ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

সড়কের পাশে গাছের সারি এখন মরণফাঁদ!

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১১:১৩:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
  • / ৯৩ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কের দুই পাশের শতাধিক গাছ ও তার ডালপালা কাটা হয়নি। এছাড়া সড়কজুড়ে রয়েছে কিছু হেলে পড়া গাছ। সারি সারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে মরা গাছও। এসব গাছ পথচারীর জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তাই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজারো গাড়ি। যেকোনো সময় মরা গাছের ডাল ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার ও কুষ্টিয়া সদর অভিমুখে ৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকা থেকে উপজেলার বেলগাছি বোর্ড বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ হেলে গেছে। এছাড়া এসব গাছের ডাল শুকিয়ে প্রায়ই ভেঙে পড়ছে সড়কের ওপর। গাছের ডালপালা সড়কের দিকে হেলে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। কয়েক বছর ধরে এসব গাছ মরে থাকলেও কাটার উদ্যোগ নেয়নি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ। ঝড়-বৃষ্টির সময় মরা গাছের ডাল ভেঙে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব গাছ দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ট্রাক ড্রাইভার আবেদ হোসেন বলেন, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের কিছু গাছ হেলে পড়েছে। গাছের শুকনো ডালগুলো সড়কের মধ্যে আসায় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করতে হয়। ঝড়-বৃষ্টির দিন সড়কে গাছ ও ডাল পড়ে যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক মোশারফ হোসেন বলেন, পৌর শহরের সন্নিকটের সাতকপাট এলাকার আঞ্চলিক সড়কের একটি গাছ সড়কের মাঝে অর্ধেক হেলে পড়েছে। এতে যাতায়াতে আতঙ্কে থাকি, কখন গাছ ভেঙে ইজিবাইকের ওপর পড়ে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য হেলে পড়া গাছ ও ডালপালা অপসারণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অবগত করেছি। তবে পুলিশের প্রশাসনিক কার্যক্রমের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে জোরালো ভূমিকা নিতে পারছি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস জানান, আঞ্চলিক সড়কটি সওজের হলেও সড়কের দুই পাশের গাছগুলো জেলা পরিষদের। তারাই গাছগুলো দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো ইতিমধ্যে মার্কিং করেছে। টেন্ডার পক্রিয়াধীন রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মজনুর রহমান জাণ্টু বলেন, সড়কের দুই পাশে গাছ ও ডালপালা হেলে পড়া গাছগুলো চিহ্নিত করে মার্কিং করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই করে সেগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হবে। তিনি আরও বলেন, সাতকপাট নামক সড়কের রাস্তার ওপরে হেলে পড়া একটি গাছের অর্ধাংশ দ্রুত কেটে সড়ক উন্মুক্ত করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

সড়কের পাশে গাছের সারি এখন মরণফাঁদ!

আপলোড টাইম : ১১:১৩:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কের দুই পাশের শতাধিক গাছ ও তার ডালপালা কাটা হয়নি। এছাড়া সড়কজুড়ে রয়েছে কিছু হেলে পড়া গাছ। সারি সারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে মরা গাছও। এসব গাছ পথচারীর জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তাই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজারো গাড়ি। যেকোনো সময় মরা গাছের ডাল ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার ও কুষ্টিয়া সদর অভিমুখে ৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকা থেকে উপজেলার বেলগাছি বোর্ড বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ হেলে গেছে। এছাড়া এসব গাছের ডাল শুকিয়ে প্রায়ই ভেঙে পড়ছে সড়কের ওপর। গাছের ডালপালা সড়কের দিকে হেলে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। কয়েক বছর ধরে এসব গাছ মরে থাকলেও কাটার উদ্যোগ নেয়নি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ। ঝড়-বৃষ্টির সময় মরা গাছের ডাল ভেঙে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব গাছ দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ট্রাক ড্রাইভার আবেদ হোসেন বলেন, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের কিছু গাছ হেলে পড়েছে। গাছের শুকনো ডালগুলো সড়কের মধ্যে আসায় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করতে হয়। ঝড়-বৃষ্টির দিন সড়কে গাছ ও ডাল পড়ে যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক মোশারফ হোসেন বলেন, পৌর শহরের সন্নিকটের সাতকপাট এলাকার আঞ্চলিক সড়কের একটি গাছ সড়কের মাঝে অর্ধেক হেলে পড়েছে। এতে যাতায়াতে আতঙ্কে থাকি, কখন গাছ ভেঙে ইজিবাইকের ওপর পড়ে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য হেলে পড়া গাছ ও ডালপালা অপসারণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অবগত করেছি। তবে পুলিশের প্রশাসনিক কার্যক্রমের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে জোরালো ভূমিকা নিতে পারছি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস জানান, আঞ্চলিক সড়কটি সওজের হলেও সড়কের দুই পাশের গাছগুলো জেলা পরিষদের। তারাই গাছগুলো দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো ইতিমধ্যে মার্কিং করেছে। টেন্ডার পক্রিয়াধীন রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মজনুর রহমান জাণ্টু বলেন, সড়কের দুই পাশে গাছ ও ডালপালা হেলে পড়া গাছগুলো চিহ্নিত করে মার্কিং করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই করে সেগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হবে। তিনি আরও বলেন, সাতকপাট নামক সড়কের রাস্তার ওপরে হেলে পড়া একটি গাছের অর্ধাংশ দ্রুত কেটে সড়ক উন্মুক্ত করা হবে।