বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ভোক্তার সহ্যক্ষমতার বাইরে :সিপিডি
গ্রাহককে দিতে হবে ১০৬ থেকে ১১৮ টাকা বাড়তি বিদ্যুৎ বিল- আপলোড টাইম : ০৮:৪৮:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
- / ১০১ বার পড়া হয়েছে
উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কেনার কারণে সরকার তার দায় ভোক্তার ওপর চাপিয়েছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিক এবং এর ফলে চাপ পড়বে ভোক্তার ওপর। গতকাল বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে বিদ্যুত্ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সাম্প্রতিক বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ভর্তুকি সমন্বয়ের অন্য বিকল্প আছে কি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
এ সময় সিপিডির পরিচালিত জরিপের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাসাবাড়িতে গড়ে বাড়তি বিল দিতে হবে প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ। শীতে গড়ে মানুষকে অতিরিক্ত ১০৬ টাকা আর গরমকালে ১১৮ টাকা বাড়তি বিল দিতে হবে। নির্বাহী আদেশ নয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের মাধ্যমে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিপিডি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির স্বার্থে গণশুনানির মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি বা হ্রাসের কাজটি করার দাবি সিপিডির। সংস্থাটি বলছে, যে হারে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, তা ভোক্তার সহ্যক্ষমতার বাইরে। যদিও সরকার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভোক্তার ওপর চাপ পড়বে না বলেছে। ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির জন্য ভর্তুকি সমন্বয়ের কথা বলছে সরকার।
আইএমএফের সঙ্গে যে ঋণ চুক্তি করেছে, সেই চুক্তির একটি শর্ত হলো, জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া, আরেকটি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভর্তুকি কমিয়ে আনা। ২০২৬ সালের মধ্যে এই কাজটা করবে বলে সরকারের ঘোষণায় বলা হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সরাসরি অভিঘাত পরিলক্ষিত হয়েছে। আগামী দিনেও এই অভিঘাত পড়বে। আমরা আশ্চর্য হচ্ছি, সরকার এটাকে মূল্যবৃদ্ধি বলতে চায় না, সমন্বয় বলতে চায়। আমি জানি না, সমন্বয় আর বৃদ্ধির মধ্যে মৌলিকভাবে কোনো পার্থক্য আছে কি না। এটা সরাসরি ভোক্তার ঘাড়ে পড়ছে, যদিও সরকার বলছে, তাদের ঘাড়ে তেমন পড়বে না। কিন্তু আমাদের বক্তব্য হলো, ভর্তুকি সমন্বয়ের এই উদ্যোগ সরকারের প্রথম প্রাধিকার হতে পারে না। ভর্তুকি সমন্বয়ের জন্য সরকারের প্রথম প্রাধিকার হওয়া উচিত, ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বা বর্ধিত বিদ্যুতের যে ক্যাপাসিটি তৈরি হচ্ছে, তার জন্য সরকারকে যে পেমেন্ট দিতে হচ্ছে, সেটি কীভাবে সমন্বয় করা যায়। যদিও সেদিকে সরকার এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি।