দেখেনি। আলমডাঙ্গা উপজেলার এক সময়ের জমজমাট এই রেলওয়ে স্টেশনটি তার জনপ্রিয়তা হারাতে বসেছে। স্টেশনটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের শেষ নেয়। এমনকি স্টেশনটিতে কোন শৌচাগার না থাকায় যাত্রীরা প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

জানা গেছে, স্টেশনটিকে কেন্দ্র করে দিনে দিনে আশপাশে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে মুন্সিগঞ্জ ব্যবসায়ীক এলাকা হিসেবে পরিচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের বসবাস শুরু হয়। আশির দশকেও যাত্রী ও মালামাল নেওয়ার জন্য এই স্টেশনে বিভিন্ন শ্রেণির ট্রেন থামতো। সেসময় যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনের স্বার্থে একটি রেলওয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। যা এখন বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, এক সময় প্রতিদিন এই স্টেশন থেকে শতশত বস্তা চাল, গম, ডাল, পাট গুড়সহ বিভিন্ন পণ্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হতো। এরই ধারাবাহিকতায় এই স্টেশনে যাত্রীর সমাগম লেগেই থাকতো। এছাড়াও মুন্সীগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনযোগে আখ নেওয়া হতো দেশের সর্ববৃহত চিনি শিল্প কারখানা দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে। বর্তমানে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গোয়ালন্দ ট্রেনটি মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে রাত সাড়ে ৩তিনটায় এসে থামে। স্টেশনটিতে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেই, এছাড়াও শৌচাগার না থাকায় নারী ও শিশুদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। বিভিন্ন সময় বাধ্য হয়ে যাত্রীরা স্টেশরের আশেপাশে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার ফলে পরিবেশ নোংরা হচ্ছে, পাশাপাশি নারী ও শিশু যাত্রীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীনও হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে স্থানীয় সুশীল সমাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন মহলের অবগত করলেও কোন সুরাহা হয়নি।

এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার নাজমুল হোসাইন বলেন, স্টেশনের কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় ও লোক জনবলের ঘাটতির কারণে আমাকে পাকশী স্টেশনে কন্ট্রোলে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বিধায় এ বিষয়ে আমি অবগত নয়। মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের কর্মরত গেট কিপার মনিরুজ্জামান জানান, মুন্সিগঞ্জ রেল স্টেশনে এখানে কোন কার্যক্রম হয় না হওয়ায় তিনিও পাকসি কন্ট্রোলের অধিনে কর্মরত আছেন। এদিকে, মুন্সিগঞ্জ এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের মানুষের দাবি অতিসত্বর মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটি সংস্কারসহ গণশৌচাগার স্থাপন করে যাত্রীদের বিড়ম্বনার অবসান ঘটানো। এবং স্টেশনটি যেন পূর্বের ন্যায় জমজমাট হয়ে ওঠে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেদিকে গুরুত্ব দেয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জৌলুস হারিয়েছে শত বছরের পুরোনো মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, নেই শৌচাগার

প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় যাত্রীরা, সংস্কারের দাবি

আপলোড টাইম : ০৮:৩৫:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

কালের বিবর্তনে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন হলেও শত বছরের পুরনো মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটি আজ অবধি উন্নয়নের মুখ দেখেনি। আলমডাঙ্গা উপজেলার এক সময়ের জমজমাট এই রেলওয়ে স্টেশনটি তার জনপ্রিয়তা হারাতে বসেছে। স্টেশনটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের শেষ নেয়। এমনকি স্টেশনটিতে কোন শৌচাগার না থাকায় যাত্রীরা প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

জানা গেছে, স্টেশনটিকে কেন্দ্র করে দিনে দিনে আশপাশে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে মুন্সিগঞ্জ ব্যবসায়ীক এলাকা হিসেবে পরিচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের বসবাস শুরু হয়। আশির দশকেও যাত্রী ও মালামাল নেওয়ার জন্য এই স্টেশনে বিভিন্ন শ্রেণির ট্রেন থামতো। সেসময় যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনের স্বার্থে একটি রেলওয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। যা এখন বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, এক সময় প্রতিদিন এই স্টেশন থেকে শতশত বস্তা চাল, গম, ডাল, পাট গুড়সহ বিভিন্ন পণ্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হতো। এরই ধারাবাহিকতায় এই স্টেশনে যাত্রীর সমাগম লেগেই থাকতো। এছাড়াও মুন্সীগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনযোগে আখ নেওয়া হতো দেশের সর্ববৃহত চিনি শিল্প কারখানা দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে। বর্তমানে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গোয়ালন্দ ট্রেনটি মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে রাত সাড়ে ৩তিনটায় এসে থামে। স্টেশনটিতে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেই, এছাড়াও শৌচাগার না থাকায় নারী ও শিশুদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। বিভিন্ন সময় বাধ্য হয়ে যাত্রীরা স্টেশরের আশেপাশে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার ফলে পরিবেশ নোংরা হচ্ছে, পাশাপাশি নারী ও শিশু যাত্রীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীনও হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে স্থানীয় সুশীল সমাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন মহলের অবগত করলেও কোন সুরাহা হয়নি।

এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার নাজমুল হোসাইন বলেন, স্টেশনের কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় ও লোক জনবলের ঘাটতির কারণে আমাকে পাকশী স্টেশনে কন্ট্রোলে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বিধায় এ বিষয়ে আমি অবগত নয়। মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের কর্মরত গেট কিপার মনিরুজ্জামান জানান, মুন্সিগঞ্জ রেল স্টেশনে এখানে কোন কার্যক্রম হয় না হওয়ায় তিনিও পাকসি কন্ট্রোলের অধিনে কর্মরত আছেন। এদিকে, মুন্সিগঞ্জ এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের মানুষের দাবি অতিসত্বর মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটি সংস্কারসহ গণশৌচাগার স্থাপন করে যাত্রীদের বিড়ম্বনার অবসান ঘটানো। এবং স্টেশনটি যেন পূর্বের ন্যায় জমজমাট হয়ে ওঠে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেদিকে গুরুত্ব দেয়।